ফতুল্লায় সোলেয়মান নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা। শুক্রবার (৯ মে) বিকেলে ফতুল্লা রেললাইন বটতলা এলাকা থেকে তাকে আটক করে স্থানীয়রা। পরে তাকে ফতুল্লা মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, সোলেয়মানের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় বৈষম্য বিরোধী হত্যা মামলা এবং ফতুল্লা থানায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মামুন হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, সোলেয়মান স্থানীয় আওয়ামী লীগ ক্যাডার হিসেবে পরিচিত আক্তার-সুমনের অন্যতম সহযোগী। একসময় সে আক্তার-সুমনের পিতা মৃত আলাউদ্দিন হাজীর 'টি বয়' ছিল। পরবর্তীতে আলাউদ্দিন হাজী মারা গেলে আক্তার-সুমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হয়ে ওঠে।

তাদের হয়ে সে এলাকায় সন্ত্রাসী বাহিনী ও কিশোর গ্যাং গড়ে তোলে। আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে সে প্রশাসনের মদদে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা ও হামলার নেতৃত্ব দেয়।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: হত য ব এনপ ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

পাকিস্তানে নিখোঁজ ভারতীয় শিখ নারী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে বিয়ে করেছেন স্থানীয় যুবককে

ভারতের শিখধর্মাবলম্বী এক নারী সম্প্রতি পাকিস্তানে তীর্থযাত্রায় গিয়ে নিখোঁজ হন। কয়েক দিন পর জানা যায়, তিনি পাকিস্তানেই আছেন এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।

শিখধর্মের প্রবর্তক গুরু নানক দেবের ৫৫৫তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ‘প্রকাশ পর্ব’ উদ্‌যাপনের জন্য একটি দলের সঙ্গে পাকিস্তানে তীর্থযাত্রায় গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন ওই নারী।

ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের কাপুরথালা জেলার ৫২ বছর বয়সী সরবজিৎ কর ৪ নভেম্বর শিখ তীর্থযাত্রীদের সঙ্গে আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে যান। একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তির অধীন তাঁদের পাকিস্তানের বিভিন্ন ধর্মীয় তীর্থস্থানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ১ হাজার ৯৯২ জন তীর্থযাত্রীর দল প্রায় ১০ দিন পাকিস্তানে থাকার পর ১৩ নভেম্বর ভারতে ফিরে আসে। কিন্তু সরবজিৎ তাদের সঙ্গে ছিলেন না।

এদিকে সরবজিৎ নিখোঁজ হওয়ার কয়েক দিন পর উর্দুতে লেখা বিয়ের একটি চুক্তিপত্রের (নিকাহনামা) ছবি প্রকাশ্যে আসে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। নিকাহনামা অনুযায়ী, পাকিস্তানের লাহোর থেকে প্রায় ৫৬ কিলোমিটার দূরে শেইখুপুরার বাসিন্দা নাসির হুসেইনকে বিয়ে করেছেন সরবজিৎ। বিয়ের আগে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন এবং নিজের নাম বদলে স্বামীর নামের সঙ্গে মিলিয়ে নূর হুসেইন রেখেছেন। তবে এসব তথ্য যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

সরবজিৎ নিখোঁজ হওয়ার কয়েক দিন পর উর্দুতে লেখা বিয়ের একটি চুক্তিপত্রের (নিকাহনামা) ছবি প্রকাশ্যে আসে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। নিকাহনামা অনুযায়ী, পাকিস্তানের লাহোর থেকে প্রায় ৫৬ কিলোমিটার দূরে শেইখুপুরার বাসিন্দা নাসির হুসেইনকে বিয়ে করেছেন সরবজিৎ। বিয়ের আগে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন এবং নিজের নাম বদলে স্বামীর নামের সঙ্গে মিলিয়ে নূর হুসেইন রেখেছেন।

ভারতে ফিরে আসা শিখ তীর্থযাত্রী দলে সরবজিৎ অনুপস্থিত থাকায় সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় অভিবাসন বিভাগ বিষয়টি পাঞ্জাব পুলিশকে জানায়। পুলিশ প্রাথমিক প্রতিবেদন অন্যান্য ভারতীয় সংস্থার কাছে পাঠায়। ভারতীয় মিশন তাঁর নিখোঁজের বিষয়ে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে।

সরবজিৎ করের এ ঘটনা দুই দেশের জন্য নিরাপত্তা উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, সরবজিৎ সম্ভবত অভিবাসন ফরমে তাঁর নাগরিকত্বের পরিচয় ও পাসপোর্ট নম্বর উল্লেখ করেননি। তাঁর পাসপোর্ট পাঞ্জাবের মুক্তসার জেলায় ইস্যু করা হয়। তবে পাকিস্তান থেকে প্রস্থানের নথি ও ভারতে পুনঃপ্রবেশের নথিতে তাঁর নাম ছিল না।

এর আগে ভারতের কারনাইল সিংয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সরবজিতের। পরে অবশ্য বিচ্ছেদ হয় তাঁদের। সাবেক স্বামীর ঘরে তাঁর দুই সন্তান রয়েছে। সাবেক স্বামী প্রায় ৩০ বছর ধরে ইংল্যান্ডে বসবাস করছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ