পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন ডন!
Published: 27th, October 2025 GMT
পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঢাকাই সিনেমার খল অভিনেতা ডন। তিন দশক ধরে নানা অভিযোগ ও বিতর্কের ভার বইতে থাকা এই অভিনেতা জানিয়েছেন, এবার তিনি নিজের জীবনের দীর্ঘ যন্ত্রণার সুরাহা চান।
গণমাধ্যমে ডন বলেন, “সবাই বলছে আমি নাকি পালিয়ে বেড়াচ্ছি। ৩০ বছর পালাইনি, এখন পালাব কেন? আমি বাসাতেই আছি। ভাবছি, দু-এক দিনের মধ্যেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করব। কারণ ৩০ বছর ধরে যন্ত্রণা ভোগ করছি। এর একটা সুরাহা হওয়া দরকার।”
আরো পড়ুন:
ওয়ালটন ক্যাবলসের নতুন বিজ্ঞাপনে সিয়াম আহমেদ
আপত্তিকর ভিডিও নিয়ে চিরঞ্জীবীর মামলা
অভিনয়ের শুরু থেকেই আলোচনায় ছিলেন ডন। নব্বই দশকে কিংবদন্তি নায়ক সালমান শাহর সঙ্গে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পান তিনি। কিন্তু সালমান শাহর মৃত্যুর পর তার জীবনের মোড় ভিন্ন দিকে ঘুরে যায়।
এ বিষয়ে ডন বলেন, “যে চলচ্চিত্র ভালোবেসে ঘর ছেড়েছি, অভিনয়ের ভালো সুযোগ পাওয়ার আশায় হার্টথ্রব সালমান শাহর সঙ্গে জুটি গড়েছিলাম। মা-বউয়ের ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত মানুষটির সুখ-দুঃখের সাথী হয়েছি। তাকে আনন্দে রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সালমানকে ভালোবেসে আমার ক্যারিয়ারের বারোটা বেজেছে। আজও ঘুরে দাঁড়াতে পারিনি। সালমানকে ভালোবেসেছি বলেই জীবনের প্রচণ্ড ঝড় মেনে নিয়েছি।”
ক্ষোভ ও কষ্টের সুরে ডন বলেন—“সালমানকে ভালোবাসার যন্ত্রণা আর সইতে পারছি না। আমিও তো মানুষ, আমারও তো বাঁচতে ইচ্ছে করে। সালমানকে ভালোবেসে অনেকেই আত্মহত্যা করেছে, আমি করিনি—এটাই কি আমার অপরাধ? আমি আত্মহত্যা করলেই কি সবাই খুশি হতো?”
“উপরে একজন আছেন, তিনি সব দেখেন। একদিন সত্য প্রকাশ হবেই, তবে আমি সেদিন দেখে যেতে পারব কিনা জানি না।” বলেন ডন।
মৃত্যুর আগে সালমান শাহর সঙ্গে শেষ সাক্ষাতের স্মৃতিচারণ করেন ডন। তিনি বলেন, “৩০ আগস্ট আমি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসি। সালমান বলেছিল, পরিচালক শিবলী সাদিক ভাইকে জানাতে যে সে ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় এসে ‘আনন্দ অশ্রু’ সিনেমার শুটিংয়ে অংশ নেবে। আমি খবরটা পৌঁছে দিই। দুই দিনের ফাঁকে ভাবলাম বগুড়ায় ঘুরে আসি, কিন্তু বাস ধর্মঘটের কারণে ঢাকায় ফিরতে পারিনি। এরপর ৬ সেপ্টেম্বর ঝড়ের মতো খবর—সালমান শাহ আর নেই।”
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান সালমান শাহ। তার রহস্যজনক মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে দাবি করেন অভিনেতার সাবেক স্ত্রী সামিরা হক। সালমান শাহর মৃত্যুর প্রায় তিন দশক পর আদালতের নির্দেশে তার অপমৃত্যুর মামলা, হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করেছে পুলিশ।
গত ২০ অক্টোবর, মধ্যরাতে রমনা থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন সালমান শাহর মামা আলমগীর কুমকুম। এ মামলায় সর্বমোট ১১ জনকে আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামি নায়কের সাবেক স্ত্রী সামিরা হক।
অন্য ১০ আসামিরা হলেন—প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই, খলনায়ক ডন, লতিফা হক লুসি, ডেভিড, জাভেদ, ফারুক, মেফিয়ার বিউটি সেন্টারের রুবি, আবদুস সাত্তার, সাজু ও রিজভী আহমেদ ফরহাদ।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন ডন!
পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঢাকাই সিনেমার খল অভিনেতা ডন। তিন দশক ধরে নানা অভিযোগ ও বিতর্কের ভার বইতে থাকা এই অভিনেতা জানিয়েছেন, এবার তিনি নিজের জীবনের দীর্ঘ যন্ত্রণার সুরাহা চান।
গণমাধ্যমে ডন বলেন, “সবাই বলছে আমি নাকি পালিয়ে বেড়াচ্ছি। ৩০ বছর পালাইনি, এখন পালাব কেন? আমি বাসাতেই আছি। ভাবছি, দু-এক দিনের মধ্যেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করব। কারণ ৩০ বছর ধরে যন্ত্রণা ভোগ করছি। এর একটা সুরাহা হওয়া দরকার।”
আরো পড়ুন:
ওয়ালটন ক্যাবলসের নতুন বিজ্ঞাপনে সিয়াম আহমেদ
আপত্তিকর ভিডিও নিয়ে চিরঞ্জীবীর মামলা
অভিনয়ের শুরু থেকেই আলোচনায় ছিলেন ডন। নব্বই দশকে কিংবদন্তি নায়ক সালমান শাহর সঙ্গে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পান তিনি। কিন্তু সালমান শাহর মৃত্যুর পর তার জীবনের মোড় ভিন্ন দিকে ঘুরে যায়।
এ বিষয়ে ডন বলেন, “যে চলচ্চিত্র ভালোবেসে ঘর ছেড়েছি, অভিনয়ের ভালো সুযোগ পাওয়ার আশায় হার্টথ্রব সালমান শাহর সঙ্গে জুটি গড়েছিলাম। মা-বউয়ের ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত মানুষটির সুখ-দুঃখের সাথী হয়েছি। তাকে আনন্দে রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সালমানকে ভালোবেসে আমার ক্যারিয়ারের বারোটা বেজেছে। আজও ঘুরে দাঁড়াতে পারিনি। সালমানকে ভালোবেসেছি বলেই জীবনের প্রচণ্ড ঝড় মেনে নিয়েছি।”
ক্ষোভ ও কষ্টের সুরে ডন বলেন—“সালমানকে ভালোবাসার যন্ত্রণা আর সইতে পারছি না। আমিও তো মানুষ, আমারও তো বাঁচতে ইচ্ছে করে। সালমানকে ভালোবেসে অনেকেই আত্মহত্যা করেছে, আমি করিনি—এটাই কি আমার অপরাধ? আমি আত্মহত্যা করলেই কি সবাই খুশি হতো?”
“উপরে একজন আছেন, তিনি সব দেখেন। একদিন সত্য প্রকাশ হবেই, তবে আমি সেদিন দেখে যেতে পারব কিনা জানি না।” বলেন ডন।
মৃত্যুর আগে সালমান শাহর সঙ্গে শেষ সাক্ষাতের স্মৃতিচারণ করেন ডন। তিনি বলেন, “৩০ আগস্ট আমি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসি। সালমান বলেছিল, পরিচালক শিবলী সাদিক ভাইকে জানাতে যে সে ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় এসে ‘আনন্দ অশ্রু’ সিনেমার শুটিংয়ে অংশ নেবে। আমি খবরটা পৌঁছে দিই। দুই দিনের ফাঁকে ভাবলাম বগুড়ায় ঘুরে আসি, কিন্তু বাস ধর্মঘটের কারণে ঢাকায় ফিরতে পারিনি। এরপর ৬ সেপ্টেম্বর ঝড়ের মতো খবর—সালমান শাহ আর নেই।”
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান সালমান শাহ। তার রহস্যজনক মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে দাবি করেন অভিনেতার সাবেক স্ত্রী সামিরা হক। সালমান শাহর মৃত্যুর প্রায় তিন দশক পর আদালতের নির্দেশে তার অপমৃত্যুর মামলা, হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করেছে পুলিশ।
গত ২০ অক্টোবর, মধ্যরাতে রমনা থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন সালমান শাহর মামা আলমগীর কুমকুম। এ মামলায় সর্বমোট ১১ জনকে আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামি নায়কের সাবেক স্ত্রী সামিরা হক।
অন্য ১০ আসামিরা হলেন—প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই, খলনায়ক ডন, লতিফা হক লুসি, ডেভিড, জাভেদ, ফারুক, মেফিয়ার বিউটি সেন্টারের রুবি, আবদুস সাত্তার, সাজু ও রিজভী আহমেদ ফরহাদ।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত