বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) বহুল প্রতীক্ষিত ছাত্র সংসদ নির্বাচন এখন মহামান্য রাষ্ট্রপতির প্রজ্ঞাপনের অপেক্ষায় আছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলী।

তিনি বলেন, “বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বহুল প্রতীক্ষিত ছাত্র সংসদ নির্বাচন এখন মহামান্য রাষ্ট্রপতির প্রজ্ঞাপনের অপেক্ষায়। লিখিত আদেশ পেলেই নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া গৃহীত হবে।”

আরো পড়ুন:

সকালে উদ্বোধন, সন্ধ্যায় বিকল বিআরটিসি বাস

‎ বেরোবি শিক্ষার্থীর পায়ের উপর দিয়ে গেল পিকআপ

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে যোগদানের ১ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত এক বছরের কর্মকাণ্ডের সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “বিপ্লব পরবর্তী নানা সংকট কাটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন একটি শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ১ বছরের অর্জনগুলো ভবিষ্যতের উন্নয়নের ভিত রচনা করেছে।”

ড.

শওকাত আলী তার আমলের গুরুত্বপূর্ণ সাফল্যগুলোর কথা জানান। এর মধ্যে রয়েছে- ২২টি বিভাগের শিক্ষার্থীদের মেধার ভিত্তিতে ডিনস ও মেরিট অ্যাওয়ার্ড প্রদান, আধুনিক পাঠ্যক্রম প্রণয়ন, গবেষণা খাতে অগ্রগতি, প্রশাসনিক সংস্কার, মেধাবৃত্তি প্রদান, আহত জুলাই যোদ্ধাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতকরণ ছাড়াও শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য পর্যাপ্ত পরিবহন সুবিধা, জুলাই আন্দোলনে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের সেশন নিরসন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন আয়োজন এর উদ্যোগ গ্রহণ, ফ্যাসিবাদের চিহ্ন মুছে ফেলার জন্য বিভিন্ন হল ও স্থাপনার নাম পরিবর্তন করা অন্যতম।

উপাচার্য জানান, নতুন নতুন বিভাগ ও ইনস্টিটিউট চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক র‌্যাঙ্কিং ও গবেষণাক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে, যা বিশ্ব অঙ্গনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতি বাড়াতে সহায়ক হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী কোটা আন্দোলনের প্রথম শহীদ আবু সাঈদ এর হত্যাকান্ডের বিচার প্রসঙ্গে উপাচার্য জানান, ২০২৪ সালের ২৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ১০৮তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক শহীদ আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের বিচারে সরকারি উদ্যোগে ও তদন্তে সহযোগিতা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত সংশ্লিষ্ট ৭১ জন ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মামলাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। 

একইসঙ্গে ক্যাম্পাসে লেজুডবৃত্তিক রাজনীতি বন্ধ করার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়টি তুলে ধরে উপাচার্য ড. শওকাত আলী উত্তরের এই বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হিসেবে গড়তে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. ফেরদৌস আলী, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ড. মো. হারুন অর রশিদ, ছাত্র উপদেষ্টা ড. ইলিয়াস প্রামানিকসহ বিভিন্ন অনুষদ ও বিভাগের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা।

ঢাকা/আমিরুল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপ চ র য

এছাড়াও পড়ুন:

কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন ‘এক নেতা এক পদ’ নীতির বাস্তবায়ন দাবি এক নেতার

কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ২০ সেপ্টেম্বর। এ উপলক্ষে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সভাপতি পদে লড়ছেন দুজন, সাধারণ সম্পাদক পদে চারজন। ইতিমধ্যে প্রতীক নিয়ে ভোটের প্রচারণায় নেমেছেন প্রার্থীরা।

সম্মেলনে সভাপতি পদপ্রার্থী ও বর্তমান জেলা বিএনপির সহসভাপতি রুহুল হোসাইন আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের খরমপট্টি এলাকার সমবায় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ‘এক নেতা এক পদ’ নীতি বাস্তবায়নের দাবি তোলেন। তিনি বলেন, দলীয় গঠনতন্ত্রের ১৫ ধারা বাস্তবায়ন না হওয়ায় নেতৃত্বের বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে। এ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে তা কার্যকর করার সুযোগ এসেছে।

রুহুল হোসাইন বলেন, বিভিন্ন ইউনিটের কাউন্সিলরদের কাছ থেকে ইতিমধ্যে দলের ভেতরে নানা অনিয়ম, অগঠনতান্ত্রিক বিষয়গুলো আলোচনায় আসায় তা থেকে বের হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান জেলা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরীফুল আলমের উদ্দেশে তিনি বলেন, সাত জেলার দায়িত্বে থাকা একজন কেন্দ্রীয় পদধারী নেতার একই সঙ্গে জেলা সভাপতির দায়িত্ব পালন করা অনিয়ম ও বিভক্তি তৈরি করছে। বলয়কেন্দ্রিক রাজনীতিতে অনেক বর্ষীয়ান ও সম্ভাবনাময় নেতারা অবজ্ঞার শিকার হয়েছেন।

জেলা বিএনপির সহসভাপতি আরও বলেন, সভাপতি পরিবর্তন হলে কিশোরগঞ্জে অনিয়ম কমবে। সদর থেকে সভাপতি নির্বাচিত হলে জেলার বিভিন্ন দাপ্তরিক কার্যক্রমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পৃক্ততা থাকবে। জেলা–উপজেলার নেতা-কর্মীরা নজরে থাকবেন। এতে অনিয়ম কম হবে, যা দলের ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।

জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরীফুল আলম বলেন, দলীয় গঠনতন্ত্র মেনেই তিনি প্রার্থী হয়েছেন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আস্থা থাকার কারণেই একাধিক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। শুধু তিনি নন, আরও অনেক নেতা কেন্দ্রীয় পদে থেকেও জেলায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

জেলা বিএনপি জানিয়েছে, প্রায় ৯ বছর পর এবার জেলা বিএনপির সম্মেলন হতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে পুরাতন স্টেডিয়ামে মঞ্চ, প্যান্ডেলসহ শহরে শতাধিক তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। উদ্বোধন করবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সম্মেলনে সভাপতি পদে লড়ছেন রুহুল হোসাইন (ছাতা) ও মো. শরীফুল আলম (আনারস)। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল (ফুটবল), মাজহারুল ইসলাম (রিকশা), শফিকুল আলম রাজন (মাছ) ও সাজ্জাদুল হক (গোলাপ ফুল)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ