যৌন হয়রানি অভিযোগ ও চেম্বারে ছাত্রীর সঙ্গে অপ্রীতিকর অবস্থায় ধরা পড়ায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহর স্থায়ী বহিষ্কার দাবি করা হয়েছে।

অভিযুক্ত শিক্ষক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।  

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র ভবনের সামনে থেকে এ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

আরো পড়ুন:

ঢাবিতে বহিরাগতদের নিয়ে ছাত্রদলের উপাচার্যবিরোধী আন্দোলন, ক্ষোভ

মাদ্রাসাছাত্রকে পিটিয়ে আহত, শিক্ষক গ্রেপ্তার 

আরো পড়ুন: চেম্বারে ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় রাবি শিক্ষক, ভিডিও ভাইরাল

মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘হেদায়েত উল্লাহ ধিক্কার, চাইছি তোমার বহিষ্কার’, ‘পাপুলের (হেদায়েত উল্লাহ) চামড়া, তুলে নেব আমরা’, ‘এক দফা এক দাবি, পাপুল তুই কবে যাবি’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে আয়োজিত সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, এ রকম শিক্ষককে আমরা শিক্ষক হিসেবে পরিচয় দিতে চাই না। উনি আমাদের বিভাগের মানসম্মান সব নষ্ট করেছে। তার ক্লাসও আমরা করতে চাই না। তাকে বিভাগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি। একইসঙ্গে অনৈতিক কাজে জড়িতে সেই ছাত্রীকেও বিভাগ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান তারা।

এ বিষয়ে ফাইন্যান্স বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক শিবলী সাদিক বলেন, “আমরা এ ব্যাপারে অবগত আছি। আমরা শীঘ্রই এ নিয়ে আলোচনায় বসে সিদ্ধান্ত নেব। আমরা শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করে যৌথভাবে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। আমাদের একটু সময় লাগবে।”

রবিবার (১১ মে) সন্ধ্যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের ৩০৭ নম্বর কক্ষ থেকে ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহকে এক ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৪ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ ইন য ন স ব ভ গ র হ দ য় ত উল ল হ

এছাড়াও পড়ুন:

কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি

পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।

মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।

এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।

মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।

পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।

ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ