কুমিল্লার তিতাস উপজেলার কড়িকান্দি-রাজাপুর সড়কের কড়িকান্দি এলাকায় রাজাপুরগামী একটি খালি পণ্যবাহী ট্রলি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিতাস নদে পড়ে যায়। এতে ট্রলির চাপায় নদীতে গোসলে নামা একই বাড়ির তিন নারী ঘটনাস্থলেই মারা যান। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত নারীরা হলেন কড়িকান্দি গ্রামের ফারুক মিয়ার স্ত্রী শামসুন্নাহার আক্তার (৩৬), শুকুর আলীর স্ত্রী রিনা আক্তার (৩৫) ও মো.

ইমনের স্ত্রী রোজিনা (৩০)।

নদ থেকে উদ্ধার করে ওই তিনজনকে তিতাস স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সরফরাজ হোসেন খান তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত রোজিনা আক্তারের মেয়ে শিখা আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, তাঁর মা রোজিনা আক্তার, চাচি রিনা আক্তার এবং ফুফাতো ভাইয়ের স্ত্রী শামসুন্নাহার আক্তার দুপুরের রান্নার কাজ শেষ করে বসতবাড়ির পাশের তিতাস নদে গোসল করতে যান। সেখানে ট্রলির চাপায় তিনজনই ঘটনাস্থলে মারা যান।

নিহত নারীদের প্রতিবেশী মাইনুদ্দিন আহমেদ বলেন, ফারুক মিয়া ও মো. ইমন দুজন ভাই; শুক্কুর আলী তাঁদের ভাগনে। ফারুক হোসেন মাটি কাটার শ্রমিক, ইমন হোসেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক এবং শুক্কুর আলী গ্রামের পুরোনো ভাঙারি পণ্য বেচাকেনা করেন। দুর্ঘটনার সময় তাঁরা কেউ বাড়িতে ছিলেন না।

স্থানীয় বাসিন্দা আহনাব তিহামী বলেন, একই পরিবারের তিন নারী মারা যাওয়ায় পুরো পরিবার শোকে মুহ্যমান। কারও কোনো কথা বলার বা সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা নেই। পরিবারের সদস্যরা শুধু কাঁদছেন। রান্না করা খাবার যেখানে যেমন রেখে গিয়েছিলেন, সেভাবেই পড়ে আছে। তিন পরিবারের কারও দুপুরের খাবার খাওয়া হয়নি।

তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খালেদ সাইফুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিতাস থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

পাবনায় মারধরের মামলায় মহিলা দলের দুই নেত্রী গ্রেপ্তার

পাবনার চাটমোহরে মারধরের মামলায় উপজেলা মহিলা দলের দুই নেত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে উপজেলা সদরে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ বলছে, আদালতে করা একটি মামলায় তাঁরা পলাতক ছিলেন। বৃহস্পতিবার তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন উপজেলা মহিলা দলের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি বুড়ি সরকার (৪২) ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রহিমা রেজা (৪৫)। তাঁদের মধ্যে মাদক কারবার ও সেবনের অভিযোগে রহিমা রেজাকে গত ১ সেপ্টেম্বর সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।

থানা-পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ২৩ আগস্ট বিকেলে উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিএনপির কর্মসূচিতে অংশ নেন উপজেলা মহিলা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তামান্না আজিজা। তখন পূর্ববিরোধের জেরে রহিমা রেজা ও বুড়ি সরকার দেশি অস্ত্র নিয়ে তাঁকে মারধর করেন। এ ঘটনায় তামান্না আজিজা পাবনার আমলি আদালত-৪-এ একটি মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, মারধরের মামলায় দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এর পর থেকে তাঁরা পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে উপজেলা সদরের দুটি বাসা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ