১ মাসেও দায়িত্ব বুঝে পাননি বন্দর গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ
Published: 27th, October 2025 GMT
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের নিদের্শনার পরও বন্দর গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব বুজে পাননি সহকারী প্রধান শিক্ষক মো: ইসমাইল হোসেন।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মো: মাঈন উদ্দিন সাক্ষরিত এক চিঠিতে (স্মরক নম্বর: ৩৭.০২.০০০০.০০০.১০৫.২৭.০০৪৩.২৩.৯১২) তাকে বন্দর গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিশেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
স্মারকে উল্লেখ করা হয়, বন্দর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদানের জন্য একই প্রতিষ্ঠানের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো: ইসমাইল হোসেন মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে আবেদন করেছেন।
বর্ণিত বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং-৩৭.
স্মারকের অনুলিপি দেয়া হয়েছে, পরিচালক, পরিচালকের দপ্তর, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা ঢাকা অঞ্চল, ঢাকা। আঞ্চলিক উপপরিচালক, বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা ঢাকা অঞ্চল, ঢাকা।
সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট (অতিরিক্ত দায়িত্ব), ইএমআইএস সেল, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা অফিস, নারায়ণগঞ্জ। অধ্যক্ষ, বন্দর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, বন্দর, নারায়ণগঞ্জ। এবং সংরক্ষণ নথি, বেসরকারি কলেজ শাখা, মাউশি অধিদপ্তর।
উল্লেখিত নির্দেশনার এক মাস পেরিয়ে গেলেও মো: ইসমাইল হোসেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের চেয়ারে বসতে পারছেন না। যদিও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদানের জন্য গত ১ অক্টোবর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন মো: ইসমাইল হোসেন। কিন্তু তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে না।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে নারায়ণগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো: আতিকুর রহমান জানান, আমি একদিন বন্দর গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের গিয়েছিলাম। তখন শুনেছি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নতুন একজন নিয়োগ হওয়ার কথা।
পরবর্তীতে কি হয়েছে আমি জানি না। তবে এ বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলেন। তিনি বিস্তারিত বলতে পারবেন। আমি নিজেও খোঁজ নিচ্ছি।
বন্দর উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার মো: আব্দুল কাইয়ুম খান বলেন, স্কুলের সভাপতি এডিসি জেনারেল। সভাপতি মহোদয় দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার কথা। এ বিষয়ে সভাপতি মহোদয় বলতে পারবেন।
পরে এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: আলমগীর হুসাইনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ক ল কল জ ন র য়ণগঞ জ অফ স র
এছাড়াও পড়ুন:
নিহত কালামের দাফন, ‘দুই সন্তান নিয়ে কোথায় দাঁড়াব’—স্ত্রীর প্রশ্ন
ঈশ্বরকাঠি গ্রামটি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা সদর হতে ২ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত। পদ্মা ও কীর্তিনাশা নদীর তীরঘেঁষা নির্মল ও শান্ত গ্রামটিতে চলছে শোক।
ঢাকায় মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে নিহত আবুল কালামের দ্বিতীয় জানাজা আজ সোমবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্রামটির পোরাগাছা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে। পরে সকাল ১০টার দিকে নড়িয়া পৌর কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসী অশ্রুসিক্ত নয়নে তাঁকে শেষবিদায় জানিয়েছেন।
আরও পড়ুনশৈশবে বাবা-মা হারানো আবুল কালামের এমন মৃত্যু মানতে পারছেন না স্বজনেরা১৭ ঘণ্টা আগেআবুল কালামের বাড়ি উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের ঈশ্বরকাঠি গ্রামে। তাঁর এমন অকালমৃত্যু মানতে পারছেন না স্বজন ও গ্রামের মানুষেরা। তিনি ওই গ্রামের জলিল চোকদার ও হনুফা বেগম দম্পতির ছেলে। চার ভাই ও ছয় বোনের মধ্যে আবুল কালাম ভাইদের দিক থেকে সবার ছোট। ২০ বছর আগে তাঁর বাবা ও মা মারা যান। এরপর তিনি বেড়ে ওঠেন বড় ভাই ও বোনদের কাছে।
স্ত্রী ও দুই শিশুসন্তান নিয়ে আবুল কালাম নারায়ণগঞ্জের পাঠানটুলি এলাকায় বসবাস করতেন। আর কাজ করতেন রাজধানীর মতিঝিলের একটি ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে। ওই কাজের জন্যই প্রতিদিন তিনি নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা যাতায়াত করতেন।
আবুল কালামের দ্বিতীয় জানাজা আজ সোমবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈশ্বরকাঠি গ্রামের পোরাগাছা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে