চট্টগ্রামে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি চালানো ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার হাজির করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

এর আগে গত সোমবার রাতে নগরের চান্দগাঁওয়ের বেপারিপাড়া শ্যামলী আবাসিক এলাকা থেকে ছাত্রলীগ কর্মী ঋভু মজুমদার ও যুবলীগ কর্মী মো. জামালকে গ্রেপ্তার তরা হয়। তারা নগরের চান্দগাঁও ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এসরারুল হকের অনুসারী।

পুলিশ জানায়, নগরের বহদ্দারহাটে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি চালানো তৌহিদুল ইসলাম ফরিদকে গত ২২ নভেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ঋভু ও জামালের নাম আসে। পরে ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করে দেখা যায়, দু’জন দুটি বিদেশি পিস্তল হাতে গুলি করছেন। 

চান্দগাঁও থানার ওসি আফতাব উদ্দিন বলেন, তৌহিদ, ঋভু, জামাল তিনজনই সাবেক কাউন্সিলর এসরারুলের সহযোগী। বহদ্দারহাটে হামলা চালানোর সময় তিনজন একসঙ্গে এসেছিলেন। তৌহিদের হাতে ছিল পাকিস্তানি শুটারগান। বাকি দু’জনের হাতে দুটি বিদেশি পিস্তল। আমরা অস্ত্রগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করছি। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

হংকংয়ে অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২৮

হংকংয়ের উত্তরাঞ্চলীয় তাই পো এলাকায় অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে লাগা ভয়াবহ আগুনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২৮ এ পৌঁছেছে। শুক্রবার কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

ওয়াং ফুক কোর্ট নামে ওই অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে বুধবার অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ২০২১ সালের সরকারি আদমশুমারি অনুযায়ী, এই আবাসিক কমপ্লেক্সে প্রায় চার হাজার ৬০০ মানুষের জন্য এক হাজার ৯৮৪টি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। 

শুক্রবার সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ১২৮ জন নিহত হয়েছে এবং ৭৯ জন আহত হয়েছে। ৮৯ জনের মৃতদেহ এখনো শনাক্ত করা যায়নি।

অগ্নিনির্বাপন বিভাগ জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে কিছু অ্যাপার্টমেন্ট এখনো আগুন জ্বলছে।আগুনে পুড়ে যাওয়া সাতটি টাওয়ারের মধ্যে দুটিতে বেশিরভাগ মৃতদেহ পাওয়া গেছে এবং বেশিরভাগ জীবিতদের অন্যান্য ব্লক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, আবাসিক কমপ্লেক্সের আটটি ভবনের একটিতে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে তা আরো ছয়টি ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। ভবনের সংস্কার কাজের সঙ্গে যুক্ত তিনজনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগেও তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।

ভবনের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আগুন লাগার সময় ভবনের অ্যালার্ম বাজেনি।
 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ