গ্রামীণ ব্যাংক ও রাষ্ট্র চালানো এক জিনিস না: ফরহাদ মজহার
Published: 30th, September 2025 GMT
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ করে কবি, লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফরহাদ মজহার বলেছেন, গ্রামীণ ব্যাংক ও রাষ্ট্র চালানো এক জিনিস না।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড পিস স্টাডিজ এর আয়োজনে 'ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা ও নির্বাচন' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফরহাদ মজহার বলেন, “আপনি সংবিধান রক্ষা করবেন। সংবিধানে কোথায় উপদেষ্টা সরকার আছে। কোন অনুচ্ছেদে আছে। আপনি অবৈধ সরকার। আমি প্রথম দিন থেকে বলছি, আপনি অবৈধ সরকার। তবে অবৈধ সরকার বলার মানে এই না যে আপনাকে আমরা চাই না। এটা মানে হচ্ছে, আপনার প্রথম কাজ আপনার নিজের বৈধতা নিশ্চিত করা। আপনার নিজের বৈধতা নিশ্চিত করবার একটা মাত্র পথ আছে সেটা হল গণঅভ্যুত্থান, কারণ গণঅভ্যুত্থান সংবিধান মেনে ঘটেনি।”
তিনি বলেন, “এত বড় আত্মত্যাগের পরে আপনি কিসের ভিত্তিতে নির্বাচনে কথা শুরু করলেন? এটা আমার অভিযোগ আপনার বিরুদ্ধে। আমি প্রথম থেকে বলে এসেছি বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল বলে কিছু নাই। আমাকে প্রমাণ করুন রাজনৈতিক দল বলে কিছু আছে! রাজনৈতিক দল মানে যারা জনগণের সেবা করে। রাষ্ট্র ও জাতিকে তারা পথ দেখায়। আমাদের এখানে যেটা আছে সেটাকে আমরা কি বলি? আমরা এখানে আছে লুটেরা মাফিয়া শ্রেণী।”
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “আপনি দেশের সমস্যাটা বোঝার চেষ্টা করুন? আপনাকে জাতীয় ঐকমত্য করতে বলেছে কে? আমরা তো জাতীয় ঐকমত্য করতে বলি নাই। আমরা গণঅভ্যুত্থান করেছি। একটা সরকার গঠন করেছি। আপনাকে তো আমরা বলি নাই যে আপনি শেখ হাসিনার ফ্যাস্টিট সংবিধান রেখে এই সংবিধান রক্ষা করার শপথ নিয়ে আপনি একটা উপদেষ্টা সরকার গঠন করবেন। আপনি কেন গঠন করলেন? কি যুক্তি?”
গ্রামীণ ব্যাংক চালানো আর রাষ্ট্র চালানো এক জিনিস না উল্লেখ করে ফরহাদ মজহার বলেন, “আপনি শেখ হাসিনার সংবিধান রক্ষার মধ্য দিয়ে গণঅভ্যুত্থানকে অস্বীকার করেছেন। অতএব আপনি একটি অবৈধ সরকার। আইন কাকে বলে এটা যেন আপনি বোঝেন। গ্রামীণ ব্যাংক চালানো আর রাষ্ট্র চালানো এক জিনিস না। সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই এই যে কথাগুলো আমি বলছি তার উত্তর দিতে হবে।”
প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে ফরহাদ মজহার আরো বলেন, “আপনি কিছু তরুণ ছেলেদেরকে মন্ত্রণালয় নিয়েছেন। আমি অভিনন্দন জানাই। ভালো কথা। তাহলে মন্ত্রণালয় তো তারা চালাতে পারে নাই। তরুণদেরকে আপনি নষ্ট করেছেন, তাদের মধ্যে বিভক্তি তৈরি হয়েছে। কারণ আপনি আমলাদেরকে রেখে দিয়েছেন ওই জায়গায়। শেখ হাসিনার সেই আমলাতন্ত্র ওখানে রয়েছে।”
ঢাকা/রায়হান/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণঅভ য ত থ ন ফরহ দ মজহ র অব ধ সরক র এক জ ন স ন র জন ত ক উপদ ষ ট আপন র আপন ক
এছাড়াও পড়ুন:
গণঅভ্যুত্থানে হত্যায় বিএনপি নেতাকর্মীদের আসামি করার প্রতিবাদে বিক
রাজধানীর মিরপুর থানায় দায়ের করা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যা মামলায় শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে উপজেলা বিএনপি এবং সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (১ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় উপজেলার কোদালপুর বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বাজার প্রদক্ষিণ করে কোদালপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে এক ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
আরো পড়ুন:
জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বিক্ষোভ
খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা বহাল, ২ মহাসড়কে অবরোধ শিথিল
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকার মিরপুর থানায় ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে প্রধান আসামি করে গণঅভ্যুত্থানে নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা করা হয়। মামলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গোসাইরহাট উপজেলা বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অবিলম্বে মামলা থেকে নিরপরাধ বিএনপি নেতাকর্মীদের নাম প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।
গোসাইরহাট উপজেলা বিএনপির সদস্য তারেক আজিজ মোবারক ঢালী বলেন, ‘‘যেসব বিএনপি নেতাকর্মীর নাম মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তারা সকলে বিগত দিনে স্বৈরাচারি হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে আমার সঙ্গে কাজ করেছেন। তাদের ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমরা চাই অবিলম্বে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হোক।’’
কোদালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম সালু মৃধা বলেন, ‘‘বিগত দিনে বিএনপি করার কারণে আমরা মামলা খেয়েছি, জেল খেটেছি, হামলার শিকার হয়েছি। এখন আবার আমাদের নাম একই মামলায় জড়ানো হয়েছে। এটি ঘৃণিত ষড়যন্ত্র, এর সঙ্গে জড়িতদের বিচার চাই।’’
ভুক্তভোগী উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন মৃধা বলেন, ‘‘আমি বিগত দিনে ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ছিলাম। এমনকি, জুলাই আন্দোলনেও অংশ নিয়েছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, গত ২০ সেপ্টেম্বর আমার নাম মিরপুর থানার মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।’’
তিনি এর তীব্র নিন্দা এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মামলা থেকে তার নাম প্রত্যাহারের দাবি জানান।
ঢাকা/আকাশ/বকুল