অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। খবর বাসসের।
আরো পড়ুন:
শেষ ম্যাচে আজারবাইজানের কাছে হারল বাংলাদেশ
হিট অব দ্য মোমেন্টে অনেক কিছু হয়েছে, নির্বাচকের সঙ্গে দ্বন্দ্ব নিয়ে লিটন
ঢাকা/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রলি তিতাস নদে, গোসল করতে আসা তিন নারী নিহত
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার কড়িকান্দি-রাজাপুর সড়কের কড়িকান্দি এলাকায় রাজাপুরগামী একটি খালি পণ্যবাহী ট্রলি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিতাস নদে পড়ে যায়। এতে ট্রলির চাপায় নদীতে গোসলে নামা একই বাড়ির তিন নারী ঘটনাস্থলেই মারা যান। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নারীরা হলেন কড়িকান্দি গ্রামের ফারুক মিয়ার স্ত্রী শামসুন্নাহার আক্তার (৩৬), শুকুর আলীর স্ত্রী রিনা আক্তার (৩৫) ও মো. ইমনের স্ত্রী রোজিনা (৩০)।
নদ থেকে উদ্ধার করে ওই তিনজনকে তিতাস স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সরফরাজ হোসেন খান তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত রোজিনা আক্তারের মেয়ে শিখা আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, তাঁর মা রোজিনা আক্তার, চাচি রিনা আক্তার এবং ফুফাতো ভাইয়ের স্ত্রী শামসুন্নাহার আক্তার দুপুরের রান্নার কাজ শেষ করে বসতবাড়ির পাশের তিতাস নদে গোসল করতে যান। সেখানে ট্রলির চাপায় তিনজনই ঘটনাস্থলে মারা যান।
নিহত নারীদের প্রতিবেশী মাইনুদ্দিন আহমেদ বলেন, ফারুক মিয়া ও মো. ইমন দুজন ভাই; শুক্কুর আলী তাঁদের ভাগনে। ফারুক হোসেন মাটি কাটার শ্রমিক, ইমন হোসেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক এবং শুক্কুর আলী গ্রামের পুরোনো ভাঙারি পণ্য বেচাকেনা করেন। দুর্ঘটনার সময় তাঁরা কেউ বাড়িতে ছিলেন না।
স্থানীয় বাসিন্দা আহনাব তিহামী বলেন, একই পরিবারের তিন নারী মারা যাওয়ায় পুরো পরিবার শোকে মুহ্যমান। কারও কোনো কথা বলার বা সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা নেই। পরিবারের সদস্যরা শুধু কাঁদছেন। রান্না করা খাবার যেখানে যেমন রেখে গিয়েছিলেন, সেভাবেই পড়ে আছে। তিন পরিবারের কারও দুপুরের খাবার খাওয়া হয়নি।
তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খালেদ সাইফুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিতাস থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।