টি-২০ বিশ্বকাপ জিতেই অবসরের ঘোষণা করে দেন বিরাট কোহলি। তিনি সংক্ষিপ্ত সংস্করণকে বিদায় বলায় অবাক হননি তেমন কেউ। তবে এবার কোহলি টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলায় অবাক হয়েছেন অনেকে। এমনকি তার স্ত্রী আনুশকা শর্মাও ভাবেননি ওয়ানডের আগে টেস্টকে বিদায় বলবেন ভারতীয় কিংবদন্তি ব্যাটার।

গত মার্চে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছে ভারত। অনেকে ভেবেছিলেন, ওই টুর্নামেন্টের পরে ওয়ানডে ফরম্যাটকে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি বিদায় বলবেন। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কর্মকর্তাদের ভাবনাও ছিল অনেকটা একই। যে কারণে তাদের সিদ্ধান্ত শোনার অপেক্ষায় কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা প্রকাশে পাঁচ মাস দেরি করেছিল বিসিসিআই।

আনুশকা শর্মাও ভেবেছিলেন, সাদা বলের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে আগে বিদায় বলবেন বিরাট। টি-২০’র পর অবসরে যাবেন ওয়ানডে থেকে। কিন্তু ৩৬ বছর বয়সীয় ডানহাতি ব্যাটার হৃদয়ের ডাক শুনে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন বলে এক ইন্সটাগ্রাম বার্তায় উল্লেখ করেছেন আনুশকা।

তিনি লিখেছেন, ‘সবাই তোমার রেকর্ড, মাইলফলক নিয়ে কথা বলবে, তবে আমি স্মরণ করবো তোমার কান্না যা তুমি কাউকে কখনো দেখাওনি, যে লড়াই কেউ দেখেনি এবং টেস্টের প্রতি তোমার অগাধ ভালোসার কথা। আমি জানি, এগুলো তোমার থেকে কতটা শুষে নিয়েছে।

প্রতিটি টেস্ট সিরিজের পরে, তোমার চেহারায় আমি নতুন কিছু শিখে ফেরার বার্তা দেখেছি, তুমি আরও নম্র হয়ে ফিরে এসেছ এবং তোমাকে কাছ থেকে প্রতিদিন একটু একটু করে বিকশিত হতে দেখা বিশেষ ব্যাপার।

যদিও আমি সবসময় ভেবেছি, তুমি সাদা বলের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে আগে বিদায় নেবে। তবে তুমি তোমার হৃদয়ের ডাক শুনেছ এবং তাই প্রিয়তম আমি বলতে চাই, তুমি এই বিদায় বলার পূর্ণ অধিকার অর্জন করেছ।’

বিরাট কোহলি ১৪ বছরের ক্যারিয়ারে ১২৩ টেস্ট খেলেছেন। লাল বলে ৩৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার ৯২৩০ রান করেছেন। সেঞ্চুরি করেছেন ৩০টি। হাফ সেঞ্চুরির সংখ্যা ৩১। কোহলির অবসরের পেছনে গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে পুরনো দ্বন্দ্বের জের থাকতে পারে। ভারতের সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে, বিসিসিআই কোহলিকে টেস্ট দলে ‘আনফিট’ বলেছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব র ট ক হল ব স স আই ব দ য় বল

এছাড়াও পড়ুন:

কাশবনের হাতছানিতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভিড়

চারদিকে জেগে ওঠা ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচর। এর মাঝখানে স্বচ্ছ পানির আধার। ওপরে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ। আর চরজুড়ে শুভ্র কাশফুল। প্রকৃতির দানেই তৈরি হয়েছে এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। বাতাসে দুলতে থাকা কাশফুলের এ সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের মনে দেয় একধরনের প্রশান্তি। তাই প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন এখানে।

এ অপার সৌন্দর্যের দেখা মিলবে জামালপুর শহরের ফৌজদারি এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নদের ধারে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষের। সবাই নিজেদের মতো করে ছবি তুলছেন, কেউবা কাশফুল ছিঁড়ে তৈরি করছেন তোড়া।

গত মঙ্গলবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, শহরের মোড় থেকে শুরু করে নদের তীর পর্যন্ত মানুষের ভিড়। ছোট্ট একটি সেতু পার হয়ে সবাই ছুটছেন নদীর ধারে। প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে ফুটেছে কাশফুল। সবুজ লম্বা পাতার বুক থেকে বেরিয়ে আসা শুভ্র কাশফুল কোথাও থোকা থোকা, কোথাও গুচ্ছ আকারে। দূর থেকে মনে হবে, বালুচরে যেন সাদা চাদর বিছানো। হাওয়ায় দুলে ওঠা কাশফুলে মন ভরে যাচ্ছে দর্শনার্থীদের।
চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা। কাশফুলঘেরা সেই পানিতে ডিঙিনৌকা নিয়ে ঘুরছেন দর্শনার্থীরা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষ কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা সন্তানদের নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছেন।

ব্রহ্মপুত্র নদের চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা

সম্পর্কিত নিবন্ধ