ব্রেস্ট ক্যানসার সচেতনতা মাস উপলক্ষে বাংলাদেশ সচিবালয়ে তিন দিনব্যাপী ব্রেস্ট ক্যানসার স্ক্রিনিং কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) স্বাস্থ্য ও পরিবার মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।

আরো পড়ুন:

৯ সচিব বাধ্যতামূলক অবসরে 

উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের প্রশিক্ষণ শুরু ২০ অক্টোবর

এতে বলা হয়, নারীদের মধ্যে ক্যানসারজনিত মৃত্যুর প্রধান কারণ স্তন ক্যানসার। ব্রেস্ট ক্যানসারের ভয়াবহতা মোকাবিলায় সচেতনতা বৃদ্ধি, প্রাথমিক শনাক্তকরণ এবং দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশ সচিবালয় ক্লিনিকে একটি বিশেষ তিন দিনব্যাপী ২৭ থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত স্ক্রিনিং কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

বিশ্বব্যাপী অক্টোবর মাসকে ব্রেস্ট ক্যানসার সচেতনতা মাস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। এই সচেতনতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে, সচিবালয়ের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে, এর লক্ষ্য হলো ব্রেস্ট ক্যানসার সচেতনতার এই বার্তা সমাজে একটি সচেতনতা তৈরি করবে।

তিন দিনব্যাপী ব্রেস্ট ক্যানসার স্ক্রিনিং প্রোগ্রামটি প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

এই প্রোগ্রামের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে স্তন ক্যানসার নিয়ে সচেতনতা বাড়ানো এবং তাদের স্তন স্ব-পরীক্ষা এবং প্রাথমিক শনাক্তকরণের পদ্ধতি সম্পর্কে শিক্ষা ও নির্দেশনা দেওয়া।

এই কর্মসূচিতে সরকারি নারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে একজন যোগ্য স্বাস্থ্য সেবা পেশাদার কর্তৃক গোপনীয় স্তন স্বাস্থ্য স্ক্রিনিং ও পরামর্শের সুবিধা। প্রাথমিক স্তন স্ব-পরীক্ষার পদ্ধতিগুলো সহজে বোঝানোর জন্য স্থাপন করা হয়েছে ডিজিটাল কিয়স্ক, যেখানে স্থানীয় ভাষায় অ্যানিমেটেড ভিডিও প্রদর্শিত হবে। সন্দেহজনক স্তনের চাকা বা ফোলা অংশের ক্ষেত্রে দ্রুত মূল্যায়ন এবং পরবর্তী চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় আল্ট্রাসনোগ্রাফি স্ক্যান ও বিশেষজ্ঞের কাছে রেফারেলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

এছাড়া সচেতনতা বাড়াতে অন-সাইটে মেডিকেল পেশাদার এবং নারী নার্স কাউন্সেলরের মাধ্যমে সরাসরি প্রশ্নোত্তর ও ব্যক্তিগত পরামর্শ প্রদানের পাশাপাশি স্ব-পরীক্ষা পদ্ধতি ও স্ক্রিনিং কেন্দ্র সম্পর্কিত প্রচারপত্র বিতরণ করা হবে। স্তন ক্যানসার সম্পর্কে সংহতি প্রকাশের জন্য গোলাপি রিবন বিতরণ করা হবে।

এর মাধ্যমে সচিবালয়ের কর্মীদের মধ্যে স্তন ক্যানসার সচেতনতা সম্পর্কে সরাসরি শিক্ষা প্রদান, পেশাদার পরিবেশে স্ক্রিনিং নিয়ে আলোচনার স্বাভাবিকীকরণ এবং ভবিষ্যতের কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য কর্মসূচির জন্য একটি টেকসই সচেতনতা মডেল তৈরি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই রোগ সম্পর্কে সমাজের ভুল ধারণা দূরীকরণে এবং প্রাথমিক রোগ নির্ণয় নিশ্চিত করতে সবার অংশগ্রহণ জরুরি।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় দেশের নাগরিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এই ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর।

ঢাকা/আসাদ/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ নব য প র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

এই পরিবর্তন স্থায়ী করতে গুমের বিচার নিশ্চিত করা অপরিহার্য: আসিফ নজরুল

অনেক প্রাণ ও ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ একটি পরিবর্তিত পরিবেশে অবস্থান করছি উল্লেখ করে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, এই পরিবর্তন স্থায়ী করতে হলে গুমের বিচার নিশ্চিত করা অপরিহার্য।

আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানের হোটেল আমারিতে ‘ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ: গুম মোকাবিলায় বিচার বিভাগের ভূমিকা’ শীর্ষক এক কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের উদ্যোগে ঢাকার জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের সহযোগিতায় কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।

গুম হত্যার চেয়ে নিকৃষ্টতম অপরাধ উল্লেখ করে আইন উপদেষ্টা বলেন, গুম প্রতিরোধে শুধু আইনগত সংস্কার নয়, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারও প্রয়োজন।

গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন আইন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই এক দিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।

কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গুম–সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, গুম প্রতিরোধে বিচার বিভাগ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও মানবাধিকার কাঠামোর মধ্যে সমন্বিত সহযোগিতা অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন, সাক্ষ্যপ্রমাণ বিশ্লেষণ ও আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে বিচার বিভাগ ও তদন্ত সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি গুমের বিচার নিশ্চিতের মূল চাবিকাঠি।

গুম–সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী বলেন, গুম-সংক্রান্ত মামলাগুলোর কার্যকর তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এখন সময়ের দাবি। তিনি জানান, কমিশন ইতিমধ্যে বিদ্যমান আইনি কাঠামো পর্যালোচনা করছে। গুম–সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি, সাক্ষী সুরক্ষা ও ভুক্তভোগী পরিবারের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের প্রস্তাব প্রস্তুত করছে।

‘ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ: গুম মোকাবিলায় বিচার বিভাগের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় উপস্থিত অংশগ্রহণকারীদের একাংশ। আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানের হোটেল আমারিতে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এই পরিবর্তন স্থায়ী করতে গুমের বিচার নিশ্চিত করা অপরিহার্য: আসিফ নজরুল