ফতুল্লায় সোলেয়মান নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা। শুক্রবার (৯ মে) বিকেলে ফতুল্লা রেললাইন বটতলা এলাকা থেকে তাকে আটক করে স্থানীয়রা। পরে তাকে ফতুল্লা মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, সোলেয়মানের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় বৈষম্য বিরোধী হত্যা মামলা এবং ফতুল্লা থানায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মামুন হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, সোলেয়মান স্থানীয় আওয়ামী লীগ ক্যাডার হিসেবে পরিচিত আক্তার-সুমনের অন্যতম সহযোগী। একসময় সে আক্তার-সুমনের পিতা মৃত আলাউদ্দিন হাজীর 'টি বয়' ছিল। পরবর্তীতে আলাউদ্দিন হাজী মারা গেলে আক্তার-সুমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হয়ে ওঠে।

তাদের হয়ে সে এলাকায় সন্ত্রাসী বাহিনী ও কিশোর গ্যাং গড়ে তোলে। আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে সে প্রশাসনের মদদে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা ও হামলার নেতৃত্ব দেয়।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: হত য ব এনপ ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেলের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের আগে ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেল ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’-এর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে জাতীয় ছাত্রশক্তি সমর্থিত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান’।

আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এই অভিযোগ তোলেন প্যানেলটির প্রার্থীরা।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নির্মিত আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশনের হলের শিক্ষার্থীদের গত রোববার কেরানীগঞ্জের শ্যামল বাংলা রিসোর্টে নিয়ে যান ছাত্রশিবিরের নেতারা। সেখানে সারা দিন অবস্থানের পর সন্ধ্যায় তাঁরা হলে ফেরেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি অংশকে রিসোর্টে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয়েছে। বিশেষত জকসু নির্বাচনের সময়ে এমন আচরণবিধি লঙ্ঘনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি, অসন্তোষ ও বিভিন্ন প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।

‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান’ প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী কিশোয়ার সাম্য বলেন, ‘ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেল একের পর এক নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করার পরও কেন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, তার পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে চাই। নির্বাচনী আচরণবিধি মানার বিষয়ে যদি প্রার্থীদের কোনো দায়দায়িত্বই না থাকে, তাহলে এই বিধি দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা কী?’

অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করিনি। আচরণবিধি অনুযায়ী ক্যাম্পাসের ভেতরে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করার সুযোগ নেই। আমরা ক্যাম্পাসের ভেতরে কোনো প্রোগ্রাম করিনি। ক্যাম্পাসের বাইরের অনুষ্ঠান পরিচালনা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করার পর্যায়ে পড়ে না।’

এ বিষয়ে জকসুর নির্বাচন কমিশনার আনিসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা অবগত নই। কোনো অভিযোগ এলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আজকে ডোপ টেস্টের বিষয়ে সবাই ঢাকা মেডিকেলে ছিল। এদিকে ব্যস্ত থাকায় অভিযোগ পাওয়ার খবর আসেনি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ