ফতুল্লায় সোলেয়মান নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা। শুক্রবার (৯ মে) বিকেলে ফতুল্লা রেললাইন বটতলা এলাকা থেকে তাকে আটক করে স্থানীয়রা। পরে তাকে ফতুল্লা মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, সোলেয়মানের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় বৈষম্য বিরোধী হত্যা মামলা এবং ফতুল্লা থানায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মামুন হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, সোলেয়মান স্থানীয় আওয়ামী লীগ ক্যাডার হিসেবে পরিচিত আক্তার-সুমনের অন্যতম সহযোগী। একসময় সে আক্তার-সুমনের পিতা মৃত আলাউদ্দিন হাজীর 'টি বয়' ছিল। পরবর্তীতে আলাউদ্দিন হাজী মারা গেলে আক্তার-সুমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হয়ে ওঠে।

তাদের হয়ে সে এলাকায় সন্ত্রাসী বাহিনী ও কিশোর গ্যাং গড়ে তোলে। আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে সে প্রশাসনের মদদে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা ও হামলার নেতৃত্ব দেয়।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: হত য ব এনপ ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় অগ্রগতির ইঙ্গি

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, মার্কিন শান্তি পরিকল্পা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত  স্টিভ উইটকফ ও জামাতা জারেড কুশনারের সঙ্গে তার ‘খুবই গঠনমূলক’ ফোনালাপ হয়েছে।

রবিবার (৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

আরো পড়ুন:

ইউক্রেন চুক্তি চূড়ান্ত করতে পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন ট্রাম্পের দূত

ইউক্রেনের কৌশলগত শহর পোকরোভস্ক দখলের দাবি রাশিয়ার

জেলেনস্কি জানান, কীভাবে রাশিয়াকে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি বা শান্তিচুক্তির শর্তগুলো মানতে বাধ্য করা যায় তা নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।

ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে ‘প্রতিজ্ঞ’ বলেও জানান তিনি।

রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি প্রস্তাব নিয়ে মায়ামিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বৈঠক করছেন।  

তবে মস্কো কোনো ছাড়ের ইঙ্গিত দেয়নি এবং ইউক্রেনে ব্যাপক বোমাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে জেলেনস্কি বলেন, “ইউক্রেন শান্তি অর্জনের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সৎ বিশ্বাসে কাজ চালিয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”

তিনি আরো বলেন, “যুদ্ধ বন্ধ ও নতুন করে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আক্রমণ ঠেকাতে যেসব শর্ত প্রয়োজন, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি।” 

এদিকে রাশিয়া শুক্রবার রাতে ইউক্রেনে আবারো বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনের ইইউ মিত্ররা এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একট পোস্টে বলেন, তিনি জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছেন এবং ‘পূর্ণ সংহতি’ প্রকাশ করেছেন।

ম্যাখোঁ আরো বলেন, “ফ্রান্স উত্তেজনা হ্রাস ও যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য সকল অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।” 

এর আগে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি সোমবার লন্ডনে জেলেনস্কি, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এবং জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জের সঙ্গে আলোচনায় যোগ দেবেন।

চার নেতা ইউক্রেনের যুদ্ধ-পরবর্তী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি চুক্তি খুঁজে বের করার লক্ষ্যে মার্কিন ও ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে চলমান আলোচনা নিয়ে আলোচনা করবেন।

ইউক্রেন জানায়, রাশিয়া শুক্রবার রাতে ৬৫৩টি ড্রোন এবং ৫১টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।

একটি হামলা কিয়েভের দক্ষিণ-পশ্চিমে ফাস্টিভ শহরের রেল জংশনে আঘাত হানে। এই হামলায় দেশটির প্রধান স্টেশন ভবন ধ্বংস হয়েছে এবং বেশ কিছু ট্রেন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইউক্রেনের জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আটটি অঞ্চলের বিদ্যুৎ স্থাপনায় হামলার ফলে ব্যাপক ব্ল্যাকআউট দেখা দিয়েছে।

রাশিয়া দাবি করেছে, তারা সামরিক শিল্প কেন্দ্র, জ্বালানি ও বন্দর অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।

মস্কোতে অনুষ্ঠিত মার্কিন শান্তি আলোচনায় কোনো সাফল্য না পাওয়ার পর আলোচনায় যুক্ত পক্ষগুলো রাশিয়াকে দীর্ঘমেয়াদী শান্তির পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা ফ্লোরিডায় শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করছেন। যেখানে ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত প্রস্তাবে রাজি করানোর চেষ্টা চলছে।

স্টিভ উইটকফ শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানান, ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব রুস্তেম উমেরভের সঙ্গে টানা দুই দিনের আলোচনা ছিল ‘গঠনমূলক’। তবে বিস্তারিত জানানো হয়নি।

বিস্তারিত কিছু না জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, তিনি এবং উমেরভ নিরাপত্তা ব্যবস্থার কাঠামোর বিষয়ে একমত হয়েছেন এবং স্থায়ী শান্তি বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে আলোচনা করেছেন।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, যুদ্ধ বন্ধের সম্ভাবনা রাশিয়ার ‘উত্তেজনা হ্রাস এবং ‘হামলা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার’ প্রস্তুতির উপর নির্ভর করছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ