প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশ কর্মবিরতিতে, আরেকাংশের শুরু কাল
Published: 26th, November 2025 GMT
সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১তম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি আদায়ে বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি পালন করছে সহকারী শিক্ষকদের একাংশ। তারা সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করছে।
অন্যদিকে ‘আপাতত’ ১১তম গ্রেডের প্রজ্ঞাপন জারিসহ অন্যান্য দাবি বাস্তবায়নে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে লাগাতার কর্মবিরতিতে যাচ্ছে শিক্ষকদের আরেকটি অংশ। ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’-এর ব্যানারে আন্দোলন করে আসা এই অংশ প্রথমে ৩০ নভেম্বর থেকে কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছিল। এখন তাতে পরিবর্তন এনেছে। তাঁরা বলছেন দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত পূর্ণদিবস কর্মবিরতি চলবে।
সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৫৬৯টি। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক কোটির বেশি। শিক্ষক রয়েছেন পৌনে চার লাখের বেশি। সহকারী শিক্ষকের অনুমোদিত পদ ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২১৬টি, বর্তমানে কর্মরত ৩ লাখ ৫২ হাজার ২০৮ জন। আগামী ১ ডিসেম্বর প্রাথমিক বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। কিন্তু শিক্ষাবর্ষের শেষ পর্যায়ে এসে কর্মবিরতির এ কর্মসূচি বার্ষিক পরীক্ষার ওপর প্রভাব পড়তে পারে।
বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা জাতীয় বেতন স্কেলের ১৩তম গ্রেডে আছেন (শুরুর মূল বেতন ১১ হাজার টাকা)। সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১০ম করাসহ তিন দফা দাবি জানিয়ে সহকারী শিক্ষকেরা এ মাসের শুরুতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান ও বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি শুরু করেছিলেন।
আন্দোলন চলাকালেই অর্থ বিভাগের সচিব এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর আন্দোলনকারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। ওই বৈঠকের পর সরকার থেকে বলা হয়েছিল, সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১১তম করার বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবটি জাতীয় বেতন কমিশনে পাঠানো হয়েছে, যা বেতন কমিশনের বিবেচনাধীন।
কমিশনের সুপারিশ পাওয়ার পর অর্থ বিভাগ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে। আর শিক্ষকদের ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতার বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রস্তাব পাঠালে অর্থ বিভাগ বিষয়টি পর্যালোচনা করবে। এ ছাড়া শিক্ষকদের শতভাগ পদোন্নতির বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিদ্যমান বিধিমালার আলোকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ নেবে। যদিও এর ভিত্তিতে কর্মসূচি প্রত্যাহার করা নিয়ে শিক্ষকেরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছিলেন এবং সাধারণ শিক্ষকেরা শিক্ষকনেতাদের দোষারোপ করেন।
এরই মধ্যে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের ব্যানারে একটি অংশ প্রথমে ২৩ ও ২৪ নভেম্বর অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করে। এরপর ২৫ নভেম্বর থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু করে; যা চলবে কাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। দাবি আদায় না হলে বার্ষিক পরীক্ষা বর্জনসহ আগামী ১১ ডিসেম্বর থেকে লাগাতার অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকনেতারা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ ক ষকদ র সহক র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশ কর্মবিরতিতে, আরেকাংশের শুরু কাল
সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১তম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি আদায়ে বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি পালন করছে সহকারী শিক্ষকদের একাংশ। তারা সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করছে।
অন্যদিকে ‘আপাতত’ ১১তম গ্রেডের প্রজ্ঞাপন জারিসহ অন্যান্য দাবি বাস্তবায়নে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে লাগাতার কর্মবিরতিতে যাচ্ছে শিক্ষকদের আরেকটি অংশ। ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’-এর ব্যানারে আন্দোলন করে আসা এই অংশ প্রথমে ৩০ নভেম্বর থেকে কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছিল। এখন তাতে পরিবর্তন এনেছে। তাঁরা বলছেন দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত পূর্ণদিবস কর্মবিরতি চলবে।
সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৫৬৯টি। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক কোটির বেশি। শিক্ষক রয়েছেন পৌনে চার লাখের বেশি। সহকারী শিক্ষকের অনুমোদিত পদ ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২১৬টি, বর্তমানে কর্মরত ৩ লাখ ৫২ হাজার ২০৮ জন। আগামী ১ ডিসেম্বর প্রাথমিক বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। কিন্তু শিক্ষাবর্ষের শেষ পর্যায়ে এসে কর্মবিরতির এ কর্মসূচি বার্ষিক পরীক্ষার ওপর প্রভাব পড়তে পারে।
বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা জাতীয় বেতন স্কেলের ১৩তম গ্রেডে আছেন (শুরুর মূল বেতন ১১ হাজার টাকা)। সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১০ম করাসহ তিন দফা দাবি জানিয়ে সহকারী শিক্ষকেরা এ মাসের শুরুতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান ও বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি শুরু করেছিলেন।
আন্দোলন চলাকালেই অর্থ বিভাগের সচিব এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর আন্দোলনকারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। ওই বৈঠকের পর সরকার থেকে বলা হয়েছিল, সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১১তম করার বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবটি জাতীয় বেতন কমিশনে পাঠানো হয়েছে, যা বেতন কমিশনের বিবেচনাধীন।
কমিশনের সুপারিশ পাওয়ার পর অর্থ বিভাগ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে। আর শিক্ষকদের ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতার বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রস্তাব পাঠালে অর্থ বিভাগ বিষয়টি পর্যালোচনা করবে। এ ছাড়া শিক্ষকদের শতভাগ পদোন্নতির বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিদ্যমান বিধিমালার আলোকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ নেবে। যদিও এর ভিত্তিতে কর্মসূচি প্রত্যাহার করা নিয়ে শিক্ষকেরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছিলেন এবং সাধারণ শিক্ষকেরা শিক্ষকনেতাদের দোষারোপ করেন।
এরই মধ্যে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের ব্যানারে একটি অংশ প্রথমে ২৩ ও ২৪ নভেম্বর অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করে। এরপর ২৫ নভেম্বর থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু করে; যা চলবে কাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। দাবি আদায় না হলে বার্ষিক পরীক্ষা বর্জনসহ আগামী ১১ ডিসেম্বর থেকে লাগাতার অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকনেতারা।