সোনারগাঁ উপজেলায় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির অভিযানে ৪০০টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় একটি অবৈধ চুনা কারখানাও গুড়িয়ে দেওয়া হয়।

সোমবার(২৭অক্টোবর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের মেঘনা নিউ টাউন গঙ্গানগর এলাকায় মোবাইল কোর্টের উপস্থিতিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সৈকত রায়হান এবং তিতাস গ্যাস সোনারগাঁ জোনের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী রবিউল আওয়াল।

অভিযানে আরও অংশ নেন তিতাসের সহকারী প্রকৌশলী অনিক ও সালাউদ্দিনসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য। ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় পানি ছিটিয়ে চুনা ভাটির কাঁচামাল নষ্ট করা হয় এবং পরে এক্সকাভেটরের সাহায্যে পুরো কারখানাটি গুড়িয়ে দেওয়া হয়।

তিতাস গ্যাস সোনারগাঁ জোনের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী রবিউল আওয়াল জানান, সোনারগাঁ এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ অভিযান নিয়মিতভাবে পরিচালিত হচ্ছে। যেখানেই অবৈধ সংযোগ পাওয়া যাবে, সেখানেই অভিযান চালানো হবে বলে জানান তাঁরা।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ স ন রগ

এছাড়াও পড়ুন:

বর্ণিল আয়োজনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদ্‌যাপন

‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান, স্বপ্ন জয়ে অটল প্রাণ’ স্লোগান নিয়ে সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে ক্যাম্পাসে র‍্যালি, চারুকলা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সোমবার সকালে শহীদ মিনার চত্বরে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। উপাচার্য মো. রেজাউল করিম বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি শোভাযাত্রা ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে রায়সাহেব বাজার মোড় ও ভিক্টোরিয়া পার্ক ঘুরে আবার ক্যাম্পাসে ফিরে আসে। এরপর শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনে চারুকলা অনুষদের আয়োজনে ‘বার্ষিক শিল্পকর্ম ২০২৫’ শীর্ষক একটি চারুকলা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত আলোচনা সভায় উপাচার্য মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘২০০৫ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁর সেই পদক্ষেপের ফলেই আজ আমরা এখানে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারছি। গত এক বছরে আমাদের অর্জন সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাই সবচেয়ে ভালো জানেন। আমরা যখন দায়িত্ব নিই, তখন শিক্ষার্থীসংশ্লিষ্ট বাজেট ছিল খুবই সীমিত। এখন আমরা সেই বাজেট উল্লেখযোগ্য হারে বাড়াতে পেরেছি।’

উপাচার্য আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমরা একাডেমিক মানোন্নয়ন ও অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে কাজ করে যাব। নিয়মিত ক্লাস মনিটরিং–ব্যবস্থা চালু থাকবে ও ফলাফল প্রকাশে যেন কোনো বিলম্ব না হয়, সে জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি শিক্ষকদের গবেষণায় শিক্ষার্থীদের গবেষণা সহকারী হিসেবে যুক্ত করা হচ্ছে, যাতে তারা হাতে-কলমে গবেষণার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে।’

‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান, স্বপ্ন জয়ে অটল প্রাণ’ স্লোগান নিয়ে সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন করা হয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ