ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে।
এদিন ডিএসইতে আগের কার্যদিবসের চেয়ে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমলেও সিএসইতে বেড়েছে। উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ২.
ডিএসইতে মোট ৩৯৯টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১৪৩টি কোম্পানির, কমেছে ২০৯টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৭টির।
এদিন ডিএসইতে মোট ৩৯১ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫১৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ২১.৮১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৭৮০ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৭.০৮ পয়েন্ট কমে ১৪ হাজার ৪৮২ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ০.১৪ পয়েন্ট বেড়ে ৯৪০ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ৪.৭৬ পয়েন্ট কমে ১১ হাজার ৯৩৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে মোট ২০৯টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৬৩টি কোম্পানির, কমেছে ১১১টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫টির।
দিনশেষে সিএসইতে ৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
ঢাকা/এনটি/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল খ ট ক র শ য় র ও ইউন ট ড এসই স এসই
এছাড়াও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ৮ হাজার ৫০২ কোটি টাকা
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২৭ থেকে ৩১ জুলাই) সূচকের উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেনে শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে। তবে উভয় পুঁজিবাজারে বিদায়ী সপ্তাহে বাজার মূলধন বেড়েছে ৮ হাজার ৫০২ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
শনিবার (২ আগস্ট) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫১.৩৮ পয়েন্ট বা ০.৯৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৪৩ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ২৪.৫৮ পয়েন্ট বা ১.১৮ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ১১৪ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক (২.০৮) পয়েন্ট বা ০.১৮ শতাংশ কমে ১ হাজার ১৭০ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) (১৯.৮৯) পয়েন্ট বা ২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯৭৬ পয়েন্টে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ১২ হাজার ২২৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৮ হাজার ৭ কোটি ১ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৪ হাজার ২১৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৪ হাজার ১৯৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪ হাজার ২৯৭ কোটি ২৩ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১০২ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪০টির, দর কমেছে ২২২টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির। তবে লেনদেন হয়নি ২০টির।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৮৮.৫৯ পয়েন্ট বা ১.২৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ২০২ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ১.৭৩ শতাংশ বেড়ে ১৩ হাজার ৪৮১ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ১.৪২ শতাংশ বেড়ে ৯ হাজার ৩২৫ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ০.৩০ শতাংশ বেড়ে ৯৪৮ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ০.১৮ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯৫৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২৬ হাজার ২৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ২১ হাজার ৭৩৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা। টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৪ হাজার ২৮৬ কোটি ২২ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৮১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৯১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩৩২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৪টির, দর কমেছে ১৮০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির শেয়ার ও ইউনিট দর।
ঢাকা/এনটি/ইভা