এনসিপির তরুণদের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিরোধ দেখা যাচ্ছে: ফরহাদ মজহার
Published: 17th, May 2025 GMT
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারীদের রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) তরুণ নেতাদের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিরোধ দেখা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, একসময় সেক্যুলার বনাম ইসলামপন্থী বিরোধ দেখা গেলেও এখন ইসলামপন্থীদের মধ্যে বিরোধ দেখা যাচ্ছে। ধর্ম নিয়ে বিভিন্ন বিরোধ দেখা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে এনসিপির তরুণদের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিরোধ দেখা যাচ্ছে। এটি ক্ষতিকর। এ জন্য গণ–অভ্যুত্থানের মর্ম বুঝতে হবে।
আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক গোলটেবিল বৈঠকে ফরহাদ মজহার এ কথাগুলো বলেন। তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার: কোরআন কী বলে’ শীর্ষক এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে কোরআন পাঠ আন্দোলন।
বৈঠকে ফরহাদ মজহার বলেন, এনসিপির মধ্যে এ বিরোধের বড় কারণ হলো গণ–অভ্যুত্থানকে পূর্ণ বিজয়ে নিয়ে যেতে না পারা। তার আগেই ছাত্র-তরুণদের বিরাট আত্মত্যাগকে নস্যাৎ করার জন্য একটি সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব হয়েছে। ছাত্রদের দমন করার জন্য ক্রমাগত বিভিন্নভাবে অপপ্রচারের বেড়া দিয়ে তাঁদের চেষ্টাকে নস্যাৎ করার প্রক্রিয়া চলছে।
ফরহাদ মজহার বলেন, গণ–অভ্যুত্থানের মর্ম হচ্ছে গণসার্বভৌমত্ব কায়েম করা। গণসার্বভৌমত্ব মানে হচ্ছে জনগণের কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া। গণ–অভ্যুত্থানে যেসব তরুণ জীবন দিয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, তাঁরা কোনো বিশেষ ধর্ম বা মতাদর্শ কায়েম করার জন্য লড়াই করেননি। তাঁরা ফ্যাসিস্ট শক্তি এবং ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থার বিলুপ্তির জন্য লড়াই করেছেন।
বৈঠকে ফরহাদ মজহার বলেন, কোনো ব্যক্তি জুলাই অভ্যুত্থান ঘটায়নি। এটি দীর্ঘ লড়াইয়ের ফসল। গত বছরের ৮ আগস্ট শেখ হাসিনার সংবিধান মেনে সরকার গঠনের শপথ নেওয়া ভুল ছিল বলে উল্লেখ করেন ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, ‘আপনারা ইতিহাস পড়েননি। সে জন্য তখন সংবিধান বাতিল করার দাবি করেননি।’
ফরহাদ মজহার বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান একটি উপনিবেশবাদী, সাম্রাজ্যবিরোধী লড়াইয়ের ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত। যতক্ষণ পর্যন্ত এই তরুণেরা বিষয়টি বুঝতে না পারছে, এর পক্ষে সঠিক বয়ান হাজির না করছে, ততক্ষণ পরস্পরের মধ্যে ঝগড়া করবে, কেউ বোতল ছুড়ে মারবে। পুরো বিষয়টা ধ্বংস করে ফেলবে। তারা সামষ্টিক স্বার্থ রক্ষা করতে না পারলে জনগণের কাছে এর জবাবদিহি দিতে হবে।
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্যদের গালি দেওয়ার কড়া সমালোচনা করেছেন ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, নারী কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে আপত্তি থাকতে পারে, কিন্তু কেউ ইসলামি আদবের মধ্যে থাকলে কোনো মেয়েকে বেশ্যা বলে গালি দিতে পারে না। কথায় কথায় এরা অন্যকে গালিগালাজ করছে। ফেসবুকে মতবিরোধ হলেও কুৎসিত ভাষায় গালিগালাজ করে। এটি ইসলামের শিক্ষা নয়। এদের শাস্তি হওয়া উচিত।
বৈঠকে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, ফ্যাসিস্ট শাসনামল এবং বিগত ৫৩ বছরের শাসনামলে আদালতকে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করা হয়েছে। এটিকে অতিক্রম করতে হবে। তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র দেওয়া নিয়ে টালবাহানা হচ্ছে। এ থেকে বোঝা যায়, মূল রাজনৈতিক অংশীজনদের এই অন্যায়ের কাঠামো পরিবর্তন করার কোনো ইচ্ছা নেই।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থনৈতিক সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়া বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ হলেও আওয়ামীতন্ত্র, যেটির মাধ্যমে সরকার এবং তার আশপাশের ক্ষমতাবানেরা যে লুটপাট ও পাচার করতে পারে, সেটি নিষিদ্ধের বিষয়ে সে রকম দাবিদাওয়া নেই। এই আওয়ামীতন্ত্র থাকলে আওয়ামী লীগ নিজেও ফেরত আসতে পারে। আবার এখন যারা আছে বা সামনের দিনগুলোতে যারা আসবে, তারাও বড় আওয়ামী লীগ হয়ে উঠতে পারে।
মিয়ানমারে মানবিক করিডর দেওয়া এবং চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনাল বিদেশি কোম্পানিকে লিজ দেওয়ার সঙ্গে সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন জড়িত হতে পারে বলে মনে করেন দিদারুল ভূঁইয়া। তিনি বলেন, এসব বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন।
কোরআন পাঠ আন্দোলনের আহ্বায়ক আবু সাঈদ খানের সভাপতিত্বে এবং দি ইক্বরার প্রতিষ্ঠাতা সাদিক মোহাম্মদ আলমের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন আইনজীবী আবু হেনা রাজ্জাকী, বিইউপির সাবেক সহযোগী অধ্যাপক মেজর (অব.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এনস প র র র জন র জন য কর ছ ন আওয় ম ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
ব্যাটারি ও চার্জ
স্মার্টফোনের ভেতরেই থাকা ব্যাটারি অপ্টিমাইজেশন ফিচার দিয়ে কোন অ্যাপ কতটা ব্যাটারি ব্যবহার করবে, তা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। অন্যদিকে কোন কোন অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে চলবে, তা নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে। আর এমন ফিচার অ্যানাবল করার প্রয়োজনে প্রথমে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সেটিংস অপশনে গিয়ে ব্যাটারি অপ্টিমাইজেশন নির্বাচন করতে হবে। তারপর উল্লিখিত অপশন অ্যানাবল করে দিলেই মিলবে দারুণ সমাধান।
যত্নে থাকুক ব্যাটারি
স্মার্টফোনের ব্যাটারি কখনও শূন্য শতাংশ পর্যন্ত ডিসচার্জ করে শতভাগ চার্জ দেওয়া উচিত নয়। ফলে ব্যাটারি লাইফ ক্রমান্বয়ে বহুলাংশে দুর্বল হয়ে পড়বে। ডিভাইসে ২৫ ভাগ চার্জ থাকতেই ডিভাইসে চার্জ দেওয়া শ্রেয়। সব ডিভাইসের জন্য ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ চার্জ আদর্শ বলে বিবেচিত। বিশেষ করে গরমের সময়ে অতিরিক্ত চার্জ ডিভাইসের ক্ষতির অন্যতম নেপথ্য কারণ হিসেবে কাজ করে।
চার্জার প্লাগ-ইন অবস্থাতেই যদি থেকে যায়, তাহলে তা নানাভাবে ক্ষতির আশঙ্কায় পড়ে। কারণ, চার্জ হয়ে যাওয়ার পরে অ্যাডাপ্টার গরম হতে শুরু করে। যার প্রভাব ফোনেও দৃশ্যমান হয়। অনেক সময় ক্ষতিটা হয় ধীরগতিতে। নিয়ম মেনে চললে চার্জার ও ফোন দীর্ঘদিন স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করা যাবে। নতুন ঘরানার স্মার্টফোনে অবশ্য নিজে থেকেই চার্জ ডিসচার্জ হওয়ার সুবিধা পাওয়া যায়।