শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেবে না ৬ কোম্পানি
Published: 27th, October 2025 GMT
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৬টি কোম্পানির পরিচালনার পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ না দেওয়ার বা ‘নো ডিভিডেন্ড’ ঘোষণা দিয়েছে। ২০২৫ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ।
কোম্পানিগুলো হলো- আনোয়ার গ্যালভানাইজিং লিমিটেড, শার্প ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি (আর.
সোমবার (২৭ অক্টোবর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে রবিবার (২৬ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিগুলো পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আনোয়ার গ্যালভানাইজিং: কোম্পানিটির ওই বছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১২.৩২ টাকা। আর গত ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১.৩৮ টাকায়। কোম্পানিটির ঘোষিত ‘নো’ ডিভিডেন্ডসহ অন্যান্য আলোচ্য বিষয়সমূহ শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৬। এ লক্ষ্যে শেয়ারহোল্ডার নির্বাচনে আগামী ৪ ডিসেম্বর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে।
শার্প ইন্ডাস্ট্রিজ: কোম্পানিটির ওই বছরে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.১১ টাকা। আর গত ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১০.০৮ টাকায়। কোম্পানিটির ঘোষিত ‘নো’ ডিভিডেন্ডসহ অন্যান্য আলোচ্য বিষয়সমূহ শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ ডিসেম্বর। এ লক্ষ্যে শেয়ারহোল্ডার নির্বাচনে আগামী ১৬ নভেম্বর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে।
শ্যামপুর সুগার: কোম্পানিটির ওই বছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৫০.৭৭ টাকা। আর গত ৩০ জুন ঋণাত্মক শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৩১০.৪৪ টাকায়। কোম্পানিটির ঘোষিত ‘নো’ ডিভিডেন্ডসহ অন্যান্য আলোচ্য বিষয়সমূহ শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৫ ডিসেম্বর। এলক্ষ্যে শেয়ারহোল্ডার নির্বাচনে আগামী ১২ নভেম্বর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে।
রেনউইক যজ্ঞেশ্বর: কোম্পানিটির ওই বছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে (৭.৭৬) টাকা। আর গত ৩০ জুন ঋণাত্মক শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১০৫.৫৯ টাকায়। কোম্পানিটির ঘোষিত ‘নো’ ডিভিডেন্ডসহ অন্যান্য আলোচ্য বিষয়সমূহ শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৫ ডিসেম্বর। এলক্ষ্যে শেয়ারহোল্ডার নির্বাচনে আগামী ১৩ নভেম্বর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে।
জিল বাংলা সুগার: কোম্পানিটির ওই বছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৭৮.৮৭ টাকা। আর গত ৩০ জুন ঋণাত্মক শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১৩৯.১৯ টাকায়। কোম্পানিটির ঘোষিত ‘নো’ ডিভিডেন্ডসহ অন্যান্য আলোচ্য বিষয়সমূহ শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৫ ডিসেম্বর। এলক্ষ্যে শেয়ারহোল্ডার নির্বাচনে আগামী ১৩ নভেম্বর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে।
সোনারগাঁও টেক্সটাইলস: কোম্পানিটির ওই বছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ০.৮০ টাকা। আর গত ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮.৩৫ টাকায়। কোম্পানিটির ঘোষিত ‘নো’ ডিভিডেন্ডসহ অন্যান্য আলোচ্য বিষয়সমূহ শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৯ ডিসেম্বর। এলক্ষ্যে শেয়ারহোল্ডার নির্বাচনে আগামী ১৮ নভেম্বর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে।
এই করপোরেট ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন কোম্পানিগুলোর শেয়ারের লেনদেনের কোনো মূল্যসীমা থাকবে না।
ঢাকা/এনটি/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড স ম বর এলক ষ য
এছাড়াও পড়ুন:
বেগম রোকেয়াকে নিয়ে রাবি শিক্ষকের মন্তব্য একাডেমিক নৈতিকতার লঙ্ঘন: আসক
বাঙালি মুসলমান নারীজাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনকে নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষকের ফেসবুক পোস্টের নিন্দা জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। সংস্থাটি বলছে, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের এমন মন্তব্য একাডেমিক নৈতিকতার সরাসরি লঙ্ঘন।
আজ বৃহস্পতিবার আসকের সিনিয়র সমন্বয়কারী আবু আহমেদ ফয়জুল কবির স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সমাজসংস্কারক মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়াকে ‘মুরতাদ কাফির’ আখ্যায়িত করে পোস্ট দিয়েছেন। এ ঘটনায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলা ও বাঙালি নারীজাগরণের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া, যাঁর অবদান আমাদের শিক্ষা, সমাজচিন্তা ও মনন গঠনের ভিত্তি; তাঁকে নিয়ে এমন বিদ্বেষপূর্ণ ও উসকানিমূলক মন্তব্য কেবল নিন্দনীয়ই নয়, এটি নারীর মর্যাদার ওপর সরাসরি আক্রমণ। আমাদের মনে রাখতে হবে, বেগম রোকেয়ার শিক্ষা ও সামাজিক আন্দোলন ধর্ম, বর্ণ, জাতিনির্বিশেষে বাঙালি নারীদের পরাধীনতা ও কুসংস্কারের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করেছে।
বিবৃতিতে আসক বলেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক, যিনি নিজেদের পেশার নৈতিকতা, শালীনতা ও প্রগতিশীল চেতনার প্রতীক হওয়ার কথা, তাঁর কাছ থেকে এ ধরনের বক্তব্য একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বজ্ঞানহীন, ঘৃণা প্রচারমূলক ও নারীবিদ্বেষী বক্তব্য পেশাগত নীতিবোধের চরম লঙ্ঘন।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) মনে করে, এ ধরনের মন্তব্য ব্যক্তিগত দায়িত্বহীনতার সীমা ছাড়িয়ে সমাজে বিভাজন, নারীবিদ্বেষী ও ঘৃণামূলক বক্তব্যকে উসকে দেয়, যা মানবাধিকার মানদণ্ড, রাষ্ট্রীয় আইন এবং একাডেমিক নৈতিকতার সরাসরি লঙ্ঘন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) দৃঢ়ভাবে বলতে চায়, বেগম রোকেয়া শুধুই একজন ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব নন, তিনি বাঙালি নারীর মুক্তি আন্দোলনের ভিত্তি। তাঁকে অবমাননা করা মানে আমাদের সামষ্টিক অগ্রযাত্রাকে আঘাত করা।
আরও পড়ুনবেগম রোকেয়াকে ‘মুরতাদ কাফির’ বললেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক০৯ ডিসেম্বর ২০২৫