সাইফের ওপরে হামলা নাকি অভিনয়, প্রশ্ন মন্ত্রীর
Published: 23rd, January 2025 GMT
সাইফ আলী খানের ওপরে হামলার ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নীতেশ রানে। তার প্রশ্ন— ৫৪ বছরের সাইফের ওপরে হামলার ঘটনা সত্যি নাকি অভিনয়। পুনের একটি অনুষ্ঠানে কথা বলতে গিয়ে এমন সংশয় প্রকাশ করেন বিজেপির এই নেতা।
পাঁচদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর গত ২১ জানুয়ারি বিকালে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পান বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খান। এ বিষয়ে নীতেশ রানে বলেন, “হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর যখন সাইফ আলী খানকে দেখলাম, তখন আমার সন্দেহ হয়েছিল আসলেই তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে, নাকি কেবল অভিনয় করছেন।”
যখন কোনো খান সমস্যায় পড়েন তখনই কেন বিরোধী নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন? এই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে মন্ত্রী বলেন, “সাইফ আলী খান, শাহরুখের পুত্র এবং এনসিপি নেতা নওয়াব মল্লিকের ব্যাপারে চিন্তিত সুপ্রিয়া সুলে। তিনি কি কখনো হিন্দু ধর্মের অনুসারী কোনো অভিনেতাকে নিয়ে চিন্তিত হয়েছেন?”
আরো পড়ুন:
সেই অটোচালককে বুকে জড়িয়ে ধরলেন সাইফ আলী খান
সাইফের বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্ব নিলেন ‘কে.
গত ১৫ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাতে সাইফ আলী খানের মুম্বাইয়ের বান্দ্রার বাড়িতে এক দুর্বৃত্ত ঢুকে পড়ে। সে সময় বাড়ির সবাই ঘুমাচ্ছিলেন। স্টাফ নার্স লিমার চিৎকারে ঘুম ভাঙে সাইফের। এরপর ওই দুর্বৃত্তের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় তার।
একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিকবার সাইফকে আঘাত করে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় অভিনেতাকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেদিন সকালে অস্ত্রোপচার শেষে আইসিইউতে রাখা হয়। এরপর সাধারণ বেডে স্থানান্তর করা হয় সাইফকে। গত মঙ্গলবার বান্দ্রার বাসায় ফেরেন তিনি।
এ ঘটনায় বান্দ্রা থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। সাইফ আলী খানের ওপরে হামলার অভিযোগে মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম শেহজাদ ওরফে বিজয় দাস নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাই পুলিশ। গত ১৯ জানুয়ারি ভোরে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। আদালত তাকে পাঁচদিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন শেহজাদ।
গ্রেপ্তারের পরই মুম্বাই পুলিশ দাবি করে, “শেহজাদ বাংলাদেশের নাগরিক।” কিন্তু শেহজাদের আইনজীবীর দাবি, “এ তথ্য সত্য নয়, মামলাটিকে পরিবর্তন করে ‘আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখছে পুলিশ।” তবে পুরো ঘটনা নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নদীতে মিলল স্কুলছাত্রের লাশ, চার সহপাঠী আটক
চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও হামিদচর এলাকায় কর্ণফুলী নদী থেকে এক স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে লাশটি উদ্ধার হয়। পুলিশ বলছে, পরিকল্পিতভাবে মারধরের পর ওই স্কুলছাত্রকে নদীতে ফেলে দেয় তার কয়েকজন সহপাঠী। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে।
নিহত স্কুলছাত্রের নাম রাহাত ইসলাম (১২)। সে নগরের চান্দগাঁও সানোয়ারা বয়েজ স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে চান্দগাঁও থানার পূর্ব ফরিদেরপাড়া এলাকার লিয়াকত আলীর ছেলে। সকালে হামিদচর এলাকায় নদীতে রাহাতের লাশ দেখতে পেয়ে বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দেন। এরপর তার লাশ উদ্ধার হয়।
নিহত রাহাতের বাবা লিয়াকত আলী প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ছেলে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে বের হয়। এরপর তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক স্থানে সন্ধানের পরও খোঁজ না পেয়ে বিষয়টি রাতেই পুলিশকে জানানো হয়েছিল। সকালে ছেলের লাশ পাওয়া যায়। তিনি অভিযোগ করেন, পরিকল্পিতভাবে বন্ধুরা রাহাতকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি করেন তিনি।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (উত্তর) জাহাঙ্গীর আলম আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় নিহত স্কুলছাত্রের চার সহপাঠীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।