লক্ষ্য ১৮২। অথচ রান তাড়া করতে নেমে স্কোরবোর্ডে ৬ ওভারে রান মাত্র ২০। হাতে নেই ৪ উইকেট।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের যে চাহিদা, চার-ছক্কার ফুলঝুরি তা পাওয়ার প্লে’তেই বেশি আসে। মানে প্রথম ৬ ওভারে যখন বৃত্তের বাইরে কেবল ২ জন ফিল্ডার থাকে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেও চট্টগ্রামে একই সুবিধা পেয়েছে বাংলাদেশ। অথচ বাংলাদেশের প্রথম ৬ ওভারে বাউন্ডারি মাত্র ১টি। সেটাও এসেছে ইনিংসের ২৮তম বলে, সাইফ হাসানের ব্যাটে।
আরো পড়ুন:
বিব্রতকর পরাজয়ের সঙ্গে মিলল ‘ভুয়া, ভুয়া’ দুয়োধ্বনি
বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট দিল আয়ারল্যান্ড
বাকিটা সময় তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, লিটন দাস ও সাইফ হাসান স্রেফ ধুঁকেছেন। এমন না যে আয়ারল্যান্ডের বোলিং অনেকটা ভালো হয়েছে। যুৎসই ছিল। চাইলেই সহজাত ব্যাটিংয়ে, ভালো ব্যাটিং অ্যপ্রোচে বোলিং সামলানো যেত। কিন্তু তালগোল পাকিয়ে নিজেদের উইকেট ছুঁড়ে এসেছেন ব্যাটসম্যানরা।
শুরুর সেই দুর্বল ব্যাটিংয়ের কারণেই বাংলাদেশ ৩৯ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেননি। তাওহীদের একার ৮৩ রানের ইনিংসে বাংলাদেশ ৯ উইকেটে করতে পারে ১৪২ রান।
ম্যাচ শেষে লিটন শুরুর ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং ব্যর্থতাকে পরাজয়ের কারণ হিসেবে দেখছেন, ‘‘আমরা জানি, চট্টগ্রামের উইকেট ব্যাটিং-বান্ধব, বিশেষ করে যখন শিশির থাকে। কিন্তু পাওয়ার প্লে ‘তে যদি আমরা দু-একটা উইকেট হারিয়ে ফেলি, তাহলে লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের জন্য এসে স্থির থাকা খুব কঠিন। এত তাড়াতাড়ি চার উইকেট হারানো আমাদেরকে পিছিয়ে দিয়েছে, এবং এটি মানিয়ে নিতে পরবর্তীতে সময় লেগেছে।’’
দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে তাওহীদ ৫০ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসটি খেলেছেন। একাদশে ফিরে ভালো করায় তাওহীদের পারফরম্যান্সে খুশি অধিনায়ক লিটন, ‘‘আমি খুব খুশি যে তাওহীদ হৃদয় আবার দলে ফিরে এসেছেন এবং তিনি আমাদের জন্য যা গুরুত্বপূর্ণ ছিল তা করেছেন। জাকের আলী কিছুক্ষণের জন্য তাকে সাহায্য করেছেন। আমি তাওহীদের জন্য খুব খুশি। কারণ, সে সত্যিই ভালো ব্যাট করেছে। আমি চাই সে এই সিরিজটি এভাবেই চালিয়ে যাক যেভাবে সে আজকে ব্যাটিং করলো।’’
বোলাররা ১৮১ রানে আটকে রাখে আয়ারল্যান্ডকে। আরও ২০-২৫ রান কম হলে ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজটা সুবিধাজনক হতো বলে মন্তব্য করেছেন লিটন, ‘‘আমার মনে হয় আমাদের বোলাররা সত্যিই দুর্দান্ত কাজ করেছে। বিশেষ করে মোস্তাফিজ। আমরা জানি সে কীভাবে বোলিং করে। তবুও, যদি আমরা একটু ভালো বোলিং করি, তাহলে আমরা তাদের ২০-২৫ রানে সীমাবদ্ধ রাখতে পারি। কারণ উইকেট বোলারদের সাহায্য করছিল।’’
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশার কথা জানিয়ে লিটন যোগ করেন, ‘‘আমি আমার দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। আমরা যদি আমাদের খেলাটা খেলতে পারি তাহলে তাদের হারাতে পারব। এজন্য আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে অবশ্যই। আশা করছি আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’’
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র দ র জন য টসম উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
সালমানকে দর্শক বানিয়ে শ্রীলঙ্কাকে ফাইনালে নিলেন চামিরা
শেষ ওভারে পাকিস্তানের দরকার ছিল ১০ রান, আর বোলার দুষ্মন্ত চামিরার দায়িত্ব ছিল অন্তত ৮ রানের মধ্যে আটকে রাখা। পাকিস্তান এর আগের আট ওভারের প্রত্যেকটিতে ১০ বা এর বেশি রান তুলেছে। তার ওপর স্ট্রাইকে সালমান আগা, যিনি এরই মধ্যে ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ফিফটি করে ফেলেছেন, সঙ্গে বড় শটের জন্য পরিচিত ফাহিম আশরাফও।
তবে কোনো ‘বাধা’তেই আটকালেন না চামিরা। শ্রীলঙ্কার ডানহাতি পেসার শেষ ওভারের ৬ বলে দিলেন মাত্র ৩ রান, তুলে নিলেন আশরাফের উইকেটও। তাতে জয়ের সম্ভাবনা জাগানো পাকিস্তান ১৮৪ রান তাড়া করতে গিয়ে আটকে থাকল ১৭৮-এ।
৬ রানে ম্যাচ জিতিয়ে শ্রীলঙ্কাকে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে নিয়ে গেলেন চামিরা। পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান একপ্রান্তে দর্শক হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ৪৪ বলে ৬৩ রানে।
শনিবার রাওয়ালপিন্ডিতে ফাইনালে আবার মুখোমুখি হবে পাকিস্তা ও শ্রীলঙ্কা।
শ্রীলঙ্কা: ২০ ওভারে ১৮৪/৫ (মিশারা ৭৬, মেন্ডিস ৪০, লিয়ানাগে ২৪*; আবরার ২/২৮, সাইম ১/১৯)।
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৭৮/৭ (সালমান ৬৩*, উসমান ৩৩, নেওয়াজ ২৭; চামিরা ৪/২০, মালিঙ্গা ২/৫৪)।
ফল: শ্রীলঙ্কা ৬ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: দুষ্মন্ত চামিরা।