২০২০ সালের ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’- প্রতিযোগী নিদ্রা দে নেহা মডেলিং দিয়েই ক্যারিয়ার শুরু করেন। বিজ্ঞাপন, নাটক, ওটিটির গণ্ডি পেরিয়ে নাম লিখিয়েছেন সিনেমায়। গেল বছর মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত ‘শরতের জবা’ সিনেমা। শাকিব খানের পরবর্তী সিনেমা ‘তাণ্ডব’-এ অভিনয়ের কথা ছিল তার। কিন্তু হঠাৎ শোনা যায়, এই ছবি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে তাকে।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘আমি সব সময় শিল্প, সংস্কৃতি, অভিনয়-এসবের সঙ্গেই জড়িত থাকতে চেয়েছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আমার অভিনয়ের প্রতি যে ভালোবাসা ছিল তা প্রতিনিয়ত অন্যায় আর অবমূল্যায়নের কারণে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আমি আর এই নোংরা পরিবেশের অংশ হতে চাই না।’

নেহা লিখেছেন, ‘গত ৫ বছর ধরে নিজেকে একজন ভালো অভিনেত্রী হিসেবে গড়ে তুলতে পরিশ্রম করেছি। কিন্তু যেসব অন্যায় আমার সঙ্গে হয়েছে, তার কারণে এখন কোনো কাজেই নিজেকে সম্পৃক্ত রাখতে পারছি না। এই মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে আমার আগ্রহ দিন দিন কমে যাচ্ছে। এখানে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মেধা আর পরিশ্রমের সঠিক মূল্য দেওয়া হয় না।’

তিনি যোগ করেন, ‘যারা পেশাদার, যোগ্য, নিষ্ঠাবান এবং কাজের প্রতি আন্তরিক, তাদের ঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হয় না। শুধু তাদের জনপ্রিয়তা বা ফলোয়ার কম বলে, বা তারা কোনো সিন্ডিকেটের অংশ নয় বলে। কখনো তারা নতুন বলে, কখনো প্রযোজকদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক না থাকার কারণে, তারা চাপা পড়ে যায়। আমি সবসময় মন থেকে কাজ করতে চেয়েছি, সততা আর ভালোবাসা দিয়ে কাজ করেছি। কিন্তু এসব জিনিস এখানে খুব একটা মূল্য পায় না।’

শেষে তিনি বলেন, ‘আমার হাতে কিছু কাজ আছে। তবে আমি কোনও ধরণের কাজ নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার মতো সুস্থ মানসিক অবস্থায় নেই।’

নেহার পোস্ট দেখে ভক্তরা বলছেন, সিন্ডিকেট করেই নেহাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ফলে নিজের কষ্টেক কথা প্রকাশ্যে বলতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।

তার পোস্ট কমেন্টে করেছেন অভিনয় জগতের অনেকেই। অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ লিখেছেন, ‘সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ। তোমার ক্যারিয়ারের একেবারে প্রাথমিক পর্যায়েই এই সত্যটি বুঝতে পেরেছো! এর জন্য লড়াই করো! শুভকামনা!’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

প্রবীন সাংবাদিক আব্দুল্লার শয্যাপাশে বন্দর পেশাদার সাংবাদিক ফোরাম

বন্দর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার সিনিয়র  স্টাফ রিপোর্টার অসুস্থ্য প্রবীন সাংবাদিক এসএম আব্দুল্লাহ খোঁজ খবর নিলেন বন্দর পেশাদার সাংবাদিক ফোরামের নেতৃবৃন্দ।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বন্দর কলাবাগস্থ তার নিজ বাড়িতে এসে তারা এ খোঁজখবর নেন । ওই সময় সাংবাদিক এসএম আব্দুল্লাহর পাশে কিছুক্ষণ সময় কাটান ও তার চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজখবর নেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক বিজয় পত্রিকার সম্পাদক সাব্বির আহমেদ সেন্টু,বন্দর প্রেসক্লাবের সাবেক সহ সাধারন সম্পাদক জি.এম. সুমন একই কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক  আমির হোসেন,বন্দর প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক ও দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার বন্দর প্রতিনিধি মেহেদী হাসান রিপন,দৈনিক সংবাদ চর্চা পত্রিকার বন্দর প্রতিনিধি শেখ আরিফসহ বন্দর পেশাদার সাংবাদিক ফোরামের নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য,সাংবাদিক এসএম আব্দুল্লাহ গত শনিবার সকাল এগারোটার দিকে প্রচন্ড ভাইরাস জ্বড়ে অসুস্থ হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে বাড়িতে টানা ৬ দিন যাবৎ তিনি অসুস্থ্য হয়ে শয্যাশায়ী রয়েছেন।

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা.ফারুক আহেমেদের নিবির পর্যবেক্ষণে আছেন তিনি। তবে বর্তমানে কিছুটা উন্নতি হলেও শংকা কাটেনি বলে জানা গেছে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ