তিন জাতি নারী ফুটবল টুর্নামেন্টের পৃষ্ঠপোষক ওয়ালটন লিফট
Published: 25th, November 2025 GMT
ঘরের মাঠে তিন জাতি নারী ফুটবল সিরিজ আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আগামী ২৬ নভেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হবে আজারবাইজান ও মালয়েশিয়া।
এই টুর্নামেন্ট ঘিরে ফুটবল সমর্থকদের উন্মাদনার শেষ নেই। এমন উন্মাদনা, উল্লাসে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে যুক্ত হয়েছে দেশের শীর্ষ এবং স্বনামধন্য টেক জায়ান্ট ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। টুর্নামেন্টের অ্যাসোসিয়েট স্পন্সর হিসেবে থাকছে ওয়ালটন লিফট।
আরো পড়ুন:
মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির নতুন সুযোগ
শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়ে দিল্লিকে নতুন চিঠি ঢাকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
সোমবার (২৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে স্পন্সর হিসেবে যুক্ত হলো ওয়ালটন লিফট। বাফুফে ভবনে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর চিত্রনায়ক আমিন খান, ওয়ালটন লিফটের চিফ বিজনেস অফিসার মো.
সূচি অনুযায়ী, ২৬ নভেম্বর মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করবে বাংলাদেশ। মাঝে ২৯ নভেম্বর লড়বে মালয়েশিয়া ও আজারবাইজান। আর ২ ডিসেম্বর শেষ ম্যাচে শক্তিশালী আজারবাইজানের মুখোমুখি হবে স্বাগতিকরা।
জানা গেছে, বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলের সঙ্গেও যুক্ত ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি খাতের শীর্ষ ব্র্যান্ড ওয়ালটন। আর্জেন্টিনা দলের অফিশিয়াল রিজিওনাল স্পন্সর বাংলাদেশের পতাকা বিশ্ব দরবারে বহন করা ওয়ালটন। ওয়ালটন পণ্যের নানান ধরনের ব্র্যান্ডিং কার্যক্রমে দেখা যাচ্ছে মেসি-মার্টিনেজদের, যা প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম শীর্ষ গ্লোবাল ব্র্যান্ড হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।
আমিন খান বলেন, “ক্রীড়াবান্ধব প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন দেশের ক্রিকেট, ফুটবল এবং অন্যান্য স্পোর্টসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। গত দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে দেশের ঘরোয়া, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পৃষ্ঠপোষকতা করছে ওয়ালটন। এবার বড় আয়োজনে, বৃহৎ পরিসরে বাংলাদেশ ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত হলো ওয়ালটন লিফট।
ঢাকা/সুজন/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
‘প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে’: জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
প্রশাসন নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্যের জেরে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরীকে শোকজ (কারণ দর্শানোর নোটিশ) করেছে জামায়াতে ইসলামী। আগামী সাত দিনের মধ্যে তাঁকে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে সন্তোষজনক জবাব না পেলে তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় গঠনতন্ত্র ও শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আজ মঙ্গলবার জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার স্বাক্ষরিত নোটিশে এ কথা বলা হয়। এতে বলা হয়েছে, ‘বিগত ২২ নভেম্বর (শনিবার) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী দায়িত্বশীল সম্মেলনে আপনি (শাহজাহান চৌধুরী) বক্তব্য প্রদান করেছেন যে, “নির্বাচন শুধু জনগণ দিয়ে নয়, যার যার নির্বাচনী এলাকায় প্রশাসনের যারা আছে, তাদের সবাইকে আমাদের আন্ডারে নিয়ে আসতে হবে। আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে, আমাদের কথায় গ্রেপ্তার করবে, আমাদের কথায় মামলা করবে।” আপনার এই বক্তব্য বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে।’
নোটিশে আরও বলা হয়, ‘আমরা বক্তব্যটি দেখেছি, যা রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের পেশাদারত্ব, নিরপেক্ষতা ও মূল স্পিরিট স্পষ্টভাবে ব্যাহত করেছে। আমরা মনে করি, প্রশাসন পূর্ণ পেশাদারত্বের সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করবে, এখানে আমাদের হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ নেই।’
এর আগেও বিভিন্ন সময়ে শাহজাহান চৌধুরী সাংগঠনিক ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্নকারী ও শৃঙ্খলাবিরোধী বিভিন্ন বক্তব্য রেখেছেন বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, ‘আপনাকে কয়েকবার সতর্ক করা হয়েছে ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এমনকি আমিরে জামায়াতও আপনাকে ডেকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এবং সতর্ক করেছেন। এতদসত্ত্বেও আপনার মধ্যে কোনো পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে না।’
শাহজাহান চৌধুরীর বক্তব্যের পর প্রশাসনের বিভিন্ন স্তর থেকে নিন্দা ও উদ্বেগ জানানোর পাশাপাশি কূটনৈতিক মহল থেকে সরাসরি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়েছে উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়, ‘একই সঙ্গে দেশ-বিদেশে আমাদের জনশক্তি এবং সাধারণ জনগণের মাঝেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এই বক্তব্যের কারণে ইতিমধ্যে সংগঠনের ভাবমর্যাদা গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটি দলীয় গঠনতন্ত্র, নীতি, আদর্শ, শৃঙ্খলা ও দায়িত্বশীল রাজনৈতিক আচরণের পরিপন্থী।’
আরও পড়ুনপ্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহজাহান২৩ নভেম্বর ২০২৫শাহজাহান চৌধুরী চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী। তিনি সাবেক সংসদ সদস্য এবং চট্টগ্রাম নগর জামায়াতের সাবেক আমির।
গত শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের জিইসি কনভেনশন হলে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ‘নির্বাচনী দায়িত্বশীল সম্মেলন’–এ শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচন শুধু জনগণ দিয়ে নয়...যার যার নির্বাচনী এলাকায় প্রশাসনের যারা আছে, তাদের সবাইকে আমাদের আন্ডারে নিয়ে আসতে হবে। আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে, আমাদের কথায় গ্রেপ্তার করবে, আমাদের কথায় মামলা করবে। পুলিশকে আপনার পিছনে পিছনে হাঁটতে হবে। থানার ওসি সকালে আপনার অনুষ্ঠান জেনে নিয়ে আপনাকে প্রটোকল দেবে।’
আরও পড়ুনশাহজাহান চৌধুরীর বক্তব্য ব্যক্তিগত, জামায়াত এটি সমর্থন করে না২৩ নভেম্বর ২০২৫শাহজাহান চৌধুরীর এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনা-সমালোচনার শুরু হয়। এমন পরিস্থিতিতে শাহজাহান চৌধুরীর এ বক্তব্যকে তাঁর নিজস্ব এবং এই বক্তব্য জামায়াত সমর্থন করে না বলে মন্তব্য করেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও চট্টগ্রাম জোনের প্রধান মুহাম্মদ শাহজাহান।
গত রোববার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘বক্তব্যটি আমরা দেখেছি। এটা একান্তই ওনার (শাহজাহান চৌধুরী) বক্তব্য। এটার ব্যাখ্যা উনি ভালো দিতে পারবেন। তাঁর এই বক্তব্য জামায়াত সমর্থন করে না। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। এ ঘটনায় আমরা অভ্যন্তরীণভাবেও আমাদের মতো ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
গতকাল সোমবার শাহজাহান চৌধুরীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। এক প্রতিবাদলিপিতে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, এ ধরনের মন্তব্য একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের উসকানি দেয়।
আরও পড়ুনজামায়াত নেতার বক্তব্যের প্রতিবাদ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের২৪ নভেম্বর ২০২৫