রাতে পুনরায় বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচের টিকিট ছাড়বে বাফুফে
Published: 26th, May 2025 GMT
আগামী ১০ জুন এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ। দীর্ঘ সময় সংস্কারের পর ঢাকা স্টেডিয়ামে আবারও ফিরছে ফুটবল ম্যাচ। এই ম্যাচে বাড়তি পাওয়া হামজা চৌধুরী। প্রথমবার বাংলাদেশের মাটিতে খেলতে যাচ্ছেন হামজা। জাতীয় স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে হামজাদের ম্যাচ দেখতে ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহ তুঙ্গে।
কিন্তু টিকিট কাটতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় ফুটবলপ্রেমীদের। অনলাইনে টিকিট ছেড়েছিল বাফুফে। এজন্য টিকিফাইকে (tickify.
সোমবার (২৬ মে) কুল-বিএসজেএ ফুটবল টুর্নামেন্টে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাফুফের সভাপতি তাবিথ আউয়াল। টুর্নামেন্টের উদ্বোধন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বাফুফে সভাপতি বলেন, “বাফুফে সব সময় ইনোভেটিভ কাজ করে থাকে। প্রথমবার ভুল-ত্রুটি হতে পারে, এটা স্বীকার করে নিয়েছি। দুটি আইপি অ্যাড্রেস থেকে সাইবার আক্রমণ হয়েছে। এজন্য সার্ভার ডাউন ছিল। টিকিট সংগ্রহ পর্যায় থেকে স্টেডিয়ামে প্রবেশ পর্যন্ত আমরা নজরদারি রাখব। আমরা আশাবাদী আজ আবার রাত ১০টা থেকে সাইট ও প্ল্যাটফর্ম অন হবে, সীমিত পরিসরে হলেও।”
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশের হয়ে খেলতে ফিফার অনুমতি পেলেন শমিত
কালবৈশাখী ঝড়ের পর আলোকস্বল্পতায় স্থগিত ফেডারেশন কাপের ফাইনাল
সংস্কারের পর ২২ হাজার দর্শক একসঙ্গে বসে মাঠে খেলা দেখতে পারবেন। ধারণা করা যাচ্ছে, প্রায় ২৫ হাজার দর্শক মাঠে উপস্থিত থাকবেন।
স্টেডিয়ামের বাইরে বাফুফের বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে বলে জানালেন তাবিথ আউয়াল, “স্টেডিয়াম গ্যালারি ১৮ হাজার। এর বাইরে হাজার দুয়েক। দুর্ভাগ্যজনক হলেও বাস্তবতা হলো—অনেক সমর্থককে সীমিত আসনের জন্য স্টেডিয়ামের বাইরে থাকতে হবে। তাদের জন্য আমরা বাইরে ব্যবস্থা করব। বাফুফের পক্ষ থেকে আটটি বিভাগীয় শহরে ফ্যান জোন করা হচ্ছে। অনেকেই ব্যক্তি উদ্যোগেও করছে।”
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে প্রতি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন মূল পর্বে খেলতে পারবে। বাংলাদেশের গ্রুপে ভারত, সিঙ্গাপুর ও হংকং—চার দলেরই সমান এক পয়েন্ট এবং গোল ব্যবধানও শূন্য। তাই ১০ জুনের ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন বাফুফে সভাপতি।
তার মতে, বাংলাদেশের খুব ভালো সম্ভাবনা আছে এশিয়ান কাপ খেলার, “আমি আশাবাদী এখনো গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে। আমাদের গ্রুপটি বেশ কঠিন। প্রতি দলেরই এক পয়েন্ট ও গোলও শূন্য। সিঙ্গাপুর ম্যাচের পর টেবিলের অবস্থান নিশ্চয়ই বদলাবে। আমি সিঙ্গাপুর ম্যাচ নিয়ে আশাবাদী।”
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
৩ দাবিই পূরণ চান অনশনরত জবি শিক্ষার্থীরা
শিক্ষার্থীদের লাগাতার অনশন কর্মসূচির মুখে অবশেষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রথমবারের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে।
তবে এই ঘোষণায় সন্তুষ্ট নন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তিন দফা দাবির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন ছাড়া অনশন ভাঙবেন না বলে জানিয়েছেন তারা।
আরো পড়ুন:
জানুয়ারি থেকে বিশেষ বৃত্তি পাবেন জবি শিক্ষার্থীরা
জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা, নির্বাচন ২৭ নভেম্বর
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করে।
রোডম্যাপ অনুযায়ী, চলতি বছরের ২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে জকসু নির্বাচন। এর আগে আগামী ৮ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে এবং কমিশন ১১তম দিনে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করবে।
রোডম্যাপ ঘোষণার পরও অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, “আমরা অনশনকারীদের সঙ্গে একমত। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিব বলেন, “আমরা শর্তসাপেক্ষ কোনো ঘোষণা মানব না। আমাদের দাবি ছিল তিনটি—শুধু জকসু নির্বাচন ঘোষণা করে হবে না। তাই অনশন চালিয়ে যাব।”
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সদস্য সচিব শাহিন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, “রোডম্যাপে শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। বিধি কবে পাস হবে তা স্পষ্ট করা হয়নি। আবারও আমাদের মুলা দেখানোর চেষ্টা চলছে। এজন্য আমরা অনশন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- শিক্ষার্থীদের সম্পূরক বৃত্তি কার্যকর হওয়ার নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা; জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ; ক্যাফেটেরিয়ায় ভর্তুকি দিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করা এবং কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে আধুনিক সুবিধা ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু।
এর আগে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের নিচে তিন দফা দাবিতে অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। অনশনে অংশ নেয় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস), ছাত্র অধিকার পরিষদ ও ছাত্রদলসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
প্রতিষ্ঠার প্রায় দুই দশক পর এবারই প্রথমবারের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা হলো। কিন্তু ঘোষণায় অস্পষ্টতা ও শর্ত যুক্ত করার অভিযোগে অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী