৫ আগস্টে পরাজিতরা নতুন করে সংগঠিত হচ্ছে
Published: 7th, February 2025 GMT
কবি, চিন্তক ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার ফরহাদ মজহার বলেছেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস অবশ্যই ব্যর্থ হবেন এবং এই সরকার ব্যর্থ হতে বাধ্য অনিবার্যভাবেই। যেহেতু এই সরকার গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিটের ওপর দাঁড়ানো নেই। যারা গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে যুক্ত নয়, তারা ইতিমধ্যে রাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। ৫ আগস্টে যারা পরাজয় বরণ করেছিল, তারা নতুন করে নিজেদের সংগঠিত করছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে এক অনুষ্ঠানে ফরহাদ মজহার এ কথাগুলো বলেন। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের থানা প্রতিনিধি সভার এই আয়োজনে ফরহাদ মজহার ছিলেন অতিথি আলোচক।
অনুষ্ঠানে জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে ফরহাদ মজহার বলেন, আজকে বাঙালি জাতিবাদী ফ্যাসিস্ট বাংলাদেশ থেকে উৎখাত হয়েছে বা তাদের উৎখাত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পাশাপাশি ধর্মীয় জাতিবাদও কিন্তু ফ্যাসিবাদের একটা রূপ। মনে রাখতে হবে, আপনারা যে রাজনৈতিক দল করতে যাচ্ছেন, সেই দলের লক্ষ্য হচ্ছে সব ধরনের ফ্যাসিবাদের বিপরীতে দাঁড়ানো।
তরুণ নেতাদের উদ্দেশে ফরহাদ মজহার আরও বলেন, আপনারা যে দল করতে চাইছেন, সেই দল হতে হবে জনগণের দল, জনগণের সার্বভৌমত্ব কায়েম করা আপনাদের লক্ষ্য। বাকিটা জনগণ বলে দেবে। আপনাদের অবশ্যই গণ-অভ্যুত্থান সুরক্ষার জন্য অবিলম্বে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে। কারণ গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতি অতি দ্রুত মুছে ফেলা হবে। পরিষ্কারভাবে আমাদের বোঝা দরকার, আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে গণসার্বভৌমত্ব কায়েম আর গণসার্বভৌমত্ব কায়েম করতে হলে বাহাত্তর সালের সংবিধান বাতিল করতে হবে, চুপ্পুকে (রাষ্ট্রপতি মো.
জাতীয় নাগরিক কমিটিকে পরামর্শ দিয়ে ফরহাদ বলেন, আপনারা এখন দল করতে নেমেছেন, কিন্তু আমি এখন সন্দেহ করব আপনারা কি আরেকটা বিএনপি বানাবেন, নাকি গণ-অভ্যুত্থানকে পূর্ণ করার সাংগঠনিক শক্তি ও পূর্ণ ক্ষমতা নিয়ে আবার ইতিহাসে হাজির হবেন! যদি আরেকটি লিবারেল দল, নির্বাচনবাদী বা নির্বাচনসর্বস্ব দল হয়...। পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় নির্বাচন মানে লুটেরা এবং মাফিয়াদের নির্বাচন। এই কোটি কোটি টাকা দিয়ে আপনারা যদি আবার শুধু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার বদলাতে চান, নতুন রাষ্ট্র গঠন করতে চান, এটা দুঃস্বপ্ন। ইতিমধ্যে এই রাষ্ট্র নিজেকে সংহত করছে। যারা গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে যুক্ত নয়, তারা এই রাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। তারা যে পরাজয়টা বরণ করেছিল ৫ আগস্টে, তারা নতুন করে নিজেদের সংগঠিত করছে। আপনারা সেটা খেয়াল করছেন না।
ফরহাদ মজহার বলেন, ৫ আগস্টে জনগণের হাতে ক্ষমতা এসে গিয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেই ক্ষমতা আমরা রাখতে পারিনি।...কিন্তু যেকোনো মুহূর্তে জনগণ চাইলে অবশ্যই ঘোষণা দিতে পারে। এই রাষ্ট্রের বা অধ্যাপক ইউনূসের কোনো অধিকার নেই ঘোষণাকে বন্ধ করার। ঘোষণাপত্র একটা ঐতিহাসিক দলিল। এটা একই সঙ্গে একটা আইনি দলিল। ঘোষণার মধ্য দিয়ে একটা রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী তার হাজিরা বা উপস্থিতি সারা বিশ্বকে জানায়, যে কারণে আমরা ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র দিয়েছিলাম।
৫ আগস্টের পর থেকেই দিল্লি বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ করেন ফরহাদ মজহার। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ১২ ফেব্রুয়ারি তার যে সাক্ষাৎ হবে, তারই আগে এটা ছিল লিটমাস টেস্ট। এটা পরীক্ষা আপনাদের জন্য যে আপনারা কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখান? এর বিপরীতে যারা বলেছেন যে আমরা ভাঙার রাজনীতি চাই না, আমি তাদের সঙ্গে একমত। কিন্তু ভাঙার রাজনীতি একই সঙ্গে গড়ারও রাজনীতি। যেকোনো ফ্যাসিস্ট আইকনের বিরুদ্ধে আপনাকে দাঁড়াতে হবে। কিন্তু খেয়াল করতে হবে ভূরাজনৈতিক যে বিন্যাস পৃথিবীব্যাপী, এরা প্রচার করবে যে বাংলাদেশে কোনো সরকার নেই।
৫ আগস্টের পর মাজার ভাঙার কড়া সমালোচনা করেন ফরহাদ। এখন রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা কী করে হতে পারে, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।
ফরহাদ মজহারের বক্তব্যের আগে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন শিশির তাঁর বক্তব্যে আওয়ামী লীগকে পেটানোর জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান। এটিকে ‘ভালো কাজ’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
জাতীয় নাগরিক কমিটির নির্বাহী কমিটির সদস্য তাজনূভা জাবীনের সঞ্চালনায় এই পর্বে জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতা আলী আহসান জোনায়েদ, মো. আতাউল্লাহ, সাদ্দাম হোসাইন, জাবেদ রাসিন ছাড়াও সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ২৪টি থানার প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন। তাঁদের অনেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানান।
প্রশ্নোত্তর
বক্তব্য পর্ব শেষে অনুষ্ঠানে একটি প্রশ্নোত্তর পর্বের আয়োজন করা হয়। সেখানে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখপাত্র সামান্তা শারমিন ও মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। সংগঠনের কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব পর্বটি পরিচালনা করেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘গণ–অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে সব ধর্মের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। দেশে কোনো ধর্মবিদ্বেষীর স্থান হবে না, সেটা যে ধর্মই হোক।’
আরেক প্রশ্নে আখতার হোসেন বলেন, সরকারকে সাধারণ মানুষের আয়-রোজগারের সংকটের বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি দিতে হবে। অন্যায্য ভ্যাট প্রত্যাহার করতে হবে। পাচার হওয়া টাকা দেশে ফিরিয়ে এনে জনগণের কাজে ব্যয় করতে পারলে অনেক সমস্যার সমাধান হবে। শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে যা করা দরকার, সরকারকে তা করতে হবে। ফিরিয়ে আনতে না পারলে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মামলা করে আন্তর্জাতিকভাবে তার বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেন, জনগণের প্রতিষ্ঠানকে জনগণের সমস্যা সমাধানে কাজ করতে হবে। নইলে এগুলো ভেঙে নতুন প্রতিষ্ঠান গড়তে হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে সারজিস আলম বলেন, তারা যে নতুন দল করতে যাচ্ছেন, সেই দলে ক্ষমতা কোনো পরিবারের মধ্যে কেন্দ্রীভূত থাকবে না। নিজেদের যেকোনো ভুল শোধরানোর জন্য তাঁরা সবসময় প্রস্তুত থাকবেন। অতীতের কোনো নষ্ট চর্চা তাঁরা হতে দেবেন না।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন ত ক ৫ আগস ট দল করত জনগণ র র জন য ক ষমত সরক র ল করত আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
সুষ্ঠু-গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সেনাবাহিনীর পূর্ণ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রয়োজন
সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য, নিরাপদ ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীর সক্রিয় ও নিরপেক্ষ ভূমিকা অত্যাবশ্যক। সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা, পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বিত নিরাপত্তাব্যবস্থার মাধ্যমে নির্বাচনে ভোট কারচুপি ও সহিংসতা প্রতিরোধ সম্ভব। সরকার এসব প্রস্তুতি নিলে নির্বাচন নিয়ে জনগণের আস্থা বাড়বে। ভোট সুষ্ঠু হবে। দেশ স্থিতিশীল থাকবে।
‘নির্বাচনে সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিতকরণে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা: সম্ভাবনা ও করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এ কথাগুলো বলেছেন। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তন কক্ষে এই সেমিনার হয়। সেমিনারের আয়োজক এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন।
সেমিনারে প্রধান বক্তার বক্তব্যে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. রোকন উদ্দিন বলেন, অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, ভোট কারচুপি ও সহিংসতায় দলীয় প্রশাসনই মূল ভূমিকা রাখে। তাই সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে পূর্ণ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে মাঠে নামানো জরুরি। এ ছাড়া দেশে এখনো বিপুল অবৈধ অস্ত্র ছড়িয়ে আছে, যা উদ্ধার না হলে নির্বাচনের আগে সহিংসতা বাড়বে। দীর্ঘদিন মাঠে থাকার ফলে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ, পারিবারিক জীবন ও মনোবল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই তাদের দায়িত্ব সীমাবদ্ধ ও স্পষ্ট হওয়া উচিত। সেনাবাহিনী জনগণের আস্থা ও দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক। বিদেশি প্রভাব ও ভুয়া প্রচারণা জনগণ-সেনাবাহিনীর সম্পর্ক দুর্বল করতে চায়।
রাজনৈতিক দলগুলো দলীয় কোন্দল, দুর্নীতিবাজ ও অযোগ্য প্রার্থী মনোনয়ন এবং পুরোনো ধরনের রাজনীতি পরিত্যাগ না করলে গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে না বলে মন্তব্য করেন রোকন উদ্দিন।
সেমিনারে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও অবাধ করতে সেনাবাহিনীর সক্রিয় ভূমিকা অত্যন্ত জরুরি। সরকার নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে জনগণের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ বাড়ছে। আদৌ নির্বাচন হবে কি না, সেই প্রশ্নও জনগণের মনে তৈরি হচ্ছে। তাই সেনাবাহিনীসহ সব বাহিনীকে জনগণের পাশে থাকতে হবে। তাহলে ফ্যাসিবাদমুক্ত সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে।
অতীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহাল থাকলে একতরফা বা রাতের ভোট সম্ভব হতো না বলে মন্তব্য করেন রাশেদ খান। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেই ব্যবস্থাকে বাতিল করে দেশকে ফ্যাসিবাদের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল।
আগামী নির্বাচন বানচালের জন্য বিদেশি প্রভাব ও নিষিদ্ধ রাজনৈতিক গোষ্ঠীর কিছু নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থিতার আড়ালে চক্রান্ত করছে বলে মন্তব্য করেন সেমিনারে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, এসব প্রচেষ্টা প্রতিহত করতে রাজনৈতিক দলগুলোকে সম্মিলিত ভূমিকা নিতে হবে। নিষিদ্ধ বা বিতর্কিত রাজনৈতিক শক্তিগুলো নির্বাচনে অংশ নিলে অরাজকতা বাড়বে। তাই নির্বাচন কমিশনকে কঠোর থাকতে হবে। জনগণকে সচেতনভাবে ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রত্যাবর্তন ঠেকাতে হবে।
বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টির সদস্যসচিব ফাতিমা তাসনীম বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর তরুণসহ সাধারণ মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। নতুন সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা ধরে রাখতে সুষ্ঠু নির্বাচন জরুরি। বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে ভোট দখলের শঙ্কা রয়েছে। তাই সশস্ত্র বাহিনীকে পূর্ণ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে ভোটের পাঁচ-সাত দিন আগে থেকেই টহলে নামানো দরকার। সব হটস্পটে নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। যাতে নারী, বয়স্ক ও নতুন ভোটাররা কেন্দ্রে যেতে উৎসাহিত হয়।
সেমিনারে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি লেফটেন্যান্ট (অব.) সাইফুল্লাহ খান। তিনি বলেন, অ্যাসোসিয়েশন আগামী জাতীয় নির্বাচনে স্থিতিশীলতা, স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার ন্যায়সংগত ও জিরো টলারেন্স প্রয়োগের প্রত্যাশা করে। তারা মনে করে, উপমহাদেশে সহিংসতা, পেশিশক্তি ও প্রশাসনিক পক্ষপাতমুক্ত নির্বাচনী পরিবেশেই বড় চ্যালেঞ্জ। তাই সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমুক্ত রেখে পেশাদার ও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের সুযোগ দিতে হবে।সংগঠনটি আশা প্রকাশ করেছে, প্রযুক্তিনির্ভর তদারকি—যেমন ড্রোন মনিটরিং, বডি-ওন ক্যামেরা ও লাইভ বিশ্লেষণ নির্বাচনকে আরও স্বচ্ছ করবে। পাশাপাশি সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও প্রশাসনের সমন্বিত কমান্ড স্ট্রাকচার দ্রুত প্রতিক্রিয়াসহ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, যা একটি শান্তিপূর্ণ ও আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন উপহার দিতে সহায়ক হবে।
অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি মুশফিকুর রহমানের সঞ্চালনায় সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলনের সভাপতি বাপ্পী সরকার। সেমিনারে অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।