Prothomalo:
2025-09-18@14:30:41 GMT

বন পাহারায় লাঠি হাতে ২৮ নারী

Published: 8th, March 2025 GMT

দুর্গম বনের ভেতর ঘুরে বেড়ান তাঁরা। হাতে থাকে লাঠি ও ছাতা। পরনে সবুজ পোশাক। রোদ-বৃষ্টি কোনোটাই তাঁদের আটকাতে পারে না। কেউ বনের গাছ কাটতে চাইলে বাধা দেন। গত ১৯ বছর ধরে প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় এভাবেই বন পাহারা দিচ্ছেন টেকনাফের ২৮ নারী। তাঁদের এমন উদ্যোগের ফলে রক্ষা পেয়েছে হাজারো গাছপালা।

২০০৬ সালে বন বিভাগ এবং ইউএসএআইডির সহায়তায় গঠিত হয় বেসরকারি সংগঠন ‘নিসর্গ নেটওয়ার্ক’। এই সংগঠনের ব্যবস্থাপনায় টেকনাফ সদর ইউনিয়নের কেরনতলী গ্রামের বাসিন্দা খুরশিদা বেগম গঠন করেন ২৮ সদস্যের ‘বন পাহারা দল’। এর পর থেকে টেকনাফ রেঞ্জের আওতাধীন বনাঞ্চল সংরক্ষণে পাহারা দিয়ে আসছে দলটি। যদিও টেকনাফের বনাঞ্চল মানেই যেন অস্ত্রধারী ডাকাত দলের আস্তানা, অপহরণ, বিভিন্ন জীবজন্তুর আক্রমণের ভয়। তবু এসব কোনো কিছুই এই নারীদের থামাতে পারেনি। ইতিমধ্যে তাঁদের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত।

২৮ নারীর খোঁজে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে টেকনাফ স্থলবন্দরের পশ্চিম পাশের বনে যান এই প্রতিবেদক। সেখানে গিয়ে দেখা মেলে বন পাহারায় থাকা নারীদের। শাল-সেগুন-গর্জনসহ নানা জাতের গাছগাছালিতে ভরা ঘন পাহাড়ি অরণ্যে হেঁটে বেড়াচ্ছিলেন নারীরা। সবারই বয়স ২০ থেকে ৫০–এর মধ্যে। নারী দলের নেতৃত্ব দেন খুরশিদা বেগম (৪৬)। তিনি কেরনতলী নারী বন পাহারা দলেরও সভাপতি। প্রথম আলোকে জানালেন, পাহারা দেওয়ার কাজ প্রতিদিনই চলে। সকাল ৯টায় নারীরা বনাঞ্চলে ঢোকেন। শুরুতে নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে নেন। তারপর চারজন করে সাতটি দলে বিভক্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়েন বনাঞ্চলের এদিক-সেদিক। বিকেল চারটায় বাড়ি ফিরে যান তাঁরা। এর মধ্যে দুপুরের খাবারও সারেন বনের ভেতর। মূলত কেউ যেন গাছপালা না কাটে, আগুন না লাগায়; তা-ই দেখেন নারী সদস্যরা।

খুরশিদার গ্রামের সীমানা ঘেঁষেই ঘন বনজঙ্গল। ছোটবেলায় সে বনে বিচরণ ছিল তাঁর। বন্য প্রাণীর অবাধ যাতায়াত দেখেছেন তিনি। গভীর বনে থাকা ভয়ানক সব প্রাণীর গল্প শুনেছেন বড়দের কাছে। একসময় বনের সঙ্গে তাঁর গভীর আত্মীয়তার সম্পর্ক তৈরি হয়। এমনও হয়েছে, সারা দিন বনেই কাটিয়েছেন তিনি।

বনকে ভালোবাসার স্বীকৃতিও পেয়েছেন এই নারী। পেয়েছেন ‘ওয়াংগারি মাথাই’ পুরস্কার। ইতালির রাজধানীর রোমে গিয়ে সেই পুরস্কার হাতে তুলে নিয়েছিলেন। তখন বয়স ছিল মাত্র ২৭।

সংরক্ষিত বনাঞ্চলে নারী পাহারা দলের সদস্যরা কাজ করছেন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বন প হ র

এছাড়াও পড়ুন:

প্রবীন সাংবাদিক আব্দুল্লার শয্যাপাশে বন্দর পেশাদার সাংবাদিক ফোরাম

বন্দর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার সিনিয়র  স্টাফ রিপোর্টার অসুস্থ্য প্রবীন সাংবাদিক এসএম আব্দুল্লাহ খোঁজ খবর নিলেন বন্দর পেশাদার সাংবাদিক ফোরামের নেতৃবৃন্দ।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বন্দর কলাবাগস্থ তার নিজ বাড়িতে এসে তারা এ খোঁজখবর নেন । ওই সময় সাংবাদিক এসএম আব্দুল্লাহর পাশে কিছুক্ষণ সময় কাটান ও তার চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজখবর নেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক বিজয় পত্রিকার সম্পাদক সাব্বির আহমেদ সেন্টু,বন্দর প্রেসক্লাবের সাবেক সহ সাধারন সম্পাদক জি.এম. সুমন একই কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক  আমির হোসেন,বন্দর প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক ও দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার বন্দর প্রতিনিধি মেহেদী হাসান রিপন,দৈনিক সংবাদ চর্চা পত্রিকার বন্দর প্রতিনিধি শেখ আরিফসহ বন্দর পেশাদার সাংবাদিক ফোরামের নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য,সাংবাদিক এসএম আব্দুল্লাহ গত শনিবার সকাল এগারোটার দিকে প্রচন্ড ভাইরাস জ্বড়ে অসুস্থ হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে বাড়িতে টানা ৬ দিন যাবৎ তিনি অসুস্থ্য হয়ে শয্যাশায়ী রয়েছেন।

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা.ফারুক আহেমেদের নিবির পর্যবেক্ষণে আছেন তিনি। তবে বর্তমানে কিছুটা উন্নতি হলেও শংকা কাটেনি বলে জানা গেছে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ