আমার যদি কিছু হয়, তার দায়িত্ব পশ্চিমবঙ্গ সরকার নেবে, প্রশ্ন শ্রীলেখার
Published: 30th, October 2025 GMT
নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার আলোচিত অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। কালীপূজার আগের দিন আবাসিক এলাকায় অবৈধ বাজি বিক্রি বন্ধ করার পর এ অভিনেত্রীর আবাসনের ফেসিলিটি ম্যানেজার তাকে একাধিকবার হুমকি দিয়েছেন।
ঝামেলার শুরু ১৯ অক্টোবর থেকে। কালীপূজার আগের দিন বহুতল আবাসনের নির্দিষ্ট একটি জায়গায় বাজি বিক্রি করতে দেখেন শ্রীলেখা মিত্র। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ জানান তিনি। পুলিশেও খবর দেন। অভিযোগ পেয়ে আবাসনে পুলিশ এসেছিল। তারপর থেকেই যত সমস্যার সূত্রপাত। নিজের ফ্ল্যাটের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ধার্য খরচ দেওয়ার পরও তাকে কোনো ধরনের নিরাপত্তা, সুযোগসুবিধা দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ শ্রীলেখার।
আরো পড়ুন:
আমি অর্ধেক মরে বেঁচে আছি: শ্রীলেখা
ফেরদৌসের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন, মুখ খুললেন শ্রীলেখা
আবাসিক ভবনটির প্রতিটি ফ্ল্যাট থেকে প্রতিদিন সকালে আবর্জনা নিয়ে যান সংশ্লিষ্ট পৌরকর্মী। কিন্তু বেশ কিছু দিন ধরে শ্রীলেখার ফ্ল্যাটের আবর্জনা নেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ অভিনেত্রীর। শ্রীলেখা বলেন—“আমি বাজি বিক্রি বন্ধ করেছিলাম বলেই আজকের এই পরিস্থিতি।”
এ পরিস্থিতিতে শ্রীলেখা তার ফ্ল্যাটের সামনে সিসিটিভি লাগানোর সিদ্ধান্ত নেন। তাতেও বাধা দেন ফেসিলিটি ম্যানেজার। সেই মুহূর্তের একটি ভিডিও শ্রীলেখা তার ফেসবুকে পোস্ট করেছেন, সেখানে অভিনেত্রীর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। শ্রীলেখা বলেন, “আমার ফ্ল্যাটের সামনে সিসিটিভি লাগিয়েছি। কিন্তু কোনোভাবেই এটা লাগাতে দেবে না। যেসব লোক আমার সিসিটিভি লাগিয়েছে, তাদেরও হুমকি দিয়েছে। তারা কীভাবে ভবন থেকে বের হয়ে যায়, সেটা দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।”
খানিকটা ব্যাখ্যা করে শ্রীলেখা মিত্র বলেন, “সিসিটিভি লাগানোর কারণে আবাসনের ফেসিলিটি ম্যানেজার বলেছেন, ‘আমাকে আর কোনো নিরাপত্তা দেওয়া হবে না।’ বাজি বিক্রি নিয়ে প্রতিবাদ করায় সেদিনও তিনি হুমকি দিয়েছিলেন। কোথা থেকে এত সাহস পান উনি? আমার সব জানা আছে।”
প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে শ্রীলেখা মিত্র বলেন, “অন্যায় দেখার পরও যদি চোখ বন্ধ করে থাকতাম, শাসক দলের লাইনে থাকতাম তাহলে এত এত সমস্যার মুখোমুখি আমাকে হতে হতো না। অন্যায় দেখলে কথা বলার বদভ্যাস আছে, তারই ভুক্তভোগী আমি। হুমকি, এই অসভ্য আচরণ প্রত্যেক দিন চলছে, এরপর যদি আমার কিছু হয়, তাহলে তার দায়িত্ব কলকাতা পুলিশ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার নেবে কি? আমি তো আমার নিজের নিরাপত্তাটা দেখব!”
আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়ে শ্রীলেখা মিত্র বলেন, “আমি পুলিশ, করপোরেশনসহ নানা জায়গায় জানিয়েছি। আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছি। আমি শিল্পী মানুষ, এ রকম অশান্তি করার কোনো ইচ্ছা নেই। এর ফলে আমার শরীর খারাপ হয়ে যাচ্ছে। একজন মহিলা একা থাকে বলে হেনস্তা করা সহজ, তাই না!”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
পাকিস্তানের সঙ্গে চীনের তামাশা
মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায় পর্যন্ত পাকিস্তানিরা আশা করেছিল, চীন হয়তো তাদের পক্ষ নিয়ে যুদ্ধে অংশ নেবে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জারের চীন সফরে মধ্যস্থতা করে তাদের সেই আশা আরও প্রবল হয়েছিল। কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেছেন, পাকিস্তানের প্রধান লক্ষ্য ও শেষ পর্যন্ত প্রবল আশা ছিল, যা তারা প্রকাশ্যে দেখাচ্ছিল, তা হলো চীন শেষ পর্যন্ত তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসবে। কিন্তু এটি ছিল একটি তামাশা। কারণ, চীনারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা সামরিকভাবে যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করবে না। সব ধরনের কূটনৈতিক সহায়তা দেবে।
রোববার দ্য ডেইলি স্টার মিলনায়তনে ‘মুক্তিযুদ্ধের বৈশ্বিক ইতিহাস’ শীর্ষক আলোচনায় অধ্যাপক রেহমান সোবহান এই মন্তব্য করেন।
ডেইলি স্টার ইতিহাসের বিভিন্ন বিষয় ও ব্যক্তির অবদান তুলে ধরতে ‘ইতিহাস আড্ডা’ শীর্ষক ধারাবাহিক আলোচনার আয়োজন করেছে। এটি ছিল সপ্তম আয়োজন। কবি ইমরান মাহফুজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
অনুষ্ঠানের নির্ধারিত আলোচক ছিলেন অধ্যাপক রেহমান সোবহান, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও অধ্যাপক নাভিন মুর্শিদ। অসুস্থতার কারণে আরেক আলোচক গবেষক–সাংবাদিক মঈদুল হাসান আসতে পারেননি।
চীনের তামাশা, যুক্তরাষ্ট্রের নাটকঅধ্যাপক রেহমান সোবহান মুক্তিযুদ্ধকালে তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও ভূমিকার পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘ আলোচনা করেন। তিনি বলেন, চীন পাকিস্তানের সঙ্গে যে তামাশা করছিল, সেই নাটক সাজিয়ে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। চীনকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল, যেন তারা যুদ্ধে যোগ দেয়। চীন যখন যুদ্ধে আসছিল না, তখন যুক্তরাষ্ট্র তাদের সপ্তম নৌবহর বঙ্গোপসাগরে পাঠানোর হুমকি দেয়। কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তাদের নৌবহরকে মার্কিন সপ্তম নৌবহরের গতিবিধি লক্ষ করতে নির্দেশ দিয়েছিল। সপ্তম নৌবহর আর আসেনি। এর পরিণতিতেই নিয়াজির চূড়ান্ত আত্মসমর্পণ এবং স্বাধীন বাংলাদেশের উত্থান।
‘মুক্তিযুদ্ধের বৈশ্বিক ইতিহাস’ শীর্ষক ইতিহাস আড্ডায় অধ্যাপক রেহমান সোবহান। রোববার দ্য ডেইলি স্টার মিলনায়তনে