নির্বাচন কমিশনের সামনে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণ, আটক ১
Published: 25th, October 2025 GMT
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সামনে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
শনিবার রাত ১১টা ১৫ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে। শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাউল হক একজনকে আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি ইমাউল হক প্রথম আলোকে বলেন, রাত ১১টার পর নির্বাচন কমিশন এলাকায় ককটেলসদৃশ বস্তুর বিস্ফোরণ ঘটে। শব্দ শুনে ওই এলাকায় থাকা পুলিশের টহল দল ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও দিয়েছে। সে অনুযায়ী এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে পাওনা টাকা নিয়ে তরুণকে অপহরণের পর হত্যা, আরও একজন গ্রেপ্তার
সিলেটের কানাইঘাটে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে সাইফুল ইসলামকে (২০) অপহরণের পর খুনের ঘটনায় প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার ঝাউচর মেঘনাঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর বিকেলে সাইফুল ইসলামকে অপহরণের পর কানাইঘাটের লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের রাতাছড়া গ্রামে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ছলু মিয়া ২ ডিসেম্বর কানাইঘাট থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা দু-একজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। গ্রেপ্তার তরুণের নাম শাকিল আহমদ (২২)। তাঁর বাড়িও রাতাছড়া গ্রামে। ওই ঘটনায় এর আগে শাকিলের বাবাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, নিহত সাইফুল ও শাকিলের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি দুজনের মধ্যে দুই লাখ টাকা দেনা-পাওনা নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়। ঘটনার দিন শাকিল সাইফুলের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে নিয়ে দনা বাজারে যান। সন্ধ্যায় সাইফুলের ভাই সুফিয়ান আহমদ দনা বাজার থেকে বাবাকে ফোন দিয়ে জানান, শাকিল মোটরসাইকেলে করে সাইফুলকে তাঁদের বাড়ির দিকে নিয়ে গেছে। পরে বাড়িতে সাইফুলকে বেঁধে মারধর করা হয় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে বুকে আঘাত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে বাড়ির পূর্ব পাশের জঙ্গলে হাত-পা বেঁধে ফেলে রেখে যায় হামলাকারীরা।
আরও পড়ুনসিলেটে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে অপহরণ, পরে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ০১ ডিসেম্বর ২০২৫পরে সাইফুলকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর অভিযুক্ত শাকিলের বাবা এবং আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এবার প্রধান অভিযুক্ত শাকিলকে গ্রেপ্তার করা হলো।
র্যাব-৯-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) কে এম শহিদুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া শাকিলকে সিলেটের কানাইঘাট থানায় হস্তান্তরের পর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।