তুরস্কের ফুটবলে ১৫২ জন রেফারি সক্রিয়ভাবে বাজির সঙ্গে জড়িত
Published: 28th, October 2025 GMT
বাজি যে এতটা গভীরে ঢুকে গেছে, সেটা বোধ হয় ভাবেনি তুরস্ক ফুটবল ফেডারেশন (টিএফএফ)।
রেফারির দায়িত্ব ম্যাচ সঠিকভাবে পরিচালনা করা। সেই রেফারিই যদি ম্যাচে বাজি ধরেন, তাহলে ব্যাপারটা আর ভালো থাকে না। রেফারিদের একটা বড় অংশ নিয়ে টিএফএফ এখন এই সমস্যাতেই পড়েছে।
এক তদন্তে শত শত রেফারির ব্যক্তিগত বেটিং অ্যাকাউন্টের হদিস পেয়েছে টিএফএফ। ফেডারেশন গতকাল জানিয়েছে, অভিযুক্ত এসব রেফারির বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভাঙার অভিযোগে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে টিএফএফ। আর সেই তদন্তে বেরিয়ে এসেছে বিস্ময়ে চোয়াল ঝুলে যাওয়ার মতো খবর। টিএফএফ সভাপতি ইব্রাহিম হাজিওসমানগ্লু জানান, তুরস্কের পেশাদার লিগগুলোতে সক্রিয় ৫৭১ জন রেফারির মধ্যে ৩৭১ জনের বেটিং অ্যাকাউন্ট আছে। এর মধ্যে ১৫২ জন রেফারি সক্রিয়ভাবে বাজির সঙ্গে জড়িত।
ইস্তাম্বুলে সংবাদ সম্মেলনে হাজিওসমানগ্লু বলেন, ‘ফেডারেশন হিসেবে আমরা নিজেদের উঠান আগে পরিষ্কার করতে শুরু করেছি। যাঁদের বেটিং অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৭ জন শীর্ষ পর্যায়ের রেফারি, ১৫ জন শীর্ষ পর্যায়ে সহকারীর দায়িত্বে আছেন। ৩৬ জন বিভিন্ন পর্যায়ের রেফারি এবং ৯৪ জন বিভিন্ন পর্যায়ের সহকারী।’
হাজিওসমানগ্লু আরও জানিয়েছেন, কয়েকজন রেফারি অবিশ্বাস্য পরিমাণে বাজি ধরেছেন—একজন ১৮ হাজার ২২৭ বার বাজি ধরেছেন, আর ৪২ জন রেফারির প্রত্যেকে এক হাজারের বেশি ম্যাচে বাজি ধরেছেন। অন্যরা একবার করে বাজি ধরেছেন।
আরও পড়ুনএ বছর আর খেলতে পারবেন না ডি ব্রুইনা৮ ঘণ্টা আগেফেডারেশনের শৃঙ্খলা কমিটি তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন হাজিওসমানগ্লু। তাঁর ভাষায়, ‘ওদের শৃঙ্খলা কমিটির কাছে পাঠানো হবে এবং আমাদের নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।’ তিনি আরও জানান, এই তদন্তে যে তথ্য মিলেছে, তা গত পাঁচ বছর সময়কালের এবং তুরস্কের ক্রীড়া আইনের আওতায় পড়ে।
টিএফএফ শৃঙ্খলাবিধির ৫৭ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ফুটবল ম্যাচে বাজি ধরার অপরাধে দোষী প্রমাণিত ব্যক্তিদের শাস্তি হিসেবে তিন মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত রেফারিং বা ফুটবল-সম্পর্কিত যেকোনো কর্মকাণ্ড থেকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জন র ফ র ট এফএফ ত রস ক পর য য় তদন ত ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
তুরস্কের ফুটবলে ১৫২ জন রেফারি সক্রিয়ভাবে বাজির সঙ্গে জড়িত
বাজি যে এতটা গভীরে ঢুকে গেছে, সেটা বোধ হয় ভাবেনি তুরস্ক ফুটবল ফেডারেশন (টিএফএফ)।
রেফারির দায়িত্ব ম্যাচ সঠিকভাবে পরিচালনা করা। সেই রেফারিই যদি ম্যাচে বাজি ধরেন, তাহলে ব্যাপারটা আর ভালো থাকে না। রেফারিদের একটা বড় অংশ নিয়ে টিএফএফ এখন এই সমস্যাতেই পড়েছে।
এক তদন্তে শত শত রেফারির ব্যক্তিগত বেটিং অ্যাকাউন্টের হদিস পেয়েছে টিএফএফ। ফেডারেশন গতকাল জানিয়েছে, অভিযুক্ত এসব রেফারির বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভাঙার অভিযোগে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে টিএফএফ। আর সেই তদন্তে বেরিয়ে এসেছে বিস্ময়ে চোয়াল ঝুলে যাওয়ার মতো খবর। টিএফএফ সভাপতি ইব্রাহিম হাজিওসমানগ্লু জানান, তুরস্কের পেশাদার লিগগুলোতে সক্রিয় ৫৭১ জন রেফারির মধ্যে ৩৭১ জনের বেটিং অ্যাকাউন্ট আছে। এর মধ্যে ১৫২ জন রেফারি সক্রিয়ভাবে বাজির সঙ্গে জড়িত।
ইস্তাম্বুলে সংবাদ সম্মেলনে হাজিওসমানগ্লু বলেন, ‘ফেডারেশন হিসেবে আমরা নিজেদের উঠান আগে পরিষ্কার করতে শুরু করেছি। যাঁদের বেটিং অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৭ জন শীর্ষ পর্যায়ের রেফারি, ১৫ জন শীর্ষ পর্যায়ে সহকারীর দায়িত্বে আছেন। ৩৬ জন বিভিন্ন পর্যায়ের রেফারি এবং ৯৪ জন বিভিন্ন পর্যায়ের সহকারী।’
হাজিওসমানগ্লু আরও জানিয়েছেন, কয়েকজন রেফারি অবিশ্বাস্য পরিমাণে বাজি ধরেছেন—একজন ১৮ হাজার ২২৭ বার বাজি ধরেছেন, আর ৪২ জন রেফারির প্রত্যেকে এক হাজারের বেশি ম্যাচে বাজি ধরেছেন। অন্যরা একবার করে বাজি ধরেছেন।
আরও পড়ুনএ বছর আর খেলতে পারবেন না ডি ব্রুইনা৮ ঘণ্টা আগেফেডারেশনের শৃঙ্খলা কমিটি তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন হাজিওসমানগ্লু। তাঁর ভাষায়, ‘ওদের শৃঙ্খলা কমিটির কাছে পাঠানো হবে এবং আমাদের নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।’ তিনি আরও জানান, এই তদন্তে যে তথ্য মিলেছে, তা গত পাঁচ বছর সময়কালের এবং তুরস্কের ক্রীড়া আইনের আওতায় পড়ে।
টিএফএফ শৃঙ্খলাবিধির ৫৭ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ফুটবল ম্যাচে বাজি ধরার অপরাধে দোষী প্রমাণিত ব্যক্তিদের শাস্তি হিসেবে তিন মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত রেফারিং বা ফুটবল-সম্পর্কিত যেকোনো কর্মকাণ্ড থেকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে।