পাকিস্তান চলতি মাসে ১৯ হাজার ৫০০ জনের বেশি আফগানকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। ৩০ এপ্রিল সময়সীমার আগেই ৮০ হাজারের বেশি আফগান পাকিস্তান ছেড়েছে; এরাও তাদের মধ্যে আছে বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে।

নথিবিহীন আফগান ও যাদের অবস্থান করার অস্থায়ী অনুমতি ছিল, তাদের বহিষ্কার করার পদক্ষেপ জোরদার করেছে ইসলামাবাদ। অতিরিক্ত শরণার্থীর চাপ তারা আর বহন করতে পারছে না বলে ইসলামাবাদ জানিয়েছে। তালেবান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতিদিন ৭০০ থেকে ৮০০ পরিবারকে ফেরত পাঠাচ্ছে পাকিস্তান।

আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ২০ লাখ আফগান শরণার্থীকে ফেরত পাঠানো হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তালেবান কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার শনিবার কাবুল যান। আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির কান মুত্তাকি শরণার্থী আফগানদের ফেরত পাঠানোর ঘটনায় ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেন। রয়টার্স।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আফগ ন স ত ন আফগ ন

এছাড়াও পড়ুন:

বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় দাহ্য রাসায়নিক নিক্ষেপ, একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ

যশোরে দাহ্য রাসায়নিকে শিশু ও নারীসহ একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে নয়টার দিকে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তাঁদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের স্বজনেরা অভিযোগ করেছেন, বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্থানীয় এক ব্যক্তি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।

দগ্ধ তিনজন হলেন ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী গ্রামের জামাত হোসেনের মেয়ে রিপা খাতুন (২৬), স্ত্রী রাহেলা বেগম (৪৮) ও ছেলে ইয়ানূর রহমান (৮)। রিপার চাচা আবদুর রহমান জানান, বছর চারেক আগে স্বামী সঙ্গে রিপা খাতুনের বিচ্ছেদ হয়। ছেলেকে নিয়ে রিপা বাবার বাড়িতে থাকতেন।

দগ্ধ তিনজনের স্বজনেরা অভিযোগ করেন, জসীম উদ্দীন নামের একজন অ্যাসিড ছুড়ে মেরেছেন। তাঁর বাড়ি পাশের শার্শা উপজেলার পান্তাপাড়া গ্রামে। তাঁর স্ত্রী–সন্তান আছে। এক বছর ধরে তিনি ঝিকরগাছা উপজেলার মাঠবাড়ি গ্রামে থেকে দিনমজুরের কাজ করেন। তিনি রিপাকে কয়েক দফা বিয়ের প্রস্তাব দেন; কিন্তু রিপা তাতে রাজি হননি।

পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে ঝিকরগাছা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ বলেন, রিপা রাতে ঘরে বসে ছেলেকে খাওয়াচ্ছিলেন। তাঁর ভাই পাশে বসে পড়ছিল। এ সময় জসীম নামের ব্যক্তি ঘরের জানালা দিয়ে অ্যাডিস ছুড়ে মারেন। রিপাকে জসীম পছন্দ করেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছেন। বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি অ্যাসিড ছুড়ে মারেন।

পরিবারের সদস্যরা দগ্ধ তিনজনকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে তাঁদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সাফায়েত হোসাইন বলেন, একই পরিবারের তিনজন কেমিক্যান বার্ন হিসেবে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের শরীরের বিভিন্ন জায়গা পুড়ে গেছে। তাঁরা শঙ্কামুক্ত। এক প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, ‘অ্যাসিডে ঝলসে গেছে  কি না, সেটা পরীক্ষা–নিরীক্ষার বিষয়। এ ঘটনা ‘কেমিকেল বার্ন হিসেবে লেখা হয়’।

সম্পর্কিত নিবন্ধ