প্রধান শিক্ষককে তুলে নিয়ে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে আহতের ঘটনায় মামলা
Published: 11th, May 2025 GMT
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুর এস এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম সালামকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে উপর্যপুরি হামলার ঘটনায় ১০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার প্রধান শিক্ষক স্ত্রী রহিমা বেগম বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় এই মামলা দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন- শাহাজাহান বাদশা ওরফে বাদশা (৩৮), শফিকুল ইসলাম (৪৫), হেলাল উদ্দিন হৃদয় (৩৮), আমজাদ হোসেন (৩৮), আশিকুর রহমান (৩৫), ওসমান ওরফে ডাকাত ওসমান (৩৮), কামরুল হাসান রিদোয়ান (৩৫), সাইদুল হক সাদু (৫৫), রফিক উল্লাহ হামিদী (৫৮) ও ইমাম হোসেন (৩০)। এতে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ১৫ জনকে। আসমিরা সবাই জঙ্গল সলিমপুর এলাকার বাসিন্দা।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়। বিদ্যালয়ে অধীনে ৩০টি দোকান রয়েছে। সেই দোকানের ভাড়ার টাকা স্কুল ফান্ডে রাখা হয় এবং উন্নয়ন কাজে ব্যবহার করা হয়। ভাড়ার টাকা থেকে চাঁদা দাবি ও আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছিল স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি।
প্রধান শিক্ষক স্ত্রী রহিমা বেগম বলেন, গত বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার সময় কয়েকজন ব্যক্তি বসতঘরের দরজা ভেঙে ঢুকে। প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। না পেয়ে তারা আলমারির দরজা ভেঙে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ তিনটি মোবাইল লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় প্রধান শিক্ষককে ঘর থেকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে ও চুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, জঙ্গল সলিমপুর এস এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম সালামকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে মারধর ও লুটের ঘটনায় তার স্ত্রী রহিমা বেগম মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত করে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।
এদিকে জঙ্গল সলিমপুর এস এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম সালামকে জামায়াতের কর্মী দাবি করে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নেতারা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নারী নিহত
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুরের রাজৈরে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের খাদে পড়ে এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) মধ্যরাতে রাজৈর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।
নিহত নিলুফা ইয়াসমিন নিলা (৩০) বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার রুনসী গ্রামের আবুল বাসারের স্ত্রী।
আরো পড়ুন:
গাজীপুরে ডাম্পট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত
অটোরিকশায় ট্রেনের ধাক্কা, মা-মেয়ে নিহত
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুয়াকাটা থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল চন্দ্রা পরিবহনের বাসটি। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রাজৈর বাসস্ট্যান্ড পার হওয়ার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। পরে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিলার মরদেহ উদ্ধার করে। আহত হন অন্তত ২০ জন। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মাদারীপুরের মস্তফাপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, বাস খাদে পড়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করা হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। একজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। নিহত নারীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা/বেলাল/মাসুদ