ইতিহাসের সেরা নির্বাচন উপহার দেওয়ার পরিবেশ তৈরি হয়নি: ব্যারিস্ট
Published: 16th, August 2025 GMT
সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে আগামী নির্বাচন চলাকালে বিরোধী প্রার্থীরা নিরাপদে প্রচারণা চালাতে পারবে কিনা, সে বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। একইসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ নির্বাচন উপহার দেওয়ার প্রস্তুতিও এখনও তৈরি হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় রংপুর নগরীর সুমি কমিউনিটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “দেশের রাজনৈতিক দলগুলো আন্তরিক হলে এবং প্রশাসন সিরিয়াস হলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। তবে এ ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেই। জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্বিমত রয়েছে। তবে যেসব বিষয়ে একমত হয়েছে, সেগুলো ঝুলে না রেখে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।”
আরো পড়ুন:
রংপুরে শ্বশুর-জামাই হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে মানববন্ধন
রমেক ক্যাম্পাসে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সময় ড্যাব নেতা আটক
তিনি তিস্তা মহাপরিকল্পনা প্রসঙ্গে ভারতের দ্বিমুখী আচরণের সমালোচনা করে বলেন, “তিস্তা ইস্যুতে আর প্রতিবেশী দেশকে বিশ্বাস করা যাচ্ছে না। তাই স্বল্পসুদে চীনের সহযোগিতায় পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, “উত্তরাঞ্চল কৃষিপ্রধান এলাকা হলেও এখানে শিল্পকারখানা গড়ে তোলার মতো কোনো বড় বিনিয়োগ এখনো দেখা যায়নি, যা হতাশাজনক। এ ব্যাপারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আন্তরিক ভূমিকা রাখতে হবে।”
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিভিন্ন প্রশংসনীয় কাজের উল্লেখ করে ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, “প্রশাসনের প্রয়োজনীয় সংস্কার ও পুলিশ প্রশাসনকে সক্রিয়করণ এখনো দৃশ্যমান নয়। এর ফলে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।”
মতবিনিময় সভায় এবি পার্টির রংপুর অঞ্চলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/আমিরুল/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিচ্ছিন্ন ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সরকারকে কঠোর হতে হবে: আযম খান
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকটে আহমেদ আযম খান বলেছেন, “আমরা লক্ষ্য করছি, দেশের বিভিন্ন জায়গায় আইনশৃঙ্খলা কিছু কিছু অবনতি ঘটছে। এটাকে ব্যাপক বলা যাবে না। তবে সরকারকে কঠোর হতে হবে। সরকার যদি এই বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলোকে কঠিনভাবে মোকাকেলা না করে. তাহলে এগুলো আরো ঘটতে থাকবে এবং নির্বাচনের পরিবেশ সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যাবে।”
তিনি বলেন, “এটা যে পরিকল্পিত, সরকারকে বুঝতে হবে। সরকারের জন্য একটা ভালো নির্বাচন করা চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়বে। আমরা চাই না, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এই সরকার ব্যর্থ হোক।”
শনিবার (১৬ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা মহিলা দলের কর্মী সভায় যোগ দেওয়ার আগে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
হাসিনা তার বাবার হত্যার প্রতিশোধ নিতে দেশে এসেছিল: এ্যানি
সাতক্ষীরায় বিএনপির ৫ নেতাকর্মী বহিষ্কার
আযম খান বলেন, “সরকার বিএনপিসহ জনদাবির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। ড. ইউনূস দেশে ও দেশের বাইরে এ ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু কতিপয় রাজনৈতিক দল এই ঘোষণাকে গ্রহণ করতে পারছে না। তারা নানা ধরনের পরিবেশ ঘোলা করার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। আমি মনে করি, সরকারের কঠোর হওয়া উচিৎ।”
তিনি বলেন, “আমরা সম্প্রতি লক্ষ্য করছি আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় অকারেঞ্জ হচ্ছে। আমাদের উপদেষ্টাদের নিয়ে নানা ধরনের কথা হচ্ছে এবং তাদের সম্পর্কে নানা রকমের ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে। এটা নিয়ে আমরাই যে চিন্তিত, তা না; গণতন্ত্রমনা প্রত্যেকটা নাগরিক চিন্তিত।”
তিনি আরো বলেন, “ কারণ যত তাড়াতাড়ি গণতন্ত্রের পথে ফেরৎ যাওয়া যায়, দেশের জন্য ততই মঙ্গল। কিন্তু তারা গণতন্ত্রে যাওয়ার পেছনে বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আমাদের জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সমস্ত প্রতিকূলতা থেকে নির্বাচনের পথে দৃষ্টি দিতে হবে। তা না হলে দেশের জন্য অত্যন্ত অমঙ্গলজনক।”
এ সময় জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক আবুল কাশেম, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন আল জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক নূরনবী আবু হায়াত খান নবু, পৌর বিএনপির সভাপতি আক্তারুজ্জামান তুহিন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ পিন্টু, উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি রাশেদা সুলতানা রুবি, সাধারণ সম্পাদক মর্জিনা বেগম, বাসাইল পৌর মহিলা দলের সভাপতি রোকসানা খান, সাধারণ সম্পাদক নাজমা রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/কাওছার/মেহেদী