পাকিস্তান চলতি মাসে ১৯ হাজার ৫০০ জনের বেশি আফগানকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। ৩০ এপ্রিল সময়সীমার আগেই ৮০ হাজারের বেশি আফগান পাকিস্তান ছেড়েছে; এরাও তাদের মধ্যে আছে বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে।

নথিবিহীন আফগান ও যাদের অবস্থান করার অস্থায়ী অনুমতি ছিল, তাদের বহিষ্কার করার পদক্ষেপ জোরদার করেছে ইসলামাবাদ। অতিরিক্ত শরণার্থীর চাপ তারা আর বহন করতে পারছে না বলে ইসলামাবাদ জানিয়েছে। তালেবান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতিদিন ৭০০ থেকে ৮০০ পরিবারকে ফেরত পাঠাচ্ছে পাকিস্তান।

আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ২০ লাখ আফগান শরণার্থীকে ফেরত পাঠানো হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তালেবান কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার শনিবার কাবুল যান। আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির কান মুত্তাকি শরণার্থী আফগানদের ফেরত পাঠানোর ঘটনায় ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেন। রয়টার্স।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আফগ ন স ত ন আফগ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকায় শ্বাস নেওয়ার জায়গা তৈরির কথা ভাবতে হবে

আলোকচিত্রী ও রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত শ্রমিক–নারী আন্দোলনের সংগঠক তাসলিমা আখতার বলেছেন, ‘ঢাকাকে নতুন করে তৈরি করার জন্য আমরা নতুন করে স্বপ্ন দেখছি। কীভাবে ঢাকা শহরে আরও অনেক বেশি সবুজ, পার্ক ও শ্বাস নেওয়ার জায়গা তৈরি হয়, সেই ভাবনার জায়গাগুলো তৈরি হচ্ছে।’

শুক্রবার রমনা পার্কের শকুন্তলা চত্বরে তাসলিমা আখতারের আলোকচিত্র প্রদর্শনী ‘ভালোবাসি রমনা: প্রাণ ও প্রকৃতির গল্প’–এর সমাপনী দিনে এই কথা বলেন তিনি।

প্রদর্শনীতে এসে আলোকচিত্রী শহিদুল আলম বলেন, ‘গাছ ও প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক এত দূরে সরে গেছে যে একটা সময় যেমন প্রাণী দেখার জন্য মানুষ চিড়িয়াখানায় যেত, তেমনি বোধ হয় একদিন গাছ ও অন্যান্য প্রাকৃতিক জিনিস দেখার জন্য চিড়িয়াখানায় যেতে হবে।

প্রদর্শনীতে এসে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘এই প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে আমাদের চিরপরিচিত রমনা পার্ককে নতুন চোখ দিয়ে দেখছি। রমনা পার্কের মতো জায়গা একটা সামাজিক পরিসর হিসেবে কী ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে, সেটা এই প্রদর্শনী থেকে আমরা অনুভব করেছি।’

১০ ডিসেম্বর শুরু হওয়া এই প্রদর্শনী নিয়ে আলোকচিত্রী তাসলিমা আখতার বলেন, গত ১০ বছরে ঢাকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে পার্কের বদল ও স্মৃতির গল্পও রয়েছে এই প্রদর্শনীতে। পার্কে প্রতিদিন হাঁটা বা শরীরচর্চার পাশাপাশি কীভাবে মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির সম্পর্ক তৈরি হয়—ছবি সেই গল্পও বলে। মোট ৫৫টি ছবি নিয়ে প্রদর্শনীটি সাজানো হয়েছে।

গতকাল প্রদর্শনীর সমাপনী দিনে আরও উপস্থিত হন গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা মুন্নী মৃ, আলিফ দেওয়ান, চলচ্চিত্রকার হাবিবুর রহমানসহ অনেকে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ