মেয়াদোত্তীর্ণ স্বীকৃত বিল পরিশোধে তদারকি জোরদার করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
Published: 13th, April 2025 GMT
পণ্য আমদানির বিপরীতে অনেক ব্যাংক সময়মতো বিলের মূল্য পরিশোধ করছে না। এ কারণে বিদেশি ব্যাংকগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশি ব্যাংকগুলোর সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে। তার চেয়েও বড় বিষয় হলো, এতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে মেয়াদোত্তীর্ণ স্বীকৃত বিল পরিশোধে তদারকি জোরদার করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তারা কোনো বিল পরিশোধযোগ্য না হলে তা সংশ্লিষ্ট বিদেশি ব্যাংকগুলোকে চিঠির মাধ্যমে জানানোর নির্দেশনা দিয়ে আজ রোববার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের নভেম্বরে মেয়াদোত্তীর্ণ স্বীকৃত বিলের পরিমাণ ছিল ৫২ কোটি ডলার। এর মধ্যে বৈদেশিক স্বীকৃত বিল ২০ কোটি ও স্থানীয় বিল ৩২ কোটি ডলার। গত জানুয়ারির শেষে মেয়াদোত্তীর্ণ স্বীকৃত বিলের পরিমাণ কমে হয় ২৪ কোটি ডলার। এর মধ্যে বৈদেশিক স্বীকৃত বিল ৯ কোটি ও স্থানীয় বিল ১৫ কোটি ডলার।
এ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আমদানির বিপরীতে বিল মূল্য যথাসময়ে পরিশোধিত না হলে তা দেশের ব্যাংক ব্যবস্থার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে। বৈদেশিক বাণিজ্যের ব্যয় বৃদ্ধিসহ অনুকূল পরিবেশ বিঘ্নিত হয়। এই বিবেচনায় মেয়াদোত্তীর্ণ স্বীকৃত বিল (বৈদেশিক বা স্থানীয়) দ্রুত পরিশোধ নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মেয়াদোত্তীর্ণ স্বীকৃত বিলসমূহ (বৈদেশিক বা স্থানীয়) বিস্তারিত পর্যালোচনা করে (মামলাধীন, মামলার কারণ, বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান ইত্যাদি ভিত্তিক বিশ্লেষণপূর্বক) সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। বিস্তারিত পর্যালোচনায় শাখাভিত্তিক সাফল্য মূল্যায়ন করে যেসব শাখায় মেয়াদোত্তীর্ণ অপরিশোধিত স্বীকৃত বিলের (বৈদেশিক বা স্থানীয়) পরিমাণ বেশি, সেগুলোয় বিশেষ পরিবীক্ষণ ব্যবস্থা চালু করতে হবে। মামলাধীন কোনো বিল পরিশোধযোগ্য না হলে তা সরবরাহকারীর ব্যাংককে অবহিত করতে হবে।
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে যথাসময়ে আমদানি মূল্য পরিশোধের গুরুত্ব বিবেচনায় মূল্য পরিশোধ না করার বিষয়টি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না। এ ক্ষেত্রে ব্যর্থতায় শান্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ধরনের লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাও ব্যক্তিগতভাবে দায়বদ্ধ হবেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব ল পর শ ধ
এছাড়াও পড়ুন:
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক
ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।
বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।