চাঁদপুরে মাদ্রাসা পড়ুয়া ছেলেকে খুঁজতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ, গ্রেপ্তার ২
Published: 2nd, May 2025 GMT
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায় একটি মাদ্রাসা থেকে নিখোঁজ ছেলেকে খুঁজতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। এ ঘটনায় মো. সুমন (৩১) ও মো. মহসিন (২৮) নামের দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার তাদের চাঁদপুর আদালতে সোপর্দ করে কচুয়া থানা-পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
গ্রেপ্তার সুমন উপজেলার গোহট উত্তর ইউনিয়নের হাড়িচাইল মুন্সিবাড়ির মৃত বাবুল মিয়ার ছেলে এবং মহসিন একই বাড়ির আব্দুল হালিমের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় গৃহবধূ (৩০) তার ১০ বছরের ছেলেকে খুঁজতে বের হন। এ সময় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তার ছেলেকে পরিত্যক্ত একটি ঘরে লুকিয়ে থাকতে দেখেছেন বলে গৃহবধূকে সেখানে নিয়ে যান। পরে ওই গৃহবধূকে সেখানে দুই যুবক ধর্ষণ করেন।
গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার হয়ে সম্মানহানির ভয়ে বিষয়টি প্রথমে গোপন রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হলে ওই গৃহবধূ পরিবারের লোকদের পরামর্শে ঘটনার ১৩ দিন পর ৩০ এপ্রিল থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের ভিত্তিতে থানা-পুলিশ বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার রহিমানগর নামক এলাকা থেকে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে।
গৃহবধূ পুলিশকে জানিয়েছেন, তার নিখোঁজ ছেলেকে পরে মাদ্রাসা এলাকা থেকে খুঁজে পাওয়া যায়। এদিকে কচুয়া থানার ওসি মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, ওই গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
ওসি বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। পরে তাদের চাঁদপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন দাবিতে রংপুরে রোববার গণপদযাত্রা
তিস্তা চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে রংপুরে রোববার গণপদযাত্রা কর্মসূচি পালন করবে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন। নগরীর শাপলা চত্বর থেকে শুরু হয়ে রংপুর জিলা স্কুল মাঠ পর্যন্ত এই গণপদযাত্রায় নদীপারের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ অংশ নেবেন। কর্মসূচিতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
শনিবার দুপুরে নগরীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবীব দুলু। তিনি জানান, আন্তর্জাতিক নদী তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে এর আগে বিভিন্ন সংগঠন তিস্তা ব্যারাজ অভিমুখে রোডমার্চ, মানববন্ধন, সমাবেশসহ স্তব্ধ কর্মসূচি পালন করেও বিগত সরকারের আমলে আশ্বাসের বাণী ছাড়া মেলেনি কিছু। তবে ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় এবং অবিলম্বে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে তিস্তাপারের মানুষজন ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি দু’দিন অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের ব্যানারে এ কর্মসূচিতে পাঁচ জেলার ১১ স্থানে তাঁবু খাটিয়ে একই সময়ে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে সংহতি প্রকাশ করে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সমাপনী অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে সবগুলো পয়েন্টে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ব্যতিক্রমী এই কর্মসূচিতে পাঁচ জেলার লক্ষাধিক মানুষ অংশ নেন। কিন্তু তারপরও বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখন পর্যন্ত বিষয়টি আমলে নেয়নি।
আসাদুল হাবীব দুলু বলেন, দু’দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালনের সময় ঘোষণা ছিল যতদিন তিস্তা চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে না, ততদিন আন্দোলন চলবে। সেই ঘোষণার প্রেক্ষিতে রোববার গণপদযাত্রা কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্যসচিব আনিছুর রহমান লাকু, বিএনপি নেতা এমদাদুল হক ভরসা, রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সালেকুজ্জামান সালেক উপস্থিত ছিলেন।