নোয়াখালীর সদর উপজেলায় গভীর রাতে এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে মোটরসাইকেল, মোবাইল ও টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রাত ১২টার দিকে উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের বারাইপুর গ্রামে ছিনতাই সংঘটিত হয়।

গুলিবিদ্ধ সাদ্দাম হোসেন (২৭) একই গ্রামের মৃত শাহ আলম মেম্বারের ছেলে এবং স্থানীয় খলিফারহাট বাজারের মোবাইল ব্যবসায়ী।

আরো পড়ুন:

নেত্রকোণায় চালককে হত্যা করে মোটরসাইকেল ছিনতাই

ফরিদপুরে বিশেষ অভিযান ৮ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

সুধারাম থানার ভারপ্রাস্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি নিয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গুলিবিদ্ধ সাদ্দামের বড় ভাই মো.

লিটন বলেন, ‘‘খলিফারহাট বাজারে আমার ছোট ভাই সাদ্দামের দুটি মোবাইল ফোনে দোকান রয়েছে। প্রতিদিনের মতো বুধবার রাত ১১টার দিকে দোকান বন্ধ করে দেয়। এরপর সাদ্দাম মোটরসাইকেল নিয়ে শ্বশুর বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা দেয়। যাত্রা পথে মোটরসাইকেল বারাইপুর গ্রামের লেদু মিয়ার বাড়ির সামনে পৌঁছলে সড়কে স্পিড ব্রেকার থাকায় মোটরসাইকেলের গতি কমিয়ে দেয়। ওই সময় দুর্বৃত্তরা তার দিকে পিস্তল হাতে নিয়ে এগিয়ে আসে। তাৎক্ষণিক সাদ্দাম মোটরসাইকেল রেখে পালাতে চেষ্টা করলে পেছন থেকে গুলি করে। এতে সাদ্দাম পিঠে গুলিবিদ্ধ হয়।’’ 

স্থানীয় লোকজন সাদ্দামকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। শরীরে গুলি আটকে থাকায় সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

ঢাকা/সুজন/বকুল 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ নত ই ছ নত ই

এছাড়াও পড়ুন:

হবিগঞ্জে নারী উদ্যোক্তা মেলায় সংঘর্ষে আহত ৫০ 

হবিগঞ্জে শায়েস্তানগরে নারী উদ্যোক্তা মেলায় দু’দল তরুণের ঝগড়ার জেরে দুইপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে শায়েস্তানগরের মহব্বত কমিউনিটি সেন্টারের সামনে শহরের প্রধান সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

কয়েকদিন ধরেই মহব্বত কমিউনিটি সেন্টারে নারী উদ্যোক্তা মেলা চলছিল। সন্ধ্যায় পটকা ফাটানো নিয়ে শায়েস্তানগর ও মোহনপুর এলাকার দু’দল তরুণের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। রাত ১০টার দিকে তরুণদের পক্ষ নিয়ে এলাকাবাসীরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হন।

সেনাবাহিনীর হবিগঞ্জ সদর ক্যাম্প এবং সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাত ১২টার দিকে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

মোহনপুর এলাকার বাসিন্দারা জানান, শায়েস্তানগরের কয়েকজন তরুণ মোহনপুরে গিয়ে পটকা ফাটায়। পরে মোহনপুরের লোকজন ঘটনা জানার জন্য প্রধান সড়কে গেলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম শাহাবুদ্দিন শাহীন বলেন, ‘‘রাতে প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তদন্ত শেষে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/মামুন//

সম্পর্কিত নিবন্ধ