ব্রিসবেনে অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টেও ব্যাটারদের সঙ্গে বলকে কথা বলালেন মিচেল স্টার্ক। ইংল্যান্ড এ ম্যাচে ব্যাট হাতে কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও স্টার্ক শুরুতেই আবার আঘাত হানেন। তবে জ্যাক ক্রলি ও জো রুটের লড়াকু অর্ধশতক ইংল্যান্ডকে লড়াইয়ে টিকিয়ে রাখে।

কিন্তু দিনটি ছিল মূলত স্টার্কের। গাবায় সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনেই কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরামকে পিছনে ফেলে টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে সফল বাঁহাতি পেসার হয়ে গেলেন অস্ট্রেলিয়ান স্পিডস্টার। দিনের প্রথম দুই সেশনে অস্ট্রেলিয়া যে চারটি উইকেট তোলে, তার মধ্যে তিনটিই স্টার্কের ঝুলিতে যায়।

আরো পড়ুন:

আফ্রিদিকে পেছনে ফেলে ছক্কার বিশ্বরেকর্ড গড়লেন রোহিত

ভারতের টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ৬ হার

পার্থে সিরিজ শুরুর ম্যাচে ১০ উইকেট নেওয়া স্টার্কের দরকার ছিল মাত্র তিনটি উইকেট। আর তাতেই আকরামের ৪১৪ উইকেট ছাড়িয়ে রেকর্ড গড়েন তিনি। দিনের শুরুতেই বেন ডাকেট ও অলি পোপকে আউট করে প্রথম দুই ওভারেই ওয়াসিমকে ছুঁয়ে ফেলেন তিনি।

তৃতীয় স্পেলে ফ্লাড লাইটের আলোয় সাদা বল আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে তার হাতে। ফুল লেংথের ওভারপিচড ওয়াইড বলটিতে ড্রাইভ করতে গিয়ে হ্যারি ব্রুক ক্যাচ তুলে দিলে সেটিই হয়ে যায় স্টার্কের ঐতিহাসিক মাইলফলক, টেস্টে ৪১৫তম শিকার।

তালিকার সামগ্রিক শীর্ষে অবশ্য এখনো রয়েছেন শ্রীলঙ্কার রঙ্গনা হেরাথ। তার উইকেট ৪৩৩টি। তবে স্টার্কের সাম্প্রতিক দুর্দান্ত ফর্মে বাকি ১৯ উইকেট তোলা কঠিন কিছু নয় বলেই মনে হচ্ছে। চলতি অ্যাশেজেই তিনি ইতোমধ্যে নিয়েছেন ১৩ উইকেট।

এদিকে ইংল্যান্ডও ব্যাট হাতে দেখিয়েছে দৃঢ়তা। জ্যাক ক্রলি ও জো রুট দু’জনই জমাট অর্ধশতক তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের ছায়া সঙ্গী হতে দেননি। অবশেষে মাইকেল নেসার এসে ভাঙেন ক্রলির সেই দীর্ঘ প্রতিরোধ। দিবা-রাত্রির টেস্টে নেসারের বিশেষ দক্ষতারই পুনরাবৃত্তি এটি। এর পরই স্টার্কের বলে ব্রুক আউট হয়ে ফের ম্যাচের গতিপথ পরিবর্তন হয়।

ডিনার বিরতির সময় ইংল্যান্ডের ভরসা ছিলেন দুই অভিজ্ঞ- অধিনায়ক বেন স্টোকস ও সাবেক অধিনায়ক জো রুট। প্রথম দিনে ৩০০ রান স্পর্শ করার লক্ষ্য নিয়েই তারা দ্বিতীয় সেশনে নেমেছিলেন; আর দ্বিতীয় দিনে হাতে উইকেট রেখেই বড় সংগ্রহ গড়ার প্রত্যাশা ইংলিশ শিবিরের। 

টেস্ট ক্রিকেটে বাঁহাতি পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট:
৪১৫* – মিচেল স্টার্ক (অস্ট্রেলিয়া), ১৯৫ ইনিংস।
৪১৪ – ওয়াসিম আকরাম (পাকিস্তান), ১৮১ ইনিংস।
৩৫৫ – চামিন্দা ভাস (শ্রীলঙ্কা), ১৯৪ ইনিংস।
৩১৭ – ট্রেন্ট বোল্ট (নিউজিল্যান্ড), ১৪৯ ইনিংস।
৩১৩ – মিচেল জনসন (অস্ট্রেলিয়া), ১৪০ ইনিংস।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক র ক ট র কর ড প রথম দ আকর ম উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

ওয়াসিম আকরামের রেকর্ড ভেঙে শীর্ষে স্টার্ক

ব্রিসবেনে অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টেও ব্যাটারদের সঙ্গে বলকে কথা বলালেন মিচেল স্টার্ক। ইংল্যান্ড এ ম্যাচে ব্যাট হাতে কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও স্টার্ক শুরুতেই আবার আঘাত হানেন। তবে জ্যাক ক্রলি ও জো রুটের লড়াকু অর্ধশতক ইংল্যান্ডকে লড়াইয়ে টিকিয়ে রাখে।

কিন্তু দিনটি ছিল মূলত স্টার্কের। গাবায় সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনেই কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরামকে পিছনে ফেলে টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে সফল বাঁহাতি পেসার হয়ে গেলেন অস্ট্রেলিয়ান স্পিডস্টার। দিনের প্রথম দুই সেশনে অস্ট্রেলিয়া যে চারটি উইকেট তোলে, তার মধ্যে তিনটিই স্টার্কের ঝুলিতে যায়।

আরো পড়ুন:

আফ্রিদিকে পেছনে ফেলে ছক্কার বিশ্বরেকর্ড গড়লেন রোহিত

ভারতের টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ৬ হার

পার্থে সিরিজ শুরুর ম্যাচে ১০ উইকেট নেওয়া স্টার্কের দরকার ছিল মাত্র তিনটি উইকেট। আর তাতেই আকরামের ৪১৪ উইকেট ছাড়িয়ে রেকর্ড গড়েন তিনি। দিনের শুরুতেই বেন ডাকেট ও অলি পোপকে আউট করে প্রথম দুই ওভারেই ওয়াসিমকে ছুঁয়ে ফেলেন তিনি।

তৃতীয় স্পেলে ফ্লাড লাইটের আলোয় সাদা বল আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে তার হাতে। ফুল লেংথের ওভারপিচড ওয়াইড বলটিতে ড্রাইভ করতে গিয়ে হ্যারি ব্রুক ক্যাচ তুলে দিলে সেটিই হয়ে যায় স্টার্কের ঐতিহাসিক মাইলফলক, টেস্টে ৪১৫তম শিকার।

তালিকার সামগ্রিক শীর্ষে অবশ্য এখনো রয়েছেন শ্রীলঙ্কার রঙ্গনা হেরাথ। তার উইকেট ৪৩৩টি। তবে স্টার্কের সাম্প্রতিক দুর্দান্ত ফর্মে বাকি ১৯ উইকেট তোলা কঠিন কিছু নয় বলেই মনে হচ্ছে। চলতি অ্যাশেজেই তিনি ইতোমধ্যে নিয়েছেন ১৩ উইকেট।

এদিকে ইংল্যান্ডও ব্যাট হাতে দেখিয়েছে দৃঢ়তা। জ্যাক ক্রলি ও জো রুট দু’জনই জমাট অর্ধশতক তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের ছায়া সঙ্গী হতে দেননি। অবশেষে মাইকেল নেসার এসে ভাঙেন ক্রলির সেই দীর্ঘ প্রতিরোধ। দিবা-রাত্রির টেস্টে নেসারের বিশেষ দক্ষতারই পুনরাবৃত্তি এটি। এর পরই স্টার্কের বলে ব্রুক আউট হয়ে ফের ম্যাচের গতিপথ পরিবর্তন হয়।

ডিনার বিরতির সময় ইংল্যান্ডের ভরসা ছিলেন দুই অভিজ্ঞ- অধিনায়ক বেন স্টোকস ও সাবেক অধিনায়ক জো রুট। প্রথম দিনে ৩০০ রান স্পর্শ করার লক্ষ্য নিয়েই তারা দ্বিতীয় সেশনে নেমেছিলেন; আর দ্বিতীয় দিনে হাতে উইকেট রেখেই বড় সংগ্রহ গড়ার প্রত্যাশা ইংলিশ শিবিরের। 

টেস্ট ক্রিকেটে বাঁহাতি পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট:
৪১৫* – মিচেল স্টার্ক (অস্ট্রেলিয়া), ১৯৫ ইনিংস।
৪১৪ – ওয়াসিম আকরাম (পাকিস্তান), ১৮১ ইনিংস।
৩৫৫ – চামিন্দা ভাস (শ্রীলঙ্কা), ১৯৪ ইনিংস।
৩১৭ – ট্রেন্ট বোল্ট (নিউজিল্যান্ড), ১৪৯ ইনিংস।
৩১৩ – মিচেল জনসন (অস্ট্রেলিয়া), ১৪০ ইনিংস।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ