Prothomalo:
2025-06-15@21:15:21 GMT

বন পাহারায় লাঠি হাতে ২৮ নারী

Published: 8th, March 2025 GMT

দুর্গম বনের ভেতর ঘুরে বেড়ান তাঁরা। হাতে থাকে লাঠি ও ছাতা। পরনে সবুজ পোশাক। রোদ-বৃষ্টি কোনোটাই তাঁদের আটকাতে পারে না। কেউ বনের গাছ কাটতে চাইলে বাধা দেন। গত ১৯ বছর ধরে প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় এভাবেই বন পাহারা দিচ্ছেন টেকনাফের ২৮ নারী। তাঁদের এমন উদ্যোগের ফলে রক্ষা পেয়েছে হাজারো গাছপালা।

২০০৬ সালে বন বিভাগ এবং ইউএসএআইডির সহায়তায় গঠিত হয় বেসরকারি সংগঠন ‘নিসর্গ নেটওয়ার্ক’। এই সংগঠনের ব্যবস্থাপনায় টেকনাফ সদর ইউনিয়নের কেরনতলী গ্রামের বাসিন্দা খুরশিদা বেগম গঠন করেন ২৮ সদস্যের ‘বন পাহারা দল’। এর পর থেকে টেকনাফ রেঞ্জের আওতাধীন বনাঞ্চল সংরক্ষণে পাহারা দিয়ে আসছে দলটি। যদিও টেকনাফের বনাঞ্চল মানেই যেন অস্ত্রধারী ডাকাত দলের আস্তানা, অপহরণ, বিভিন্ন জীবজন্তুর আক্রমণের ভয়। তবু এসব কোনো কিছুই এই নারীদের থামাতে পারেনি। ইতিমধ্যে তাঁদের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত।

২৮ নারীর খোঁজে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে টেকনাফ স্থলবন্দরের পশ্চিম পাশের বনে যান এই প্রতিবেদক। সেখানে গিয়ে দেখা মেলে বন পাহারায় থাকা নারীদের। শাল-সেগুন-গর্জনসহ নানা জাতের গাছগাছালিতে ভরা ঘন পাহাড়ি অরণ্যে হেঁটে বেড়াচ্ছিলেন নারীরা। সবারই বয়স ২০ থেকে ৫০–এর মধ্যে। নারী দলের নেতৃত্ব দেন খুরশিদা বেগম (৪৬)। তিনি কেরনতলী নারী বন পাহারা দলেরও সভাপতি। প্রথম আলোকে জানালেন, পাহারা দেওয়ার কাজ প্রতিদিনই চলে। সকাল ৯টায় নারীরা বনাঞ্চলে ঢোকেন। শুরুতে নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে নেন। তারপর চারজন করে সাতটি দলে বিভক্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়েন বনাঞ্চলের এদিক-সেদিক। বিকেল চারটায় বাড়ি ফিরে যান তাঁরা। এর মধ্যে দুপুরের খাবারও সারেন বনের ভেতর। মূলত কেউ যেন গাছপালা না কাটে, আগুন না লাগায়; তা-ই দেখেন নারী সদস্যরা।

খুরশিদার গ্রামের সীমানা ঘেঁষেই ঘন বনজঙ্গল। ছোটবেলায় সে বনে বিচরণ ছিল তাঁর। বন্য প্রাণীর অবাধ যাতায়াত দেখেছেন তিনি। গভীর বনে থাকা ভয়ানক সব প্রাণীর গল্প শুনেছেন বড়দের কাছে। একসময় বনের সঙ্গে তাঁর গভীর আত্মীয়তার সম্পর্ক তৈরি হয়। এমনও হয়েছে, সারা দিন বনেই কাটিয়েছেন তিনি।

বনকে ভালোবাসার স্বীকৃতিও পেয়েছেন এই নারী। পেয়েছেন ‘ওয়াংগারি মাথাই’ পুরস্কার। ইতালির রাজধানীর রোমে গিয়ে সেই পুরস্কার হাতে তুলে নিয়েছিলেন। তখন বয়স ছিল মাত্র ২৭।

সংরক্ষিত বনাঞ্চলে নারী পাহারা দলের সদস্যরা কাজ করছেন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বন প হ র

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলের নতুন হামলায় ইরানের আইআরজিসির গোয়েন্দা প্রধান নিহত

ইরানের রাজধানী তেহরানে এবং আশপাশের এলাকায় অবস্থিত সামরিক স্থাপনাগুলোতে নতুন করে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

স্থানীয় সময় রবিবার (১৫ ‍জুন) বিকেলে চালানো এ হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) গোয়েন্দা প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ কাজেমি এবং তার ডেপুটি হাসান মোহাকিক নিহত হয়েছেন।

রবিবার রাতে ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন ও সংবাদ সংস্থাগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।

আরো পড়ুন:

ইসরায়েলে ৫০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ইরান, তেল আবিব ও হাইফাতে সরাসরি আঘাত

ইরানে আবারো হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল

ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরো জানিয়েছে, তেহরানে ইসরায়েলের নতুন হামলায় আইআরজিসির তৃতীয় ঊর্ধ্বতন গোয়েন্দা কর্মকর্তা মোহসেন বাঘেরিও নিহত হয়েছেন।

এর আগে, শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসরায়েলের প্রথম হামলায় সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি, আইআরজিসির কমান্ডার হোসেইন সালামিসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা এবং অন্তত ছয় জন পরমাণু বিজ্ঞানীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছিল ইরান। 

রবিবার ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শুক্রবার ও শনিবার ইরানজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় ১২৮ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় ৯০০ জন। হতাহতদের মধ্যে কমপক্ষে ৪০ জন নারী এবং বেশ কয়েকজন শিশু রয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ