গ্রেপ্তার হামলাকারীকে নিয়ে ফের সাইফের বাড়িতে পুলিশ
Published: 21st, January 2025 GMT
সাইফ আলী খানের ওপরে হামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ ওরফে বিজয় দাসকে নিয়ে অভিনেতার বাড়িতে গিয়েছিলেন মুম্বাই পুলিশ। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়া টুডে।
পুলিশের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫টায় মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় অবস্থিত সাইফ আলী খানের বাড়িতে পৌঁছায় পুলিশের একটি টিম। এসময় সঙ্গে ছিল অভিযুক্ত মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম শেহজাদ।
বাড়ির মূল গেট দিয়েই সাইফের অ্যাপার্টমেন্টে প্রবেশ করে তারা। সেখানে ১ ঘণ্টার মতো অবস্থান করে পুরো টিম। সাইফের ওপর হামলার ঘটনাটি ‘পুনর্নির্মাণ’ করতে শরিফুলকে নিয়ে যাওয়া। সাইফ আলীর ওপরে হামলার পর যেখানে যেখানে শরিফুল দাঁড়িয়েছিল, সেখানেও তাকে নিয়ে গিয়েছিল মুম্বাই পুলিশ।
আরো পড়ুন:
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন সাইফ আলী খান
আহত সাইফ আলী খানকে দেখতে মুম্বাইয়ে শাকিব?
সাইফ আলী খানের বাড়ি থেকে হামলাকারীর একাধিক আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করেছে ফরেনসিক টিম। এ অভিনেতার বাড়ির বাথরুমের জানালা দিয়ে অ্যাপার্টমেন্টে প্রবেশ ও বেরিয়ে আসে হামলাকারী। সেখান থেকেও আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করা হয়েছে।
অপরাধের দৃশ্য পুনর্নির্মাণের পর, পুলিশ অভিযুক্তকে ভবনের বাগানে নিয়ে যায়, ঘটনার পর যেখানে সে প্রায় দুই ঘণ্টা লুকিয়ে ছিল বলে অভিযোগ। পরে বান্দ্রা রেল স্টেশনে গিয়ে সেখান থেকে ট্রেনে উঠেছিল শেহজাদ। এরপর অভিযুক্তকে বান্দ্রা থানায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে শেহজাদকে আরো জিজ্ঞাসাবাদের কথা রয়েছে। আদালতের নির্দেশে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন শেহজাদ।
শরিফুল পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি চুরির উদ্দেশ্যে সাইফের অ্যাপার্টমেন্টে গিয়েছিলেন। তিনি জানতেন না এটা কোনো তারকার বাসা। সাইফ-কারিনার চার বছরের ছেলে জেহকে পণবন্দি করে এক কোটি রুপি আদায় করাই তার মূল উদ্দেশ্য ছিল। কারণ রাতারাতি মোটা অঙ্কের অর্থ কামিয়ে নিজে দেশ বাংলাদেশে ফিরতে চেয়েছিলেন বলে দাবি পুলিশের।
গত ১৯ জানুয়ারি, ভোরে মহারাষ্ট্রের থানে এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় শেহজাদকে। গ্রেপ্তারের পরই মুম্বাই পুলিশ দাবি করে, “শেহজাদ বাংলাদেশের নাগরিক।” কিন্তু শেহজাদের আইনজীবীর দাবি, “এ তথ্য সত্য নয়, মামলাটিকে পরিবর্তন করে ‘আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখছে পুলিশ।”
গত ১৫ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাতে সাইফ আলী খানের মুম্বাইয়ের বান্দ্রার বাড়িতে এক দুর্বৃত্ত ঢুকে পড়ে। সে সময় বাড়ির সবাই ঘুমাচ্ছিলেন। স্টাফ নার্স লিমার চিৎকারে ঘুম ভাঙে সাইফের। এরপর ওই দুর্বৃত্তের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় তার।
একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিকবার সাইফকে আঘাত করে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় অভিনেতাকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেদিন সকালে অস্ত্রোপচার শেষে আইসিইউতে রাখা হয়। এরপর সাধারণ বেডে স্থানান্তর করা হয় সাইফকে। আজ বিকালে হাসপাতাল থেকে বান্দ্রার বাড়িতে ফিরেছেন সাইফ আলী খান।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
মেসি-সুয়ারেজদের হারিয়ে প্লে’অফে শিকাগো ফায়ার
দীর্ঘ আট বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে প্লে-অফে জায়গা করে নিল শিকাগো ফায়ার এফসি। বাংলাদেশ সময় বুধবার (০১ অক্টোবর) সকালে দারুণ গোল উৎসবের ম্যাচে ইন্টার মায়ামিকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে নিশ্চিত করল তারা ২০১৭ সালের পর প্রথম প্লে-অফ।
শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে শিকাগো। ম্যাচের ১১তম মিনিটেই জ্বলে ওঠেন জে দ’আভিলা। তিনি চমৎকার এক হেডারে এগিয়ে দেন দলকে। এরপর ৩১ মিনিটে দ্রুতগতির পাল্টা আক্রমণ থেকে গোল করেন জনাথন ডিন। ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে একসময় চাপে পড়ে যায় মায়ামি।
আরো পড়ুন:
এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকে রিয়ালের বড় জয়
বুসকেটসের অবসর ঘোষণা: এক নিঃশব্দ শিল্পীর শেষ অধ্যায়
তবে ৩৯ মিনিটে টমাস আভিলেস গোল করে ব্যবধান কমান। কিন্তু বিরতিতে যাওয়ার আগেই রোমিং কুওমে গোল করে আবারও দুই গোলে এগিয়ে দেন শিকাগোকে।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে মায়ামি পুরোপুরি ভরসা রাখে লুইস সুয়ারেজের অভিজ্ঞতায়। ৫৭ মিনিটে তার গোলেই ব্যবধান দাঁড়ায় ৩-২। এরপর জর্ডি আলবার দুর্দান্ত পাস থেকে ৭৪ মিনিটে সমতায় ফেরান উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার। ম্যাচ তখন দাঁড়িয়ে যায় ৩-৩ এ, আর মনে হচ্ছিল খেলা একেবারেই মায়ামির দিকে হেলে পড়ছে।
কিন্তু শেষ মুহূর্তে নতুন নাটক লিখে শিকাগো। ৮০ মিনিটে জাস্টিন রেইনল্ডস গোল করে আবারও এগিয়ে দেন দলকে। মাত্র তিন মিনিট পর দূরপাল্লার ঝড়ো শটে ব্রায়ান গুতিয়েরেজ নিশ্চিত করেন শিকাগোর স্মরণীয় জয়।
এই জয়ে এমএলএস টেবিলে অষ্টম স্থানে উঠে এসেছে শিকাগো (১৫ জয়, ৬ ড্র, ১১ হার)। অন্যদিকে লিওনেল মেসির মায়ামি (১৬ জয়, ৮ ড্র, ৭ হার) যদিও আগেই প্লে-অফ নিশ্চিত করে রেখেছে। তবে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে গোলশূন্য থাকলেন আর্জেন্টাইন তারকা। আর এই হারের ফলে সাপোর্টার্স শিল্ড জয়ের লড়াইয়ে বড় ধাক্কা খেল মায়ামি। এখন শুধু জয় পেলেই শিরোপা নিশ্চিত করতে পারবে ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়ন।
উল্লেখ্য, ম্যাচটি মূলত হওয়ার কথা ছিল ৩০ আগস্টে, কিন্তু লিগস কাপ ফাইনাল খেলতে গিয়ে মায়ামির কারণে তা পিছিয়ে যায়। সেই ম্যাচে সিয়াটলের কাছে ৩-০ গোলে হেরেছিল তারা।
ঢাকা/আমিনুল