Risingbd:
2025-11-27@11:10:42 GMT

পইলের মাছের মেলায় মানুষের ঢল

Published: 14th, January 2025 GMT

পইলের মাছের মেলায় মানুষের ঢল

হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল এলাকায় শুরু হয়েছে প্রায় ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী ‘মাছ মেলা’। পৌষ সংক্রান্তিতে এই মেলার আয়োজন এখানে দীর্ঘদিনের রেওয়াজ। প্রতি বছরের মতো এবারও পইল গ্রামের ঈদগাহের পাশে বসেছে মেলা। এখানে ছোট থেকে বড় ব্যতিক্রম মাছেরও দেখা মিলছে। সচরাচর দেখা যায় না এমন মাছও এসেছে মেলায়। এটি স্থানীয়দের কাছে প্রাণের উৎসবে পরিণত হয়েছে।

পইল গ্রামে মাছ মেলার আয়োজন করে পইল ইউনিয়ন পরিষদ। তারা জানায়, এখানে বোয়াল, আইড়, পাবদা, রুই, কাতল, চিতল, কালীবাউস, টাকি, পুটি, মাগুরসহ শতাধিক প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। বেশিরভাগ মাছ হাওড় ও বিল থেকে সংগ্রহ করা।  হবিগঞ্জ ছাড়াও মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, এমনকি ঢাকা থেকেও এখানে লোকরা আসেন মাছ কিনতে।

মেলায় আসা মাছ বিক্রেতা ফজল মিয়া বলেন, “এবার বড় আকারের দুটি বোয়াল মাছ নিয়ে এসেছি। মাছগুলোর দাম চেয়েছি ৭০ হাজার টাকা।” 

আরো পড়ুন:

শতবর্ষী মাছের মেলা, কোটি টাকা বিক্রির আশা

টাঙ্গাইলে ফাইলা পাগলার মেলা যৌথবাহিনীর অভিযানে বন্ধ

মুদ্দত আলী নামে অপর মাছ বিক্রেতা বলেন, “হাওড় থেকে জীবিত বোয়াল ও আইড় মাছ এনেছি। বিক্রির জন্য বসে আছি। ক্রেতারা এসে দামদর করছেন।”

সাজু মিয়া নামে মাছ বিক্রেতা বলেন, “একটি রুই মাছ নিয়ে এসেছি। ৩৫ হাজার টাকা দাম চেয়েছি। জীবিত আইড় মাছও আছে। দাম চেয়েছি ৫০ হাজার টাকা।” 

মাছ কিনতে আসা আবুল হোসেন বলেন, “মেলায় প্রচুর মাছ এসেছে। আমরা মাছ ক্রয় করেছি। মাছগুলো দেশীয় নানা প্রজাতির। আমাদের মতো শত শত ক্রেতা মাছ কিনতে আসছেন। যুগের পর যুগ এ মেলা ঐতিহ্য ধরে রেখেছে।” 

পইল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ মঈনুল হক আরিফ বলেন, পৌষ সংক্রান্তির দিন মেলা বসে। মেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। লোকজন যাতে নির্বিঘ্নে আসার সুযোগ পান সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। যুগ যুগ ধরে চলে আসা এ মেলা এলাকার সাধারণ মানুষের প্রাণের উৎসব।”

ঢাকা/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

সাতক্ষীরায় খাদ্যে বিষক্রিয়ায় শিশুসহ ১১ জন অসুস্থ

সাতক্ষীরার শ্যামনগরের এক বাড়িতে নতুন ঘর নির্মাণ উপলক্ষে পারিবারিক পিঠা উৎসব করা হয়েছে। সেই খাবারে বিষক্রিয়ায় শিশুসহ ওই পরিবারের ১১ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। 

সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাতে উপজেলার সোনাখালী গ্রামে সাইদ গাজীর বাড়িতে ওই পিঠা উৎসব হয়। 

অসুস্থরা হলেন—সুমাইয়া (২২), আইজা (২), মেহজাবিন (১০), সামিয়া (৪), আকলিমা (৩৫), জান্নাতি (১৫), আইয়ুব খান (৬০), আজিহা (১), শারমিন (২৩), মিতা (৩৫) ও উম্মে হাবিবা (২১)।

পরিবার ও হাসপাতাল সূত্র জানিযেছে, পিঠা বানানোর সময় কালো জিরার পরিবর্তে অসাবধানবশত দানাদার কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। রাতে পিঠা খাওয়ার কিছুক্ষণ পর সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রতিবেশীরা টের পেয়ে দ্রুত তাদেরকে উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. শামিম হোসেন বলেন, সবাইকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। তবে, সবাই শঙ্কামুক্ত নন।

ঢাকা/শাহীন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রান্তিক মানুষের অন্তর্ভুক্তি গণতন্ত্রের বড় চ্যালেঞ্জ: হোসেন জিল্লুর রহমান
  • ‘ফিরে চল মাটির টানে’ স্লোগানে প্রথমবার ব্রজমোহন কলেজে নবান্ন উৎসব অনুষ্ঠিত
  • চীনে বাংলাদেশের গোল উৎসব চলছেই
  • সাতক্ষীরায় খাদ্যে বিষক্রিয়ায় শিশুসহ ১১ জন অসুস্থ
  • খুলনা পর্বের বর্ণিল উদ্বোধন করলেন বিপ্লব ভট্টাচার্য