জাবি ও ঢাবির দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রীতি ক্রিকেট
Published: 17th, May 2025 GMT
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ‘ব্লাইন্ড ক্রিকেট-২০২৫’ শীর্ষক প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ঢাবি ব্লাইন্ড টিমের বিপরীতে জাবি ব্লাইন্ড টিম ৫৬ রানে জয়ী হয়।
শনিবার (১৭ মে) ‘ইনক্লুসিভ-জেইউ’ এর আয়োজনে দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ‘ব্লাইন্ড ক্রিকেট-২০২৫’ উদ্বোধন করেন জাবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ।
প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচে বি-১, বি-২ ও বি-৩ এই তিনটি ক্যাটাগরিতে খেলোয়াড় বাছাই করা হয়। এদের মধ্যে বি-১ ক্যাটাগরির খেলোয়াড়েরা সম্পূর্ণ দৃষ্টিহীন, তারা কিছুই দেখতে পান না। বি-২ ক্যাটাগরির খেলোয়াড়েরা ২ মিটার থেকে ৪ মিটার পর্যন্ত দেখতে পারেন। বি-৩ ক্যাটাগরির খেলোয়াড়েরা ৬ মিটার থেকে ১৫ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত দেখতে পারেন।
আরো পড়ুন:
বাকৃবি শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতের চেষ্টা দোকানির
সাম্য হত্যায় জড়িতদের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে দ্রুত বিচারের সিদ্ধান্ত
প্রীতি ম্যাচে টসে জয়লাভ করে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্লাইন্ড ক্রিকেট টিম। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৬ ওভার ৮ উইকেটে ২০০ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ২০১ রানের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্লাইন্ড ক্রিকেট টিম ব্যাট করতে নেমে ১৬ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান সংগ্রহ করেন। এতে জাবি ব্লাইন্ড টিম ৫৬ রানের বিশাল জয় পায়।
জাবির ব্লাইন্ড ক্রিকেট টিমের হয়ে সর্বোচ্চ ৯৮ রান করেন নাহিদ। ঢাবির ব্লাইন্ড ক্রিকেট টিমের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন মোকাররম।
এর আগে, খেলার উদ্বোধনকালে জাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.
তিনি বলেন, “জাবির বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায় সংক্রান্ত কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। লেখাপড়া, গান, কবিতা, খেলাধুলা, নৃত্য ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রে আমাদের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা যেন ভালো করে, সেই চেষ্টা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি।”
ঢাবির ব্লাইন্ড ক্রিকেট টিমের ক্যাপ্টেন মাহবুব মোর্শেদ বলেন, “দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদেরও বিনোদনের অধিকার আছে। প্রকৃত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী যারা আছে, তারা ব্লাইন্ড ক্রিকেটটা খেলতে পারছে না। এই খেলায় কিছু রুলস আছে। তবে জাতীয় খেলা বা যেকোনো বড় খেলাতে বি-২ এবং বি-৩ ক্যাটাগরিতে যাদের নেওয়া হচ্ছে তারা মোটামুটি এক চোখে দেখতে পায়। এজন্য আমরা যারা প্রকৃত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, তারা খেলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।”
জাবির ব্লাইন্ড ক্রিকেট টিমের ক্যাপ্টেন নাজিম হোসেন বলেন, “আমরা এই টুর্নামেন্টটি আয়োজন করেছি, যাতে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে ভেঙ্গে না পড়েন এবং এখান থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পারেন। আমাদের এ আয়োজনে সহযোগিতা করার জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।”
‘ইনক্লুসিভ-জেইউ’ একটি নতুন উদ্যোগ, যা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের সহায়তা ও ক্ষমতায়নে কাজ করছে।
ঢাকা/আহসান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব র ব ল ইন ড ক র ক ট ট ম র
এছাড়াও পড়ুন:
সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন যারা
যুক্তরাজ্যের বার্ষিক সাহিত্য পুরস্কার ‘উইমেন্স প্রাইজ ফর ফিকশন ২০২৫’ -এর সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। গত ৪ মার্চ নারী কথাসাহিত্যিকদের জন্য দেওয়া এই পুরস্কারটির দীর্ঘ তালিকা প্রকাশ করা হয়। এবার প্রকাশিত হলো এর সংক্ষিপ্ত রূপ। গত ২ এপ্রিল ৩০তম আসরের নির্বাচিত ৬টি উপন্যাসের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১২ জুন বিজয়ী লেখকের নাম ঘোষণা করা হবে। পুরস্কার হিসেবে চূড়ান্ত বিজয়ী পাবেন ৩০ হাজার পাউন্ড।
সংক্ষিপ্ত এই তালিকায় আছে– আরিয়া আবেরের ‘গুড গার্ল’, মিরান্ডা জুলাইয়ের ‘অল ফোরস’, এলিজাবেথ স্ট্রাউটের টেল মি এভরিথিং, ভ্যান ডের উডেনের ‘ডের উডেন: দ্য সেফকিপ ইয়ায়েল’, নুসাইবাহ ইউনিসের ‘ফান্ডামেন্টালি’ এবং সানাম মাহলুদজির দ্য পারসিয়ানস’। যুক্তরাজ্যের সব নারী সাহিত্যিকের জন্য উন্মুক্ত হলেও ১ এপ্রিল ২০২৪ থেকে ৩১ মার্চ ২০২৫ সালের মধ্যে ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত উপন্যাসের গুরুত্ব অনুযায়ী গ্রন্থগুলো অন্তর্ভুক্ত হয় তালিকায়। ব্যক্তিগত স্বাধীনতা এবং মানবিক সংযোগের প্রয়োজনীয়তা অন্বেষণের পাশাপাশি আকর্ষণীয় বৈচিত্রময় গল্প স্থান পেয়েছে এতে।
এবার পুরস্কারের বিচারক প্যানেলের প্রধান দায়িত্বে রয়েছেন লেখক কিট ডি ওয়াল। তার সঙ্গে আছেন ঔপন্যাসিক, সাংবাদিক ডায়ানা ইভান্স; লেখক, মানসিক স্বাস্থ্য প্রচারক ব্রায়নি গর্ডন; গ্ল্যামার ইউকে’র প্রধান সম্পাদক ডেবোরা জোসেফ এবং সংগীতশিল্পী এবং সুরকার অ্যামেলিয়া ওয়ার্নার। কিট ডি ওয়াল বলেন, ‘বড় বড় বিষয়গুলোর মোকাবেলায় নারীরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তারা অবাক করা বর্ণনাকারী। কুৎসিত বিষয়বস্তু, নতুন এবং সাহসী উপায়ে যৌনতা সম্পর্কে লেখা থেকে তারা বিরত নেই। আমি এই ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে প্যানেলের বাকি সবাই আমার চেয়ে বেশি জানে। বিচারকদের মধ্যে কোনও শ্রেণিবিন্যাস ছিল না। আসলে আমারও কিছুই করার ছিল না। সবাই বুদ্ধিমান, শক্তিশালী, সুপণ্ডিত, মজার, স্পষ্টভাষী, সহানুভূতিশীল নারী।’
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে নারী সাহিত্যিকদের কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ পুরস্কারটি দেওয়া হচ্ছে। অনেকের মতে, ১৯৯১ সালের বুকার পুরষ্কার ছিল এই পুরস্কারের অনুপ্রেরণা। তখন ছয়টি সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত বইয়ের মধ্যে কোন নারী লেখক ছিলেন না, যদিও সেই বছর প্রকাশিত প্রায় ৬০ শতাংশ উপন্যাসই ছিল লেখকদের লেখা। তাই অনেক লেখক, প্রকাশক, এজেন্ট, বই বিক্রেতা, গ্রন্থাগারিক, সাংবাদিক বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে একত্রিত হয়েছিলেন। তারা উপস্থাপন করেন যে, গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান সাহিত্যবিষয়ক পুরস্কারগুলো প্রায়শই নারী সাহিত্যিকদে কৃতিত্বের স্বীকৃতির জন্য দেওয়া হয় না। ফলে এর পাঁচ বছরের মধ্যেই শুধু নারী লেখকদের জন্যই পুরস্কারটি চালু করা হয়। এবার চূড়ান্ত ফলের অপেক্ষা। v