Prothomalo:
2025-12-04@10:22:46 GMT

চুরি করতে গিলে ফেলেন লকেট

Published: 4th, December 2025 GMT

চুরি ঠেকাতে কতশত নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তারপরও অভিনব সব কৌশলে চোরেরা ঠিকই চুরি করে। সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডে এমনই এক চুরির ঘটনা ঘটেছে। সেখানে এক ব্যক্তি একটি গয়নার দোকানে ঢুকে গিলে ফেলেন ডিম্বাকৃতির একটি বড়সড় লকেট।

ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৮ নভেম্বর, নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে। ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি সেদিন অকল্যান্ডের গয়না দোকান ‘পার্ট্রিজ জুয়েলার্সে’ ঢোকেন। এরপর তিনি একটি ফ্যাবার্জে অক্টোপাস লকেট মুখে পুরে দেন। কয়েক মিনিটের মধ্যে দোকানের ভেতরই ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হয়নি।

ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হলেও এখন পর্যন্ত চুরি যাওয়া লকেটটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। গতকাল বুধবার এ তথ্য জানিয়ে পুলিশ বলেছে, তারা এখনো ওই ব্যক্তির প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার অপেক্ষায় আছে।

ইন্সপেক্টর গ্রে অ্যান্ডারসন এক বিবৃতিতে বলেন, গ্রেপ্তার করার সময় ওই ব্যক্তিকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তাঁর ওপর সার্বক্ষণিক নজরদারির জন্য একজন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত লকেটটি উদ্ধার করা যায়নি।

ঘটনার পরদিন গত ২৯ নভেম্বর ওই ব্যক্তিকে অকল্যান্ড ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে হাজির করা হয়। আদালতে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে আনা চুরির অভিযোগ মেনে নেননি বা অস্বীকারও করেননি। তিনি শুধু আদালতে হাজির হয়েছেন।

ওই ব্যক্তি যে লকেটটি গিলে ফেলেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে, সেটি একটি সীমিত সংস্করণের ‘ফ্যাবার্জে এগ লকেট’। ১৯৮৩ সালে মুক্তি পাওয়া জেমস বন্ড সিরিজের চলচ্চিত্র অক্টোপুসি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ওই লকেট তৈরি করা হয়েছে।

সিনেমার মূল কাহিনি গয়না পাচারকে কেন্দ্র করে। সেখানে একটি নকল ফ্যাবার্জে এগ ব্যবহার করে গয়না পাচারের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হয়।

পার্ট্রিজ জুয়েলার্স তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, ডিম্বাকৃতির এই লকেট মাত্র ৫০টি তৈরি করা হয়েছে। এটি ১৮ ক্যারেট সোনায় তৈরি, সবুজ রঙের এনামেল দিয়ে মিনা করা, এতে রয়েছে ১৮৩টি হীরা ও দুটি নীলমণি। লকেটটির উচ্চতা ৮ দশমিক ৪ সেন্টিমিটার। সেটি একটি স্ট্যান্ডের ওপর বসানো ছিল।

লকেটটির দাম ৩৩ হাজার নিউজিল্যান্ড ডলার। মার্কিন ডলারে ১৯ হাজার এবং বাংলাদেশি টাকায় মূল্য ২৩ লাখ টাকার বেশি।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রদ্রিগো চাইলে এমবাপ্পেকে বলতে পারেন, ‘একটা গোল হবে ভাই’

একটা গোল হবে ভাই—রদ্রিগো চাইলে কিলিয়ান এমবাপ্পের কাছে এই আকুতি জানাতে পারেন। রাজার রত্নভান্ডার থেকে এক টুকরা সোনা দিলে যেমন সম্পদ কমে না, একইভাবে এমবাপ্পে যদি এখন রদ্রিগোকে দু–একটি গোল দিয়েও দেন, তাতে কোনো ক্ষতিবৃদ্ধি হয়তো হবে না। কিন্তু ফুটবলে এই নিয়ম নেই। তাই চাইলেও এমবাপ্পের পক্ষে রদ্রিগোকে গোল দেওয়া সম্ভব নয়। ব্রাজিলিয়ান এই তারকাকে দুর্দশা মেনে নিয়ে তাই আপাতত গোলের অপেক্ষাতেই থাকতে হচ্ছে।

রদ্রিগোর গোলখরার ৯ মাস পূর্ণ হলো আজ। মার্চের ৪ তারিখ চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোয় সর্বশেষ আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে গোল করেছিলেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। সেটি ছিল রিয়ালের জার্সিতে তাঁর ৬৮তম গোল।

এর পর থেকে গোলের জন্য প্রহর গুনে চলেছেন তিনি। কিন্তু সোনার হরিণ হয়ে ওঠা গোল যেন ধরাই দিচ্ছে না। সব মিলিয়ে রদ্রিগো গোলহীন আছেন ৩১ ম্যাচ ও ১ হাজার ৩৫১ মিনিট। যেখানে তাঁর ৩১ ম্যাচে গোলহীন থাকার ঘটনা ভুলে যাওয়ার মতো একটি রেকর্ডও বটে, রিয়াল মাদ্রিদের ফরোয়ার্ড হিসেবে টানা সবচেয়ে বেশি ম্যাচে গোলহীন থাকার রেকর্ড।

আরও পড়ুনচলছে এমবাপ্পে-জাদু, জয়ে ফিরল রিয়াল৬ ঘণ্টা আগে

এর আগে জিরোনার বিপক্ষে গোলশূন্য থেকে রদ্রিগো স্পর্শ করেছিলেন মারিয়ানো দিয়াসের ৩০ ম্যাচে গোলহীন থাকার রেকর্ডকে। গতকাল রাতে বিলবাওয়ের বিপক্ষে সেটি ছাড়িয়ে গেছেন তিনি।

৩১ ম্যাচ ধরে গোল পান না রদ্রিগো

সম্পর্কিত নিবন্ধ