বিপিএলের ফাইনাল ম্যাচের সূচিতে পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ফরচুন বরিশাল ও চট্টগ্রাম কিংসের মধ্যকার ম্যাচটি সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে।
বিসিবি এক বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এর আগে বিপিএলের ফাইনাল ম্যাচটি সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হওয়ার কথা ছিল।
বিসিবি জানিয়েছে, বিপিএলের ফাইনালের প্রথম ইনিংস শুরু হবে সন্ধ্যা ছয়টায়। ইনিংসটি সাড়ে ছয়টার মধ্যে শেষ করে ৬টা ৫০ পর্যন্ত থাকবে বিরতি। দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হবে ৬টা ৫০ মিনিটে।
চলতি বিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে জিতে ফাইনালে পা রেখেছে ফরচুন বরিশাল। প্রথম কোয়ালিফায়ারে হারার পর দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খুলনা টাইগার্সকে হারিয়ে ফাইনালে পা রেখেছে চট্টগ্রাম কিংস।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব প এল ত ম ম ইকব ল
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ঋত্বিক ঘটকের অনালোচিত প্রামাণ্যচিত্র
নিষ্পেষিত মানবতার প্রতি উৎসর্গ করা ‘দুর্বার গতি পদ্মা’ প্রামাণ্যচিত্রটিতে এক উত্তাল সময়ের কথা তুলে আনতে চেয়েছিলেন ঋত্বিক ঘটক। সময়টি হলো ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ। প্রামাণ্যচিত্রটি বানানোও হয়েছিল সেই সময়ে। পদ্মাকে, অর্থাৎ বাংলাদেশকে মাতৃরূপে কল্পনা করে ঋত্বিক ঘটক দুটি ঘটনা সমান্তরালে দেখানোর চেষ্টা করেন। একদিকে দেখা যায়, একজন মুক্তিযোদ্ধাকে (বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়), যিনি স্বাধীন বাংলার প্রতীক লাল–সবুজ পতাকাকে সাক্ষী মেনে জান বাজি রেখে দেশের জন্য লড়াই করে যাচ্ছেন। অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি ভারতের সাধারণ মানুষের সমর্থন।
যে দেশ সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা, যে দেশের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত নদী সর্বদা উর্বর রাখে জমিকে, যে জমি চাষ করে কৃষক ফসল ফলায়, গ্রামীণ জীবন অতিবাহিত হয় এক শান্তিময় ছন্দে, সেই পরিবেশ পুরোটাই ওলট–পালট ও শ্মশানে পরিণত করে দেয় পশ্চিম পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। গভীর ও শান্ত নদী পদ্মার বুকে গুলি চলে। দেখা যায়, শিকারি চিল উড়ছে আকাশে।
একাত্তরের মার্চ মাসে পাকিস্তান সেনাবাহিনী নির্বিচার মানুষ হত্যা শুরু করে। নিরস্ত্র মানুষের ওপর তারা গণহত্যা চালায়। ঋত্বিক দেখান, বাংলার আকাশ শকুনের দখলে। তারই ফাঁকে পাকিস্তানের তৎকালীন সেনাপ্রধান ইয়াহিয়া খানের স্থিরচিত্র। এর সঙ্গে প্রতিস্থাপিত হয় নীল আকাশ আচ্ছন্ন করে ফেলা শকুনের উড়াল। তাদের নজর জমিনে, লাশের ওপর।
নিষ্পেষিত মানবতার প্রতি উৎসর্গ করা ‘দুর্বার গতি পদ্মা’ প্রামাণ্যচিত্রটিতে এক উত্তাল সময়ের কথা তুলে আনতে চেয়েছিলেন ঋত্বিক ঘটক। ...আমরা দেখতে পাই দাঁড়িপাল্লা ও শকুনের বারবার ফিরে আসা। ইন্টেলেকচুয়াল মন্তাজের ভেতর দিয়ে ঋত্বিক মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াই ও তাঁদের শত্রুদের চিহ্নিত করতে চান।উত্তাল হয়ে ওঠে পদ্মা। অস্ত্র ধরে এ দেশের সাধারণ মানুষ। নিমেষের ভেতর তারা বীর যোদ্ধা হিসেবে উদ্ভাসিত হয়। জান বাজি রেখে তারা রুখে দাঁড়ায়। তাদের সামনে দুটো পথই খোলা: মৃত্যু, নয়তো স্বাধীনতা। বিভিন্ন পত্রিকার শিরোনামে শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসী প্রতিরোধের খবর। ছবি ছাপা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এরই ভেতর আরেকটি দৃশ্য ঘুরেফিরে আসে—দাঁড়িপাল্লার ছবি। ব্রতের আকারে আসা এই দাঁড়িপাল্লা একবার এদিকে হেলে পড়ে, তো আরেকবার ওদিকে। যুদ্ধের ময়দানে শেষ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষেই বেশি বাটখারা জমা হয়।
ঋত্বিক ঘটক (৪ নভেম্বর ১৯২৫–৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৬)