ফতুল্লায় সোলেয়মান নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা। শুক্রবার (৯ মে) বিকেলে ফতুল্লা রেললাইন বটতলা এলাকা থেকে তাকে আটক করে স্থানীয়রা। পরে তাকে ফতুল্লা মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, সোলেয়মানের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় বৈষম্য বিরোধী হত্যা মামলা এবং ফতুল্লা থানায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মামুন হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, সোলেয়মান স্থানীয় আওয়ামী লীগ ক্যাডার হিসেবে পরিচিত আক্তার-সুমনের অন্যতম সহযোগী। একসময় সে আক্তার-সুমনের পিতা মৃত আলাউদ্দিন হাজীর 'টি বয়' ছিল। পরবর্তীতে আলাউদ্দিন হাজী মারা গেলে আক্তার-সুমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হয়ে ওঠে।

তাদের হয়ে সে এলাকায় সন্ত্রাসী বাহিনী ও কিশোর গ্যাং গড়ে তোলে। আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে সে প্রশাসনের মদদে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা ও হামলার নেতৃত্ব দেয়।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: হত য ব এনপ ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

সেই বাইকের মালিক বলেন, ‘শোরুমে গেলেই সত্য বেরিয়ে আসবে’

ইনকিবাল মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক মো. আব্দুল হান্নানকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। 

শনিবার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে হান্নানকে আটক করে র‌্যাব। রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) হান্নানকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে পুলিশ।

আরো পড়ুন:

শেরপুরে নয়, হালুয়াঘাটে দুজনকে গ্রেপ্তার: পুলিশ

হাদিকে গুলি: সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার দাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাওয়ের ডাক

রাজধানীর পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক সামিম হাসান জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হান্নানের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট দিদারুল আলমের আদালতে এই আবেদনের শুনানি হয়। 

রাষ্ট্রপক্ষের ঢাকা মহানগরের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী আদালতে বলেন, হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত হোন্ডার মালিকানার তথ্য যাচাই করে পুলিশ আবদুল হান্নানের নাম পেয়েছে। যারা গুলি করেছে, তাদের সঙ্গে হোন্ডার মালিকের সম্পর্ক কী, সেটা যাচাই করা এবং হত্যাচেষ্টার রহস্য উদ্‌ঘাটনের জন্য এই আসামিকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন। 

ফারুকী আরো বলেন, সামনে নির্বাচন, আর সারা জাতি এই হত্যাচেষ্টার রহস্য উদ্‌ঘাটনের দিকে তাকিয়ে আছে।

অন্যদিকে, আদালতে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আব্দুল হান্নান দাবি করেন, তিনি ওই মোটরসাইকেল বিক্রি করে দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, বিষয়টি প্রমাণ করার জন্য তিনি গ্রেপ্তার হওয়ার পর র‌্যাব ও পুলিশকে অনুরোধ করেছিলেন তাকে শোরুমে (বিক্রয়কেন্দ্র) নিয়ে যেতে, যাতে সব সত্য বেরিয়ে আসে। কিন্তু তারা তা করেনি। হান্নান জানান, তিনি হাতের সমস্যার কারণে বাইকটি চালানো বন্ধ করে দিয়েছিলেন এবং নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় মিরপুর মাজার রোড থেকে কেনা হোন্ডাটি একটি শোরুমে বিক্রি করে দেন। 

আদালতে হান্নান দাবি করেন, মালিকানা থেকে তার নাম পরিবর্তন করে দেবেন বলে শোরুমকে জানিয়েছিলেন কিন্তু অসুস্থতার কারণে মালিকানা পরিবর্তন করার জন্য যেতে পারেননি।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদিকে শুক্রবার দুপুরে নির্বাচনি গণসংযোগ করে অটোরিকশায় ফেরার সময় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে গুলি করে সন্ত্রাসীরা। বর্তমানে তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন এবং তার অবস্থা এখনো সংকটজনক।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে সেই মোটরসাইকেলের কাগজপত্রে নাম থাকা মালিক হান্নানকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

ঢাকা/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ