যবিপ্রবিতে ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করায় গ্রামবাসীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের
Published: 25th, November 2025 GMT
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) ক্যাম্পাসসংলগ্ন এলাকায় নারী শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় গ্রামবাসীর সংঘর্ষ হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সংঘর্ষ শুরু হয়। দুইপক্ষ একে অপরের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এখনো কোনো হতাহতের তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আরো পড়ুন:
ঝিনাইদহে বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৬
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষে নিহত ১
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, নারী শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করলে স্থানীয়দের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
ঘটনাস্থলে উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রশাসন শান্তিপূর্ণভাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে।
ঢাকা/রিটন/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
‘প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে’: জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
প্রশাসন নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্যের জেরে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরীকে শোকজ (কারণ দর্শানোর নোটিশ) করেছে জামায়াতে ইসলামী। আগামী সাত দিনের মধ্যে তাঁকে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে সন্তোষজনক জবাব না পেলে তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় গঠনতন্ত্র ও শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আজ মঙ্গলবার জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার স্বাক্ষরিত নোটিশে এ কথা বলা হয়। এতে বলা হয়েছে, ‘বিগত ২২ নভেম্বর (শনিবার) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী দায়িত্বশীল সম্মেলনে আপনি (শাহজাহান চৌধুরী) বক্তব্য প্রদান করেছেন যে, “নির্বাচন শুধু জনগণ দিয়ে নয়, যার যার নির্বাচনী এলাকায় প্রশাসনের যারা আছে, তাদের সবাইকে আমাদের আন্ডারে নিয়ে আসতে হবে। আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে, আমাদের কথায় গ্রেপ্তার করবে, আমাদের কথায় মামলা করবে।” আপনার এই বক্তব্য বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে।’
নোটিশে আরও বলা হয়, ‘আমরা বক্তব্যটি দেখেছি, যা রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের পেশাদারত্ব, নিরপেক্ষতা ও মূল স্পিরিট স্পষ্টভাবে ব্যাহত করেছে। আমরা মনে করি, প্রশাসন পূর্ণ পেশাদারত্বের সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করবে, এখানে আমাদের হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ নেই।’
এর আগেও বিভিন্ন সময়ে শাহজাহান চৌধুরী সাংগঠনিক ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্নকারী ও শৃঙ্খলাবিরোধী বিভিন্ন বক্তব্য রেখেছেন বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, ‘আপনাকে কয়েকবার সতর্ক করা হয়েছে ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এমনকি আমিরে জামায়াতও আপনাকে ডেকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এবং সতর্ক করেছেন। এতদসত্ত্বেও আপনার মধ্যে কোনো পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে না।’
শাহজাহান চৌধুরীর বক্তব্যের পর প্রশাসনের বিভিন্ন স্তর থেকে নিন্দা ও উদ্বেগ জানানোর পাশাপাশি কূটনৈতিক মহল থেকে সরাসরি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়েছে উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়, ‘একই সঙ্গে দেশ-বিদেশে আমাদের জনশক্তি এবং সাধারণ জনগণের মাঝেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এই বক্তব্যের কারণে ইতিমধ্যে সংগঠনের ভাবমর্যাদা গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটি দলীয় গঠনতন্ত্র, নীতি, আদর্শ, শৃঙ্খলা ও দায়িত্বশীল রাজনৈতিক আচরণের পরিপন্থী।’
আরও পড়ুনপ্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহজাহান২৩ নভেম্বর ২০২৫শাহজাহান চৌধুরী চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী। তিনি সাবেক সংসদ সদস্য এবং চট্টগ্রাম নগর জামায়াতের সাবেক আমির।
গত শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের জিইসি কনভেনশন হলে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ‘নির্বাচনী দায়িত্বশীল সম্মেলন’–এ শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচন শুধু জনগণ দিয়ে নয়...যার যার নির্বাচনী এলাকায় প্রশাসনের যারা আছে, তাদের সবাইকে আমাদের আন্ডারে নিয়ে আসতে হবে। আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে, আমাদের কথায় গ্রেপ্তার করবে, আমাদের কথায় মামলা করবে। পুলিশকে আপনার পিছনে পিছনে হাঁটতে হবে। থানার ওসি সকালে আপনার অনুষ্ঠান জেনে নিয়ে আপনাকে প্রটোকল দেবে।’
আরও পড়ুনশাহজাহান চৌধুরীর বক্তব্য ব্যক্তিগত, জামায়াত এটি সমর্থন করে না২৩ নভেম্বর ২০২৫শাহজাহান চৌধুরীর এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনা-সমালোচনার শুরু হয়। এমন পরিস্থিতিতে শাহজাহান চৌধুরীর এ বক্তব্যকে তাঁর নিজস্ব এবং এই বক্তব্য জামায়াত সমর্থন করে না বলে মন্তব্য করেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও চট্টগ্রাম জোনের প্রধান মুহাম্মদ শাহজাহান।
গত রোববার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘বক্তব্যটি আমরা দেখেছি। এটা একান্তই ওনার (শাহজাহান চৌধুরী) বক্তব্য। এটার ব্যাখ্যা উনি ভালো দিতে পারবেন। তাঁর এই বক্তব্য জামায়াত সমর্থন করে না। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। এ ঘটনায় আমরা অভ্যন্তরীণভাবেও আমাদের মতো ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
গতকাল সোমবার শাহজাহান চৌধুরীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। এক প্রতিবাদলিপিতে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, এ ধরনের মন্তব্য একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের উসকানি দেয়।
আরও পড়ুনজামায়াত নেতার বক্তব্যের প্রতিবাদ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের২৪ নভেম্বর ২০২৫