ফতুল্লায় হত্যা মামলার আসামিকে পুলিশে দিল বিএনপির নেতা-কর্মীরা
Published: 10th, May 2025 GMT
ফতুল্লায় সোলেয়মান নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা। শুক্রবার (৯ মে) বিকেলে ফতুল্লা রেললাইন বটতলা এলাকা থেকে তাকে আটক করে স্থানীয়রা। পরে তাকে ফতুল্লা মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, সোলেয়মানের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় বৈষম্য বিরোধী হত্যা মামলা এবং ফতুল্লা থানায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মামুন হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, সোলেয়মান স্থানীয় আওয়ামী লীগ ক্যাডার হিসেবে পরিচিত আক্তার-সুমনের অন্যতম সহযোগী। একসময় সে আক্তার-সুমনের পিতা মৃত আলাউদ্দিন হাজীর 'টি বয়' ছিল। পরবর্তীতে আলাউদ্দিন হাজী মারা গেলে আক্তার-সুমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হয়ে ওঠে।
তাদের হয়ে সে এলাকায় সন্ত্রাসী বাহিনী ও কিশোর গ্যাং গড়ে তোলে। আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে সে প্রশাসনের মদদে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা ও হামলার নেতৃত্ব দেয়।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: হত য ব এনপ ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
ব্যবসায়ী শওকত আলী চৌধুরীর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ, তথ্য চেয়ে দুদকের চিঠি
চট্টগ্রামের জাহাজভাঙা শিল্পের ব্যবসায়ী শওকত আলী চৌধুরী, তাঁর স্ত্রী-সন্তান ও তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরই অংশ হিসেবে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সম্পর্কে তথ্য চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
সংস্থাটি তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যাংক হিসাব থেকে ‘অস্বাভাবিক লেনদেন’ এবং ঋণপত্রের (এলসি) মাধ্যমে জাহাজ ভাঙা ব্যবসার আড়ালে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের সাহায্যে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ তুলেছে।
আজ বুধবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম। তিনি বলেন, তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সম্পর্কে তথ্য চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
দুদকের অভিযোগ, শওকত আলী চৌধুরী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাবগুলোতে বিপুল অঙ্কের অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে। একই সঙ্গে এলসির মাধ্যমে জাহাজ ভাঙার নামে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগের সত্যতা যাচাই প্রয়োজন।
অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে দুদক সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে নির্দিষ্ট রেকর্ডপত্র চেয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শওকত আলী চৌধুরী, তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের নামে থাকা বা তাঁদের মালিকানাধীন বা স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে খোলা যেকোনো হিসাব বা স্কিমের ফরম ও সংশ্লিষ্ট নথিপত্র, হিসাবগুলোতে সব লেনদেনের বিবরণী, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জাতীয় পরিচয়পত্র, টিআইএন ও পাসপোর্টের কপি, তাঁদের নামে বা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে নেওয়া ঋণের আবেদন, শাখার প্রস্তাব, অনুমোদন–সংক্রান্ত সব রেকর্ড এবং ঋণ হিসাবের তথ্য।
দুদক বলছে, অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এসব রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন। অনুসন্ধান পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা, সম্পদ জব্দসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।