সাইফ আলী খানের ওপরে হামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ ওরফে বিজয় দাসকে নিয়ে অভিনেতার বাড়িতে গিয়েছিলেন মুম্বাই পুলিশ। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়া টুডে।

পুলিশের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫টায় মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় অবস্থিত সাইফ আলী খানের বাড়িতে পৌঁছায় পুলিশের একটি টিম। এসময় সঙ্গে ছিল অভিযুক্ত মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম শেহজাদ।

বাড়ির মূল গেট দিয়েই সাইফের অ্যাপার্টমেন্টে প্রবেশ করে তারা। সেখানে ১ ঘণ্টার মতো অবস্থান করে পুরো টিম। সাইফের ওপর হামলার ঘটনাটি ‘পুনর্নির্মাণ’ করতে শরিফুলকে নিয়ে যাওয়া। সাইফ আলীর ওপরে হামলার পর যেখানে যেখানে শরিফুল দাঁড়িয়েছিল, সেখানেও তাকে নিয়ে গিয়েছিল মুম্বাই পুলিশ।

আরো পড়ুন:

হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন সাইফ আলী খান

আহত সাইফ আলী খানকে দেখতে মুম্বাইয়ে শাকিব?

সাইফ আলী খানের বাড়ি থেকে হামলাকারীর একাধিক আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করেছে ফরেনসিক টিম। এ অভিনেতার বাড়ির বাথরুমের জানালা দিয়ে অ্যাপার্টমেন্টে প্রবেশ ও বেরিয়ে আসে হামলাকারী। সেখান থেকেও আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করা হয়েছে।

অপরাধের দৃশ্য পুনর্নির্মাণের পর, পুলিশ অভিযুক্তকে ভবনের বাগানে নিয়ে যায়, ঘটনার পর যেখানে সে প্রায় দুই ঘণ্টা লুকিয়ে ছিল বলে অভিযোগ। পরে বান্দ্রা রেল স্টেশনে গিয়ে সেখান থেকে ট্রেনে উঠেছিল শেহজাদ। এরপর অভিযুক্তকে বান্দ্রা থানায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে শেহজাদকে আরো জিজ্ঞাসাবাদের কথা রয়েছে। আদালতের নির্দেশে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন শেহজাদ।

শরিফুল পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি চুরির উদ্দেশ্যে সাইফের অ্যাপার্টমেন্টে গিয়েছিলেন। তিনি জানতেন না এটা কোনো তারকার বাসা। সাইফ-কারিনার চার বছরের ছেলে জেহকে পণবন্দি করে এক কোটি রুপি আদায় করাই তার মূল উদ্দেশ্য ছিল। কারণ রাতারাতি মোটা অঙ্কের অর্থ কামিয়ে নিজে দেশ বাংলাদেশে ফিরতে চেয়েছিলেন বলে দাবি পুলিশের।

গত ১৯ জানুয়ারি, ভোরে মহারাষ্ট্রের থানে এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় শেহজাদকে। গ্রেপ্তারের পরই মুম্বাই পুলিশ দাবি করে, “শেহজাদ বাংলাদেশের নাগরিক।” কিন্তু শেহজাদের আইনজীবীর দাবি, “এ তথ্য সত্য নয়, মামলাটিকে পরিবর্তন করে ‘আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখছে পুলিশ।”

গত ১৫ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাতে সাইফ আলী খানের মুম্বাইয়ের বান্দ্রার বাড়িতে এক দুর্বৃত্ত ঢুকে পড়ে। সে সময় বাড়ির সবাই ঘুমাচ্ছিলেন। স্টাফ নার্স লিমার চিৎকারে ঘুম ভাঙে সাইফের। এরপর ওই দুর্বৃত্তের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় তার।

একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিকবার সাইফকে আঘাত করে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় অভিনেতাকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেদিন সকালে অস্ত্রোপচার শেষে আইসিইউতে রাখা হয়। এরপর সাধারণ বেডে স্থানান্তর করা হয় সাইফকে। আজ বিকালে হাসপাতাল থেকে বান্দ্রার বাড়িতে ফিরেছেন সাইফ আলী খান।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

আমাদের যত ঘুঘু 

মনিরা হাঁসের (বৈকাল টিল) সন্ধানে ২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর রাজশাহীর পদ্মা নদীতে ঘুরে বেড়াচ্ছি। বটতলা ঘাট থেকে ছেড়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় আধঘণ্টায় সিমলা পার্কের উল্টো পাশের চরের কাছে আসতেই একটি ঘুঘুকে পাড়ে বসে থাকতে দেখলাম। দ্রুত একটি ছবি তুলে ওটির পরিচয় নিশ্চিত হলাম। এই দুল৴ভ পাখিটি প্রথম দেখি ২০১৪ সালের ২৭ মার্চ কুয়াশাভরা সকালে হবিগঞ্জের কালেঙ্গা বন্য প্রাণী অভয়ারণ্যে। এরপর ২০১৮ সালের ২৬ জানুয়ারি সুন্দরবনের করমজলে। 

পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর কাছ থেকে ভালো ছবি তোলার আশায় ধীরে ধীরে নৌকা পাখিটির কাছাকাছি নিতে থাকি। তবে নৌকা যতই কাছে যাক না কেন, সেটি কিন্তু অবিচল—একটুও নড়ছে না, চুপচাপ বসে আছে। কৌতূহলবশত নৌকা থেকে পাড়ে নামলাম, পাখিটির একদম কাছে চলে গেলাম। এরপর সেটি ধীরে ধীরে হাঁটা শুরু করল। আমরাও পিছু নিলাম। কিছুক্ষণ পর অনেকটা অনিচ্ছায় উড়াল দিল পাখিটি।

ঘুঘু পাখি কবুতরের মতো একই গোত্র কোলাম্বিডির (কপোত) সদস্য। ঘুঘুর দেহ কবুতরের মতোই তুলনামূলক ভারী, মাথা ছোট, চঞ্চু ও পা খাটো। ওড়ার পেশি শক্তিশালী। তাই দ্রুত ও দীর্ঘক্ষণ উড়তে সক্ষম। লেজ হাতপাখার মতো বিস্তৃত। তবে আকারে কবুতরের চেয়ে ছোট হয়। এরাও স্ত্রী-পুরুষনির্বিশেষ পিত্তথলিতে উৎপন্ন ক্ষীরের মতো অর্ধতরল দুধ খাইয়ে ছানাগুলোকে বড় করে তোলে, যা ‘পায়রা বা ঘুঘুর দুধ’ নামে পরিচিত। এদেশে এই গোত্রের যে ১৮টি প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গেছে, তার মধ্যে ১০টি কবুতর ও ৮টি ঘুঘু রয়েছে। প্রায় অর্ধেকের বেশি প্রজাতি সারা বছর প্রজনন করে। আয়ুষ্কাল চার থেকে ছয় বছর। এখানে এ পাখির সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধরা হলো।

রামঘুঘু (ওরিয়েন্টাল টার্টল ডাব): ফিচারের শুরুতে লালচে বাদামি বর্ণের যে ঘুঘুর গল্প বললাম, সেটি এ দেশের দুর্লভ আবাসিক পাখি রাম, কইতর বা গোলাপ ঘুঘু। বাংলাদেশ ছাড়াও দক্ষিণ ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার বহু দেশে এর দেখা মেলে। প্রাপ্তবয়স্ক ঘুঘুর দেহের দৈর্ঘ্য ৩৩ থেকে ৩৫ সেন্টিমিটার। ওজন ১৬৫ থেকে ২৭৪ গ্রাম। 

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় উড়ন্ত ধবল ঘুঘু

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হোটেলে তল্লাশি চালানো সেই সাংবাদিক গ্রেপ্তার
  • সাংবাদিক পরিচয়ে হোটেলে তল্লাশি চালানো যুবক গ্রেপ্তার 
  • স‌চিবাল‌য়ে কর্মচারী‌দের বি‌ক্ষোভ, চল‌বে মঙ্গলবারও 
  • পুরনো স্বাদের ঝুরা মাংসের
  • ভাত খাওয়ার সময় কেন ভাতটাই পরে খেতে বলেন চিকিৎসকেরা?
  • অ্যান্টার্কটিকায় বিরল স্কুইডের সন্ধান
  • পানিতে ভাসছিল ২২ দিনের শিশুর মৃতদেহ, ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন মা
  • বাঁধন কাঁদলেন, কিন্তু কেন...
  • মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
  • আমাদের যত ঘুঘু