2025-05-03@04:37:44 GMT
إجمالي نتائج البحث: 33

«ফরহ দ মজহ র ব»:

    মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের মানবিক করিডোর দেওয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে প্রক্সি যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আমি কোনোভাবে চাইব না করিডোর দেওয়া হোক। করিডোর কখনও আমাদের দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না।’ শুক্রবার তিনি বগুড়া প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। ফরহাদ মজহার বলেন, যে গণঅভ্যুত্থান হয়ে গেল, তা কোনো রাজনৈতিক দলের ব্যানারে হয়নি। গণঅভ্যুত্থান হয়েছে জনগণের ব্যানারে, সেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ ছিল। কী অভিপ্রায়ে গণঅভ্যুত্থান হলো, সে বিষয় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জন্য নতুন সংবিধান না, নতুন গঠনতন্ত্রের প্রয়োজন। গঠনতন্ত্র মানে কিন্তু আইন না। ইংরেজরা আইন প্রণয়ন করে, আর জনগণ গঠনতন্ত্র করে। তাই আগে গঠনতন্ত্র তৈরি করে গণপরিষদ নির্বাচন করা...
    বিএনপি-জামায়াত দল হিসেবে নয়, জনগণ হিসেবে গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি বা জামায়াত এসে বলছে, আমরা কী অংশগ্রহণ করি নাই? হ্যাঁ, আপনারা অংশগ্রহণ করেছেন। কিন্তু দল আকারে করেন নাই। জনগণ আকারে করেছেন। ফ্যাসিবাদবিরোধী জনগণ নেতৃত্ব দিয়ে নির্দলীয়ভাবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে। জনগণের শক্তি কায়েম করেছে।’আজ শুক্রবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ফরহাদ মজহার এসব কথা বলেন।সংবিধান সংস্কার ইস্যুতে বিএনপির অবস্থানের সমালোচনা করে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আগে গঠনতন্ত্র তারপর সরকার নির্বাচন। সবার আগে গণপরিষদ নির্বাচন। কিন্তু একটা শ্রেণি সবকিছু বাদ দিয়ে শুধু নির্বাচন চাচ্ছে। কারণ তারা মনে করে ১৫ বছর এক দল শাসন ও লুটপাট করেছে, আমরাও ১৫ বছর লুটপাট করব। এ ছাড়া আর কোনো যুক্তি নেই। এত মানুষ...
    কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, যে গণঅভ্যুত্থান হয়ে গেল তা কোনো রাজনৈতিক দলের ব্যানারে গণঅভ্যুত্থান হয়নি, গণঅভ্যুত্থান হয়েছে জনগণের ব্যানারে সেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ ছিল। কী অভিপ্রায়ে গণঅভ্যুত্থান হলো সে বিষয় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। এ জন্য তৃনমূল পর্যায়ে এ অন্তর্বর্তী সরকারকে যেতে হবে। জনগণের কথা শুনে তাদের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ঢাকায় বসে সংস্কার কমিশন গঠন করে সিদ্ধান্ত নিলে তা জনগণের অভিপ্রায় পূরণ হবে না। আজ শুক্রবার দুপুরে তিনি বগুড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। ফরহাদ মজহার আরও বলেন, বাংলাদেশের জন্য নতুন সংবিধান না, নতুন গঠনতন্ত্রের প্রয়োজন। গঠনতন্ত্র মানে কিন্তু আইন না, তবে সংবিধান মানে হচ্ছে আইন। আর আমরা কিন্তু ঔপনিবেশিক শাসক না। ইংরেজরা আইন প্রণয়ন করে আর জনগণ গঠনতন্ত্র করে। আর এ...
    বিশিষ্ট চিন্তাবিদ ও কবি ফরহাদ মজহার বলেছেন, “আমাদের আমূল সংস্কার করতে হবে। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন করা যাবে না। যে নির্বাচন প্রক্রিয়া এখনো দেশে বিদ্যামান রয়েছে সেটি শেখ হাসিনার। এই ফ্যাসিস্টের নির্বাচনী প্রক্রিয়া বাতিল করেই তো নির্বাচনে যেতে হবে। রাষ্ট্র গঠন এবং নির্বাচন দুটি দুই বিষয়।” শুক্রবার (২ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। ফরহাদ মাজহার বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের পর প্রত্যেক তরুণকে সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা দরকার ছিল। একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনী গড়ে তোলা আমাদের প্রথম কাজ ছিল। বাংলাদেশকে রক্ষা করা আমাদের সবার কাজ। আগে দেশকে নিয়ে ভাবেন। আপাতত নির্বাচন বাদ দিন। প্রথমে দেশ গঠন, তারপর নির্বাচন নিয়ে ভাবুন।”  তিনি আরো বলেন, “রাষ্ট্রের গঠনতন্ত্র সংস্কার করতে হবে। জনগণের অধিকার অগ্রাধিকার দিয়ে...
    কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, যে গণঅভ্যুত্থান হয়ে গেল তা কোনো রাজনৈতিক দলের ব্যানারে গণঅভ্যুত্থান হয়নি, গণঅভ্যুত্থান হয়েছে জনগণের ব্যানারে সেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ ছিল। কী অভিপ্রায়ে গণঅভ্যুত্থান হলো সে বিষয় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। এ জন্য তৃনমূল পর্যায়ে এ অন্তর্বর্তী সরকারকে যেতে হবে। জনগণের কথা শুনে তাদের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ঢাকায় বসে সংস্কার কমিশন গঠন করে সিদ্ধান্ত নিলে তা জনগণের অভিপ্রায় পূরণ হবে না। আজ শুক্রবার দুপুরে তিনি বগুড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। ফরহাদ মজহার আরও বলেন, বাংলাদেশের জন্য নতুন সংবিধান না, নতুন গঠনতন্ত্রের প্রয়োজন। গঠনতন্ত্র মানে কিন্তু আইন না, তবে সংবিধান মানে হচ্ছে আইন। আর আমরা কিন্তু ঔপনিবেশিক শাসক না। ইংরেজরা আইন প্রণয়ন করে আর জনগণ গঠনতন্ত্র করে। আর এ...
    কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, সাম্য, মানবিক ন্যায়বিচারসহ তিনটা নীতি প্রতিষ্ঠিত করতে আমরা লড়াই করি। কিন্তু আওয়ামী লীগ এসে দিল্লির প্রয়োজনে আমাদের ওপর চাপিয়ে দিল ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদ। এগুলো আমাদের দাবি ছিল না। এই যে চাপিয়ে দেওয়া তিনটা তথ্যের মধ্যে সমাজতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদ এক হলে এইটাকে বলে ফ্যাসিবাদ। এটা হিটলারও বিশ্বাস করত। জার্মান জাতীয়তাবাদ, বাংলাদেশে বাঙালি জাতীয়তাবাদ। জেনেশুনে ফ্যাসিস্ট সংবিধান আমরা রাখছি। এই জুলাই আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থানের পরও আমরা এই সংবিধান বাতিল করতে পারি নাই। এই দায় আমাদের।  বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রংপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ভাববৈঠকী আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থান: রাষ্ট্র গঠন ও আমাদের দায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, চাপিয়ে দেওয়া সংবিধান যখন তরুণরা বাতিল চাইল, তখন বলা হলো যারা ৭২ এর সংবিধান বাতিল...
    বাহাত্তরের সংবিধান ইস্যুতে বিএনপির অবস্থানের কঠোর সমালোচনা করেছেন কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার। বিএনপি জিয়াউর রহমানের অনুসারী নাকি বিরোধী, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘গণ–অভ্যুত্থান: রাষ্ট্রগঠন ও আমাদের দায়’ শীর্ষক একক বক্তৃতা অনুষ্ঠানের মুখ্য আলোচক হিসেবে ফরহাদ মজহার এসব প্রশ্ন তোলেন।ভাববৈঠকি নামের একটি সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আওয়ামী প্রপাগান্ডা করল, এমনকি বিএনপি শুরু করল, তাঁরা (ছাত্ররা) একাত্তরকে অস্বীকার করতেছে। না, এটা কখনোই নয়। তাঁরা একাত্তরকে পুনরায় ধারণ করছে। এক গৌরবকে হরণ করার জন্য বাহাত্তরের সংবিধান চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন বিএনপির পজিশন (অবস্থান) খেয়াল করুন। এরা কি জিয়াউর রহমানের অনুসারী নাকি জিয়াউর রহমানের বিরোধী? আমাকে খারাপভাবে নেবেন না, আমি খুব ঘনিষ্ঠভাবে বিএনপির হামলা, মামলা, নির্যাতনের পক্ষে থেকেছি। আপনারা অনেকেই জানেন,...
    ভাষা–সংস্কৃতি ও ধর্মের মধ্যে বিভাজন টিকিয়ে রাখলে দেশ আবার গৃহযুদ্ধের মধ্যে চলে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, ‘একাত্তরকে যদি আমরা মুছে দিতে চাই, এটা আমরা মারাত্মক ভুল করব। আমি একটা কথা সবাইকে বলি, আপনি যে পন্থীই হোন না কেন, একাত্তর নিয়ে কোনো দেনদরবার চলবে না, একাত্তর আমার ইতিহাসের অংশ। আমি বাংলাভাষী, বাংলা আমার সংস্কৃতি এবং একই সঙ্গে ইসলাম আমার ধর্ম। আমাকে ইসলাম থেকে যেমন আপনি বঞ্চিত করতে পারবেন না, আমার বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি থেকেও আপনি আমাকে বঞ্চিত করতে পারবেন না। এই বিভাজন যদি টিকিয়ে রাখেন, আমরা আরেকবার গৃহযুদ্ধের মধ্যে চলে যাব। যারা অতীতে ভুল করেছিল, তাদের ভুলটা যদি তারা স্বীকার করে, তাদের মধ্যে অনুশোচনা আসে, তাদের অন্তর্গত করে নিন বৃহত্তর সমাজের মধ্যে।’গতকাল বুধবার...
    জুলাই বিপ্লবে সামনে থাকা মেয়েরা আজ নিরাপদ বোধ করছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট চিন্তাবিদ ও কবি ফরহাদ মজহার। তিনি বলেছেন, “গণঅভ্যুত্থান বলতে আসলে কি বুঝায়, আমাদের সমাজে এর পরিষ্কার ধারণা নেই। সর্বশেষ জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে সামনের সাড়িতে অনেক মেয়ে ছিল। কিন্তু তারা হঠাৎ কোথায় হারিয়ে গেল? তারা আর রাজপথে নেই। কারণ তারা রাজপথে আর নিরাপদবোধ করছে না। আমাদের দেশের জনগণের মধ্যে রাষ্ট্র আর সরকারের পার্থক্য স্পষ্ট না। ফলে দেশ সামনের দিকে আগাতে পারছে না।” সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে ‘অভ্যুত্থান: বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তর’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর হেরিটেজ স্টাডিজ এ সভার আয়োজন করে। আরো পড়ুন: রাবিতে ছড়িয়ে পড়েছে ছোঁয়াচে রোগ ‘স্ক্যাবিস’...
    ছবি: প্রথম আলো
    অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গণঅভ্যুত্থানের ফসল কিন্তু নেতা নন বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও রাষ্ট্রচিন্তাবিদ ফরহাদ মজহার। ড. মোহাম্মদ ইউনূসের সমালোচনা করে তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শক্তি, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা, ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ এক হয়ে লড়েছিল। কিন্তু ড. ইউনুস আমাদের জুলাই ঘোষণাপত্র দেননি। এজন্য আমাদের হাতে বিপ্লবের কোনও দলিল নেই। ড. ইউনূস জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র দিতে দেননি। এটা তিনি মহাভুল করেছেন। আগামী দিনে জনতাকে এর ফল ভোগ করতে হবে। সোমবার বিকেল ৫টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘গণঅভ্যুত্থান : বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তর’ শীর্ষক সভাটি আয়োজন করে সেন্টার ফর হেরিটেজ স্টাডিজ। গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র না থাকায় আমরা দুর্বল হয়েছি উল্লেখ করে এই চিন্তক বলেন, এই...
    অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গণঅভ্যুত্থানের ফসল কিন্তু নেতা নন বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও রাষ্ট্রচিন্তাবিদ ফরহাদ মজহার। ড. মোহাম্মদ ইউনূসের সমালোচনা করে তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শক্তি, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা, ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ এক হয়ে লড়েছিল। কিন্তু ড. ইউনুস আমাদের জুলাই ঘোষণাপত্র দেননি। এজন্য আমাদের হাতে বিপ্লবের কোনও দলিল নাই। ড. ইউনূস জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র দিতে দেননি। এটা তিনি মহাভুল করেছেন। আগামী দিনে জনতাকে এর ফল ভোগ করতে হবে। সোমবার বিকেল ৫টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘গণঅভ্যুত্থান : বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তর’ শীর্ষক সভাটি আয়োজন করে সেন্টার ফর হেরিটেজ স্টাডিজ। গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র না থাকায় আমরা দুর্বল হয়েছি উল্লেখ করে এই চিন্তক বলেন, এই...
    বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে যেমন প্রত্যাশা করেছিলাম, তেমন হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পরে যে সরকার ক্ষমতায় এসেছে। আমরা মনে করি, এই সরকার আমরা যেমন করে প্রত্যাশা করেছিলাম, তেমন করে হয়নি। গণঅভ্যুত্থানের তার যে পূর্ণ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি সরকার দরকার ছিল, সেটি আমরা পাইনি। না পাওয়ার ফলে আমরা অনেক কিছু নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে এবং গণঅভ্যুত্থানে জনগণকে সুফল পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছি।  শুক্রবার দুপুরে প্রেস ক্লাবের সামনে ‘শহরের গরিব শ্রমজীবী মানুষের জন্য বিনা মূল্যে রাস্তার মোড়ে মোড়ে বিশুদ্ধ পানির’ দাবিতে মানববন্ধন এবং গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। যৌথভাবে এ আয়োজন করে ভাববৈঠকি, জুলাই কমিউনিটি অ্যালায়েন্স মিরপুর ও গণঅভ্যুত্থান সুরক্ষা মঞ্চ। ফরহাদ মজহার বলেন, আমরা ড. ইউনূসকে বলতে চাই, তার...
    বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে যেমন প্রত্যাশা করেছেন, তেমন হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, ‘গণ–অভ্যুত্থানের পর সরকার ক্ষমতায় এসেছে। আমরা মনে করি, এই সরকার আমরা যেমন করে প্রত্যাশা করেছিলাম, তেমন করে হয়নি। গণ–অভ্যুত্থানের যে পূর্ণ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি সরকার দরকার ছিল, সেটি আমরা পাইনি। না পাওয়ার ফলে আমরা অনেক কিছু নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে এবং গণ–অভ্যুত্থানে জনগণকে সুফল পৌঁছে দিতে অনেক ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছি।’শহরের গরিব শ্রমজীবী মানুষের জন্য বিনা মূল্যে রাস্তার মোড়ে মোড়ে বিশুদ্ধ পানির দাবিতে মানববন্ধন এবং গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন ফরহাদ মজহার। আজ শুক্রবার প্রেসক্লাবের সামনে এ সমাবেশ হয়। ভাববৈঠকি, জুলাই কমিউনিটি অ্যালায়েন্স মিরপুর ও গণ–অভ্যুত্থান সুরক্ষা মঞ্চ যৌথভাবে এর আয়োজন করে।ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আমরা ড. ইউনূসকে বলতে চাই, তাঁর যে সীমাবদ্ধতা এবং...
    তরুণেরা নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারছে না বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার। তিনি বলেছেন, তরুণেরা যে পথে হাঁটছেন সেটি কোনো সুষ্ঠু ‘মডেল’ নয়।৫ আগস্ট সংবিধানকে বলবৎ রেখে দেওয়ার মাধ্যমে গণ–অভ্যুত্থানকে কবর দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে ফরহাদ মজহার বলেন, সংবিধান রেখে দিয়ে তরুণেরা নিজেদের সুরক্ষাকে ধ্বংস করেছে। আমার ধারণা, আগামী কয়েক দশকে এই সংবিধান নিয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।আজ শনিবার রাজধানীর বিএমএ ভবনের শহীদ ডা. মিলন হক মিলনায়তনে ‘কেমন বাংলাদেশ চাই’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন ফরহাদ মজহার। সম্মিলিত বাংলাদেশ পরিষদ নামের একটি মঞ্চের উদ্যোগে ওই গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করা হয়।তরুণদের শুধরে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘গণতন্ত্র বলতে জনগণের মতামত, যেটা ৫ আগস্টে নির্ধারিত হয়ে গেছে। আমরা এমন কোনো রাষ্ট্র চাই না, যে রাষ্ট্র...
    কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, ‘আজকে যদি বড় বড় দলগুলো গণঅভ্যুত্থান করতে পারতো তাহলে তো তারাই ক্ষমতায় থাকতো। কিন্তু তারা তো সেটি পারেনি। তারা শেখ হাসিনার পরাজিত শক্তি। এখন এসে তারা শুধু নির্বাচন নির্বাচন জপ করছে। আর এখন যারা নির্বাচনের কথা বলে তারা লুটেরা ও মাফিয়া শ্রেণি। তারা এস আলমের টাকায় নির্বাচন করতে চায়।  শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ৯৩টি দলের সমন্বয়ে ‘রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন সংশোধন আন্দোলনের ব্যানারে রাষ্ট্র গঠনে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব ও তার বাস্তবতা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।  আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান এবং ‘রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন সংশোধন আন্দোলনের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসাইন। ফরহাদ মজহার বলেন, ‘সরকার ও রাষ্ট্র দুইটা আলাদা জিনিস। নির্বাচন করি আমরা সরকারের জন্য, রাষ্ট্র গঠনের জন্য নয়।...
    ‘জুলাই ঘোষণা’ না হওয়ায় ছাত্ররা বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়ে গেছেন বলে মনে করেন কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনি ছাত্রদের জুলাই ঘোষণা দিতে দেননি। এটা অন্যায় কাজ হয়েছে।... এরা বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়ে গেছে আজকে। এই ঝুঁকির দায় কে নেবে? কারণ বিএনপি বলেন, আওয়ামী লীগ বলেন, সব একই জিনিস। এরা তো এই তরুণদের বাঁচতে দেবে না।’আজ শনিবার বিকেলে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘রাষ্ট্র গঠনে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব ও তার বাস্তবতা’ শীর্ষক এই আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ফরহাদ মজহার। গণ–অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের অনেকেই তাঁর পাঠচক্রে ছিলেন বলেও অনুষ্ঠানে জানান তিনি।‘রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন সংশোধন আন্দোলন’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত এই আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আপনি...
    বিদ্যমান সংবিধানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট তৈরি হয়েছে, তাই এর অধীনের সরকারকে বৈধ বলে মনে করেন না রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার। তিনি বলেছেন, এই গণঅভ্যুত্থান আমাদেরকে নতুন রাষ্ট্র গঠনের দিকে নেয়নি। গণঅভ্যুত্থানের শেষে শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সংবিধান বহাল রাখা হয়েছে। তা ঠিক বলে মনে করি না। এই সংবিধানের অধীনের সরকারকে বৈধ মনে করি না। আমি জনগণের পক্ষে কথা বলি। এ সরকারের পক্ষে সবসময় থাকার প্রশ্নই আসে না। সকল প্রকার ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে। শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে ইমাজিনেক্সট ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘জাতীয় সংস্কৃতি : প্রেক্ষিতে নতুন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি। শিক্ষার্থীদের জুলাই ঘোষণাপত্রের দাবিকে দেশের নতুন গঠনতন্ত্র উল্লেখ করে ফরহাদ মজহার বলেন, সংবিধান মানে আইন। ইংরেজরা আইন প্রণয়ন করে। জনগণ গঠনতন্ত্র করে। সংবিধান মানেই হচ্ছে ঔপনিবেশিক...
    কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, কমিউনিটি যখন দাঁড়িয়ে যায়, এলাকা যখন দাঁড়িয়ে যায়, তখনই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের উন্মেষ ঘটে। ভোট দিয়ে হয় না, ভোটে লুটেরা-মাফিয়া শ্রেণি আসে। শুক্রবার রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত শাহ আলী মাজারে ‘জুলাই কমিউনিটি অ্যালায়েন্স মিরপুর’ আয়োজিত ‘গণমানুষের জাগ্রত জুলাই’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ফরহাদ মজহার বলেন, গণতন্ত্র কায়েম হয় তখনই, যখন আমরা বুঝবো এই কমিউনিটি সবচেয়ে শক্তিশালী। কমিউনিটির সিদ্ধান্তে এই এলাকায় উন্নয়ন হবে, কমিউনিটি যেমনি করে চায়, তেমনি করে হবে। কমিউনিটি খুব ভালো করে বোঝে কোনটা তার ভালো, কোনটা তার খারাপ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, কিছুদিন আগে শিল্পকলা একাডেমিতে আমরা চাঁদ রাতের উৎসব করেছি। এদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে শিল্পকলা একাডেমি আগে এ কাজ করেনি। তারা মনে করেছেন...
    কবি, প্রাবন্ধিক ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার ফরহাদ মজহার বলেছেন, গণঅভ্যুত্থান কখনোই আইন মেনে চলে না। বরং আইন ভাঙার মাধ্যমেই শুরু হয়। কিন্তু আমরা উল্টো পথে হাঁটলাম, আমরা জীবন দিলাম, আবার সেই পুরনো ফ্যাসিস্ট কাঠামোয় ফিরে গেলাম। যে সংবিধান শেখ হাসিনা রেখে গেছেন, তা-ই এখনও রাষ্ট্র পরিচালনার মূল নিয়ামক। গতকাল বুধবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা সাহিত্য সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত ‘প্রবন্ধ আলোচনা, বৈষম্যবিরোধী কবিতা ও গণসংগীত’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ফরহাদ মজহার বলেন, শেখ হাসিনার ভূত এখনও দেশে আছে। এই ভূতের নাম সংবিধান। যে ফ্যাসিস্ট সংবিধান তিনি লিখে গেছেন, পুরো রাষ্ট্র এখনও সেটাই মেনে চলে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা সাহিত্য সংসদের সভাপতি ডা. মো. সালাহ উদ্দিন শরীফ। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাধারণ সম্পাদক কবি গাজী গিয়াস উদ্দিন।...
    দার্শনিক ও রাষ্ট্রচিন্তক কবি ফরহাদ মজহার বলেছেন, ‘‘গণঅভ্যুত্থান যখন হয় এটা আইন মেনে চলে না। এটা আইন ভাঙার জন্য হয়। আইন ভেঙে আবার যে-যারা গণঅভ্যুত্থান করলো তারা নিজেদের নতুন করে গঠন করবার জন্য নতুন ব্যবস্থা, নতুন আইন, নতুন সংস্কৃতি সৃষ্টি করবে। কিন্তু আমরা উল্টোটা করেছি। আমরা জীবন দিলাম। জীবন দিয়ে আবার শেখ হাসিনার হাতেই ক্ষমতা তুলে দিলাম। শেখ হাসিনার ভূত এখনো দেশে আছে। এই ভূতের নাম সংবিধান। যে ফ্যাসিস্ট সংবিধান তিনি লিখে গেছেন, এই রাষ্ট্র সেই সংবিধান অনুযায়ী চলে।’’ বুধবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে লক্ষ্মীপুরে প্রবন্ধ আলোচনা, বৈষম্যবিরোধী কবিতা ও গণসংগীত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা সাহিত্য সংসদের ব্যানারে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ আয়োজন করা হয়। ফরহাদ মজহার বলেন, ‘‘শেখ হাসিনার ভূত কিন্তু...
    বিএনপিকে নিয়ে কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহারের বক্তব্য বিএনপিসহ ‘সারা দেশের মানুষের হৃদয়ে আঘাত’ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার আন্দোলনে গুম ও শহীদ’ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে এ কথা বলেন শহীদ উদ্দীন চৌধুরী। ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’। এ আয়োজনে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত থেকে বক্তব্য দেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।শহীদ উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ফরহাদ মজহার সাহেব গতকাল বিএনপি সম্পর্কে যে কথা বলেছেন, এটা বিএনপি নয় শুধু, সারা বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে আঘাত করেছে। তাঁর বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে, এ দেশে তাঁর ‘নমিনেটেড’ (মনোনীত) লোক শুধু আন্দোলন করেছে, আর কেউ আন্দোলন করেনি।বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমি মনে করি, যারা এই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে...
    কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, ‘আমাদের কথা শোনা যখন থেকে বন্ধ করে দিয়েছে বিএনপি, তখন থেকে পতন শুরু হয়েছে। এখনো পর্যন্ত যারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়নি, আজ হোক, কাল হোক তারা হারিয়ে যাবে।’ আজ শনিবার দুপুরে যশোর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের আয়োজনে ‘জুলাই বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশে তরুণদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।মধ্যপন্থার রাজনীতির সমালোচনা করে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আমি শুনেছি, তরুণেরা মধ্যপন্থার রাজনীতি করবে, মধ্যপন্থা কী? মধ্যপন্থী মানে সুবিধাবাদী। সব প্রকার ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধ লড়াই চালাতে হবে। এখানে মধ্যপন্থার সুযোগটা কোথায়?’কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইকে পূর্ণ বিজয়ের দিকে নিয়ে যাব। যত রকম ফ্যাসিবাদ আছে, সেটা সেকুলার, ধর্মীয়, যেকোনো ধরনের ফ্যাসিবাদ হতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, এই গণ–অভ্যুত্থান...
    কবি, দার্শনিক ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, আমাদের কথা শোনা যখন থেকে বন্ধ করে দিয়েছে, তখন থেকে বিএনপির পতন শুরু হয়েছে। এখনও যারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়নি– আজ হোক, কাল হোক– তারা হারিয়ে যাবে। শনিবার যশোর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের আয়োজনে ‘জুলাই বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশে তরুণদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থান কখনও সফল হতো না, যদি খালেদা জিয়া আপসহীনভাবে এই সরকারের বিরুদ্ধে না থাকত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ফরহাদ মজহার বলেন, বাহাত্তরের সংবিধান বাংলাদেশের জনগণের সংবিধান ছিল না। এটি ছিল পাকিস্তানের সংবিধান। এটি করা হয়েছিল দিল্লির হাতে বাংলাদেশকে তুলে দেওয়ার জন্য। তিনি বর্তমান সরকারকে নির্বাচিত সরকার দাবি করে বলেন, ড. ইউনূসকে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বসানো হয়েছে। রক্ত দিয়ে তাকে নির্বাচিত করা...
    সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, ‘মনে যদি পুলিশ থাকে, তাহলে বাইরে লাগবে কেন?’ লালন শাহের স্মরণোৎসব উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ছেঁউড়িয়ায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় লালন একাডেমি এ উৎসবের আয়োজন করে। ফরহাদ মজহার বলেন, ‘লালন আমাদের গঠন করতে চেয়েছিলেন। নতুন ধরনের সমাজ গড়ার কথা বলেছেন। নতুন রাষ্ট্র বানানোর কথা বলেছেন। এমন সমাজের স্বপ্ন দেখেছেন, যেখানে পুলিশ লাগে না।’ এর পরও পুলিশ থাকার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘আপনার মনে পুলিশ নাই। আপনি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। আপনি উচ্ছৃঙ্খল।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটা গুরুবাদী ধর্ম। গুরুবাদী মানে, তারা শুধু জীবন্ত মানুষের ভজন করে। গুরু আপনাকে যেটা করতে বলেছেন, এটা করবেন। আপনার গুরু...
    প্রকাশ্যে হত্যার প্ররোচনার অভিযোগে ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসীর বিচার দাবি করে বিবৃতি দিয়েছেন বিশিষ্টজন। সোমবার কবি ও দার্শনিক ফরহাদ মজহার, বুদ্ধিজীবী সলিমুল্লাহ খানসহ ২২৩ লেখক, সাংবাদিক, আলেম, সুফি, গবেষক, শিক্ষক ও সাংবাদিক বিবৃতিতে সই করেন।  বিবৃতিদাতাদের মধ্যে আছেন– সাংবাদিক কাজী জেসিন, উন্নয়ন গবেষক আসীফ মুনীর খান, লেখক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ফাহমিদুল হক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সুমন সাজ্জাদ, চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন, মানবাধিকারকর্মী এলিজা খান, কথাসাহিত্যিক ও অনুবাদক জিয়া হাশান, ঢাকার বকশীবাজারের খানকাহ ফকির জহুর আল ক্বাদরীর পীরসাহেব ফকির শাহ সাঈদ আনওয়ার মোবারকী আল ক্বাদরী, বিশ্ব সুফিবাদ সর্বজনীন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শাহ সুফি শামসুজ্জামান চৌধুরী (সজিব), লেখক ও গবেষক সহুল আহমদ, জুলাই সংগ্রাম পরিষদের মুখপাত্র আজহারুল হক লিংকন,...
    রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এবং কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহারের খাদ্যপণ্যের প্রতিষ্ঠান ‘প্রবর্তনা’য় পেট্রলবোমা নিক্ষেপের ঘটনায় মামলা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, দুই ব্যক্তি ওই বোমা নিক্ষেপ করে পালিয়ে যান।শনিবার রাতে ‘প্রবর্তনা’র একজন কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানায় মামলাটি করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। এতে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) ইবনে মিজান শনিবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রবর্তনা’য় পেট্রলবোমা নিক্ষেপের ঘটনাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে থানা-পুলিশের পাশাপাশি ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ, কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমসহ (সিটিটিসি)বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কাজ করছেন।ইবনে মিজান বলেন, ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনায় প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, শুক্রবার রাত নয়টার পর দুজন ব্যক্তি ‘প্রবর্তনা’য় পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে...
    রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এবং কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহারের প্রতিষ্ঠান ‘প্রবর্তনায়’ পেট্রল বোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুর রহমান জানান, শুক্রবার রাত নয়টার দিকে মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডে প্রবর্তনায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে।পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, পেট্রল বোমার বোতলে আগুন ধরিয়ে ছোড়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে পেট্রল বোমার বোতল উদ্ধার করা হয়েছে।
    রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ও বিশিষ্ট চিন্তক ফরহাদ মজহারের প্রতিষ্ঠান ‘প্রবর্তনায়’ পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। তবে শুক্রবার রাতে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। বিষয়টি জানার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছেন আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা। মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুর রহমান সমকালকে জানান, শুক্রবার রাত নয়টার দিকে মোহাম্মদপুর স্যার সৈয়দ রোডের প্রবর্তনা নামক ওই দোকানে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে পেট্রোল বোমার বোতল উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। হাফিজুর রহমান বলেন, কে বা কারা এই পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছে এবং কেন এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, পেট্রোল বোমার বোতলে আগুন ধরিয়ে ছোড়া হয়েছে। তবে আগুন পুরোপুরি লাগেনি। টিনের...
    কবি, চিন্তক ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার ফরহাদ মজহার বলেছেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস অবশ্যই ব্যর্থ হবেন এবং এই সরকার ব্যর্থ হতে বাধ্য অনিবার্যভাবেই। যেহেতু এই সরকার গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিটের ওপর দাঁড়ানো নেই। যারা গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে যুক্ত নয়, তারা ইতিমধ্যে রাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। ৫ আগস্টে যারা পরাজয় বরণ করেছিল, তারা নতুন করে নিজেদের সংগঠিত করছে।শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে এক অনুষ্ঠানে ফরহাদ মজহার এ কথাগুলো বলেন। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের থানা প্রতিনিধি সভার এই আয়োজনে ফরহাদ মজহার ছিলেন অতিথি আলোচক।অনুষ্ঠানে জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে ফরহাদ মজহার বলেন, আজকে বাঙালি জাতিবাদী ফ্যাসিস্ট বাংলাদেশ থেকে উৎখাত হয়েছে বা তাদের উৎখাত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পাশাপাশি ধর্মীয় জাতিবাদও কিন্তু ফ্যাসিবাদের একটা...
    কবি, প্রাবন্ধিক ও গবেষক ফরহাদ মজহার দেশের অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক তাত্ত্বিক। তিনি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন বিকল্পের নীতিনির্ধারণী গবেষণা-উবিনীগ এবং নয়াকৃষি আন্দোলনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। সম্পাদনা করছেন ‘চিন্তা’। ১৯৬৭ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঔষধশাস্ত্রে স্নাতক এবং পরে যুক্তরাষ্ট্রের দ্য নিউ স্কুল ফর সোশ্যাল রিসার্চ থেকে অর্থশাস্ত্রে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘গণঅভ্যুত্থান ও গঠন’, ‘মোকাবিলা’, ‘এবাদতনামা’, ‘সাম্রাজ্যবাদ’, ‘মার্কস, ফুকো ও রুহানিয়াত’, ‘ক্ষমতার বিকার’ ইত্যাদি। ফরহাদ মজহারের জন্ম ১৯৪৭ সালে নোয়াখালীতে। সম্প্রতি পাবনার ঈশ্বরদীর মুলাডুলির হাজারীপাড়ায় উবিনীগের আরশিনগর বিদ্যাঘরে ফরহাদ মজহারের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন সমকালের প্রতিনিধি সেলিম সরদার। সমকাল: ৫ আগস্ট-পরবর্তী বাংলাদেশ কোন পথে এগোচ্ছে? ফরহাদ মজহার: আমি ভালোই দেখছি। আমরা যদি জনগণের ইমোশন, তারা কী চায় তা প্রপারলি অনুধাবন করতে পারি তাহলে ইতিবাচকভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার...
۱