Risingbd:
2025-11-20@07:47:10 GMT

কম খাওয়ার অনেক উপকারিতা 

Published: 20th, November 2025 GMT

কম খাওয়ার অনেক উপকারিতা 

পরিমিত আহার বা কম খাবার গ্রহণের ফলে কম ক্যালোরি গ্রহণ করা হয়। এতে শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমে যায় এবং স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা সহজ হয়। এ ছাড়াও কম খাওয়ার নানা উপকারিতা রয়েছে।  যদিও কম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা মোটেও সহজ নয়। গবেষকেরা জানিয়েছেন, কম খাওয়ার জন্য প্রচণ্ড রকমের ইচ্ছাশক্তি প্রয়োজন হয়।  

কম খাবার গ্রহণ করার উপকারিতা

আরো পড়ুন:

বেবি’স ডে আউট: বাস্তবে একটি শিশুর চরিত্রে দুই শিশু ছিল

প্লিয়াডর্স মাইয়া: যার নামে ‘মে’ মাসের নামকরণ হয়েছে

খাবার গ্রহণ করার সময় যদি পেটের অন্তত ২০ ভাগ খালি থাকে তাহলে শরীরের হজম প্রক্রিয়ায় কম শক্তি ব্যয় হয়। এর ফলে সার্বিকভাবে শক্তি বেশি অনুভূত হয় এবং ক্লান্তি কম লাগে। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, ‘‘ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ বা কম খাওয়া দীর্ঘায়ু হওয়ার সম্ভাবনা বাড়াতে পারে এবং বার্ধক্য প্রক্রিয়া ধীর করে দিতে পারে।’’

পরিমিত খাবার গ্রহনের অভ্যাস হৃদরোগ, টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং নির্দিষ্ট কিছু ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করতে পারে। পেট ভর্তি করে খাবার গ্রহণ করলে তন্দ্রাভাব আসে, কিন্তু অল্প খাবার গ্রহণ করলে এমনটা হয় না।  ফলে মনোযোগ বাড়ে এবং মানসিক সতর্কতা বৃদ্ধি পায়। 

অল্প পরিমাণ খাবার খেয়েও প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেতে পারেন। এজন্য  সকালে রুটি, ডিম ভাজা, সবজি খেতে পারেন। দুপুরের আগে অন্তত একটা ফল, বিশেষ করে টক ফল খেতে পারেন। এরপর দুপুরে পরিমাণমতো ভাত, মাছ, পাতলা ডাল, সবজি খেতে পারেন। বিকেলে মুড়ি খেতে পারেন। রাতে রুটি বা অল্প ভাত, এবং সালাদ খেতে পারেন।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর খ ব র গ রহণ কর

এছাড়াও পড়ুন:

তত্ত্বাবধায়কব্যবস্থা পুনর্বহাল হওয়ায় দেশ গণতন্ত্রের মহাসড়কে হাঁটবে: অ্যাটর্নি জেনারেল

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল হওয়ার পর দেশ গণতন্ত্রের মহাসড়কে হাঁটবে বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলোপ করে যে নির্বাচন হয়েছিল, তাতে দেশের গণতন্ত্রের কবর রচিত হয়েছিল।

আজ বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান। ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলার রায়ের বিষয়ে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে আনা ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে ১৪ বছর আগে দেওয়া রায় পুরোটাই বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। ওই রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল মঞ্জুর ও এ-সংক্রান্ত রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন নিষ্পত্তি করে আজ রায় দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। রায়ে বলা হয়, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার-সম্পর্কিত বিধানাবলি এই রায়ের মাধ্যমে পুনরুজ্জীবিত ও সক্রিয় করা হলো। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারসংক্রান্ত বিধানাবলি ভবিষ্যৎ প্রয়োগ যোগ্যতার ভিত্তিতেই কার্যকর হবে বলে রায়ে এসেছে।

দেশের বিচারব্যবস্থা রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট রায় দেয় কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, তিনি সেটি মনে করেন না। কোন রায় রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট, আর কোন রায় আইনি ব্যাখ্যায় দেশের মানুষের স্বার্থ রক্ষা করবে, গণতন্ত্র রক্ষা করবে, মানুষের ভোটাধিকার রক্ষা করবে, আইনের শাসন রক্ষা করবে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনর্বহাল করবে, তা জাতি বিবেচনা করবে।

আসাদুজ্জামান বলেন, আজকের রায়ে পূর্বের তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল হলো। এটা কার্যকর হবে পরবর্তী সংসদ ভাঙার পরের ১৫ দিনের মধ্যে।

আরও পড়ুনতত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিধান পুনরুজ্জীবিত, কার্যকর ভবিষ্যতে৩ ঘণ্টা আগে

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানে ১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে আনা হয়েছিল। সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না বলে তা সাংবিধানিক হিসেবেই রায়ে ঘোষিত হলো। তত্ত্বাবধায়কব্যবস্থা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য একটি সহায়ক ব্যবস্থা হিসেবে ফুল জাজমেন্টে আসবে বলে মনে করেন তিনি।

জুলাই সনদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার যে রূপরেখা আছে, তার পরিবর্তন সম্ভব হবে কি না, জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘পার্লামেন্টের কিছু ডিসকাশন থাকবে। ২০ বছর পরে জনগণ যদি মনে করে এই ব্যবস্থা পচে-গলে গেছে, এর থেকেও ভালো কোনো ব্যবস্থা গণতন্ত্র সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজন, তাহলে অবশ্যই পার্লামেন্টের ডিসকাশন থাকবে।’

আরও পড়ুনএই রায়ে সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে: বদিউল আলম মজুমদার১ ঘণ্টা আগে

একই আপিল বিভাগে তাঁর আগের রায়কে কলঙ্কিত ও ত্রুটিপূর্ণ বলার ব্যাখ্যা জানিয়ে আসাদুজ্জামান বলেন, ত্রুটিপূর্ণ ও কলঙ্কিত বলেই ওই রায় বাতিল করা হয়েছে। অনেকগুলো কারণের মধ্যে একটা কারণ ছিল, এই রায় লেখার ক্ষেত্রে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক ও তাঁর সহযোগীরা দণ্ডবিধির ২১৯ ধারায় অপরাধ করেছেন।

গণতন্ত্রের স্বার্থে ভবিষ্যতে আবার এই রায় নিয়ে কোনো মন্তব্য আসবে না বলে মনে করেন অ্যাটর্নি জেনারেল।

আরও পড়ুনহাসিনা পালিয়ে যাওয়ায় বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে পেরেছে: রুহুল কুদ্দুস৩২ মিনিট আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ