পরোয়ানাভুক্ত আসামিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কবির (২২), রাজু (২৫), শাহাদাত হোসেন (৩০), রাসেল (৩২), বশির (৬৩), সজীব (২৩), সারফারাজ (২১), পৃথিবী (২২), সাজ্জাদ (২২), জাহিদ (২৮), শাওন (১৯), রাজু (৩২), সোহেব (২৩), সাগর (২০), জীবন (২৪), কাল্লু (৩০), মিন্টু (৩৫), শাকিব (১৯), আঙ্গুর মিয়া (২০), জসীম উদ্দিন (১৯), নয়ন (১৯), রাসেল (১৯), মুসা (১৯), সোহেল (২৪) ও আদর (১৯)।  

মোহাম্মদপুর থানার বরাত দিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিয়মিত মামলা ও পরোয়ানাভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এ ধরনের অভিযান চালু থাকবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

৫ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে কড়াইল বস্তির আগুন, বাসিন্দারা খোলা আকাশের নিচে

ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিটের চেষ্টায় পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে রাজধানীর মহাখালীর কড়াইল বস্তির আগুন। আজ মঙ্গলবার রাত ১০টা ৩৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর আনোয়ারুল ইসলাম এক খুদে বার্তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার কথা জানান।

এর আগে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কড়াইল বস্তিতে আগুন লাগার কথা জানানো হয়। আগুন নেভাতে তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট কাজ শুরু করে। পরে আরও ৮টি ইউনিট গিয়ে আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়।

কড়াইল বস্তির মূল বউবাজার এলাকার বাসিন্দা মো. আব্বাস আলী প্রথম আলোকে বলেন, বউবাজারের কুমিল্লা পট্টি, বরিশাল পট্টি ও ‘ক’ ব্লক এলাকায় আগুন লাগে। ওই অংশে হাজারখানেক ঘর ছিল। আগুন লাগার পর তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

আগুনের কারণে বায়তুল আমান এলাকায় ভিড় নিয়ন্ত্রণের কাজ করছিলেন আবদুর রহিম। তিনি যেই অংশে ভিড় নিয়ন্ত্রণের কাজ করছিলেন, সেটি আগুন লাগা অংশের কাছাকাছি। সেখানে পুলিশ ও আনসার সদস্যরাও ভিড় নিয়ন্ত্রণে কাজ করছিলেন। তাঁরা আগুন লাগার অংশে বহিরাগত কাউকে যেতে দিচ্ছেন না।

আবদুর রহিম বলেন, অনেক পরিবার আগুন লাগার পর আতঙ্কিত হয়ে নিরাপদ জায়গায় চলে গেছে। তাদের ঘরগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। এই সুযোগে কেউ যাতে মালামাল চুরি করতে না পারে, তাই তাঁরা ভিড় নিয়ন্ত্রণ করছেন। কাউকে ভেতরে যেতে দিচ্ছেন না।

খোলা আকাশের নিচে বাসিন্দারা

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বউবাজারের কুমিল্লা পট্টি, বরিশাল পট্টি ও ‘ক’ ব্লকের বাসিন্দারা কেউ কাছের খামারবাড়ি (ঈদগাহ) মাঠে, অনেকে এরশাদ স্কুলমাঠ কিংবা মহাখালী টিঅ্যান্ডটি মাঠে আশ্রয় নিয়েছেন। খামারবাড়ি মাঠে গিয়ে শতাধিক পরিবারের সদস্যদের মালপত্র নিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করতে দেখা গেছে।

পরে টিঅ্যান্ডটি মাঠে গিয়ে দেখা যায়, শত শত মানুষ খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন। তাঁদের সঙ্গে ছিল ঘর থেকে আনা কিছু মালপত্র ও আসবাব। মশার কামড়ের পাশাপাশি হালকা শীত থেকে বাঁচতে কাঠ, প্লাস্টিক পুড়িয়ে তাঁরা মাঠে বসে আছেন।

খামারবাড়ি মাঠে কথা হয় অটোরিকশাচালক রবিন শেখের সঙ্গে। তিনি বলেন, তাঁদের ঘরটা কুমিল্লা পট্টির মায়ের দোয়া স্কুলের পাশে। সাড়ে পাঁচটার দিকে তাঁদের ঘরের কাছেই আগুন ছিল। রাত ৯টার দিকে কথা বলার সময় জানালেন, ঘর এতক্ষণে পুড়ে গেছে হয়তো। কারণ, যখন ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন, তখনই আগুনের তাপে ঘরে থাকা যাচ্ছিল না। সেখানে তাঁদের ভাড়া করা তিনটা ঘর একসঙ্গে ছিল বলেও জানান তিনি।

এ সময় রবিনের স্ত্রী নুরেনা বেগম বলেন, আগুন লাগে বরিশাল পট্টি থেকে। আগুন দ্রুত চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। তাই ঘর থেকে দুটি র‌্যাক ছাড়া কিছুই আনতে পারেননি।

আরও পড়ুনফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে আগুন নেভানোর চেষ্টায় স্থানীয়রাও, রয়েছে পানির সংকট১ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ