চট্টগ্রামে কোচিংয়ে যাওয়ার পথে বাসচাপায় ভাই-বোনসহ নিহত ৩
Published: 13th, March 2025 GMT
চট্টগ্রামে কোচিংয়ে যাওয়ার পথে বাসের চাপায় দুই ভাই-বোনসহ ৩ জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চন্দনাইশের চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের দোহাজারী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন।
জানা যায়, চট্টগ্রামমুখী পূববী বাস একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে পেছন থেকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে এক স্কুল শিক্ষার্থী ও রিকশাচালক নিহত হন। অপর স্কুল শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়।
নিহত দুই শিক্ষার্থীরা হলেন, দোহাজারী পাঠশালা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৭ম শ্রেণির ছাত্র ওয়াকার উদ্দীন আদিল (১২) ও ৯ম শ্রেণির উম্মে হাবিবা রিজভী (১৫)। তারা দোহাজারীর জামিজুরি নিবাসী জসিম উদ্দিনের সন্তান। নিহত রিকশাচালক হলেন রুহুল আমিন (৪৫)। এ ঘটনায় কাজী ফাহমিদা ওয়াশিমা তুশিন (১৫) নামে আরও এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দোহাজারী হাইওয়ে থানার ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, এ ঘটনায় বাসটি জব্দ করা হয়েছে। চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছেন।
এদিকে দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়ক অবরোধ করেছে। তাদের দাবি সড়কে গতিরোধক নির্মাণ না করায় প্রতিনিয়ত অনেক মায়ের বুক খালি হচ্ছে। প্রায় ২ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে যৌথবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
নড়াইলে সাবেক প্রধান শিক্ষকের নামে ইউএনওর চাঁদাবাজির মামলা
নড়াইলের লোহাগড়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের চাকরিচ্যুত সাবেক প্রধান শিক্ষক আবদুর রহিম খানের বিরুদ্ধে দুই লাখ টাকার চাঁদাবাজির মামলা করেছেন লোহাগড়া উপজেলার ইউএনও মো. আবু রিয়াদ।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে তিনি নিজে বাদী হয়ে আবদুর রহিম খানসহ অজ্ঞাত ৩-৪ জনকে আসামি করে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
এর আগে বুধবার সকালে পুলিশ আবদুর রহিম খানকে আতোষপাড়া তার গ্রামের বাড়ি থেকে আটক করে ইউএনওর কার্যালয়ে নিয়ে আসে। এ সময় উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, সুধীজন ও গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
অভিযুক্ত আবদুর রহিম খান মল্লিকপুর ইউনিয়নের আতোষপাড়া গ্রামের মৃত মঞ্জেল খানের ছেলে। ২০২৪ সালের শুরুর দিকে লোহাগড়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে তিনি চাকরিচ্যুত হন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১ ডিসেম্বর ইউএনও আবু রিয়াদ অফিস শেষে ডাক বাংলোয় যাওয়ার পথে আবদুর রহিম অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জনকে নিয়ে ইউএনওর গাড়ির গতিরোধ করেন। এ সময় তারা ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, আবদুর রহিম ইউএনওর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে বিভিন্ন সময় টাকা চেয়ে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ টেক্সট করেছে এবং তা বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রকাশ করে ইউএনওর সম্মানহানি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আবদুর রহিম খান বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।’’
ঢাকা/শরিফুল//