বিয়ানীবাজারে পিকআপের চাপায় শিশুর মৃত্যু
Published: 27th, November 2025 GMT
সিলেটের বিয়ানীবাজারে পিকআপের চাপায় জিয়াছমিন আক্তার (৩) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে বিয়ানীবাজার-সারপার সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত জিয়াছমিন উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের সারপার গ্রামের আব্দুল করিমের মেয়ে।
আরো পড়ুন:
খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় নারী নিহত
মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রলির সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেপরোয়া গতিতে আসা একটি পিকআপ জিয়াছমিনকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।
বিয়ানীবাজার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম বলেন, ‘‘ঘাতক পিকআপটি শনাক্তে পুলিশ কাজ করছে।’’
ঢাকা/রাহাত/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
ঈশ্বরদীতে নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত অন্তত ২৫
পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা–কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। জামায়াতের দাবি, তাদের নির্বাচনী প্রচারণার সময় বিএনপির লোকজন হামলা করেছেন। বিএনপি বলছে, গ্রামের লোকজন একত্রিত হয়ে জামায়াতের লোকজনকে ধাওয়া দিয়েছে।
উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি গ্রামে এ ঘটনায় দুই পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে সাতজনকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়। অন্যরা বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মাঠে কাজ করছেন দলের চেয়ারপরসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান। জামায়াতের প্রার্থী জেলা জামায়াতের আমির আবু তালেব মন্ডল। উপজেলার চরগড়গড়ি গ্রামে কয়েক দিন ধরেই দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। দুই দিন আগে তাঁদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ বিকেলে জামায়াতের প্রার্থী আবু তালেব মন্ডল এলাকাটিতে গণসংযোগে যান। তাঁরা গ্রামের আলহাজ্ব মোড়ে পৌঁছালে বাধা দেন বিএনপি প্রার্থীর সমর্থকেরা। সেখানে কিছুক্ষণ দুই পক্ষের মধ্যে কথা–কাটাকাটি ও হাতাহাতির পর জামায়াতের প্রার্থী চলে যান। এরপর তিনি ফেরার পথে গ্রামের মৃধাপাড়া মহল্লায় আবারও দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় কয়েকটি গুলির ঘটনা এবং কয়েকটি মোটরসাইকেল ও জামায়াত প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। আহত হন দুই পক্ষের অন্তত ২৫ জন। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও বিভিন্ন বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে জামায়াতের প্রার্থী আবু তালেব মন্ডল অভিযোগ করেন, তাঁরা পূর্বনির্ধারিত কর্মসুচির অংশ হিসেবে গ্রামটিতে নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়েছিলেন। তাঁদের বহরে প্রায় ১৫০টি মোটরসাইকেল ছিল। ফেরার পথে বিএনপি প্রার্থী হাবিবুর রহমানের লোকজন তাঁদের ওপর হামলা চালিয়ে গুলিবর্ষণ করেন। বেশ কিছু মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। এতে তাঁদের ছয়জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিএনপির প্রার্থী হাবিবুর রহমানে মুঠোফোনে বলেন, জামায়াতের নারী কর্মীরা গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটের বিনিময়ে ‘বেহেশতর টিকিট’ পাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছিলেন। স্থানীয় বিএনপি নেতারা এর প্রতিবাদ জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে জামায়াতের প্রার্থী ও জেলা জামায়াতের আমির আবু তালেব মন্ডল অস্ত্রবোঝাই গাড়ি ও লোকবল নিয়ে গ্রামটিতে হানা দেয়। তাঁরা বিএনপির দুজন কর্মীকে মারপিট করে। তখন গ্রামের লোকজন একত্রিত হয়ে তাঁদের ধাওয়া দেয়। এ সময় তাঁরা গুলি ছোড়েন, নেতা-কর্মীদের মারপিট করেন। এতে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের একজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অন্যদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ স ম আবদুন নুর বলেন, খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে। এলাকাটিতে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। তবে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।