সাভারে একটি তৈরি পোশাক কারখানায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার রাতে জিরানীর বাড়ইপাড়া এলাকার হক অ্যাপারেলস অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড নামক কারখানার নিটিং সেকশন ও গুদামে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

ডাকাতরা কারখানার শ্রমিক ও নিরাপত্তাকর্মীদের বেঁধে রেখে সুতাসহ প্রায় কোটি টাকার মালপত্র লুট করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় রোববার আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেপ্তার কিংবা লুট হওয়া মালপত্র উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

কারখানার কর্মকর্তারা জানান, শনিবার রাত ৪টার দিকে ১৫-১৬ সদস্যের ডাকাত দল হক অ্যাপারেলস অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড কারখানার মূল ভবনের পেছনের দিকের দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় সেখানে নিটিং সেকশনে কর্মরত দু’জন অপারেটরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বেঁধে ফেলে। একইভাবে কারখানাটির দু’জন নিরাপত্তারক্ষীকেও বেঁধে রাখে। পরে নিটিং শাখার দুটি কম্পিউটার ও গুদাম থেকে ১০ টন ফেব্রিক, পাঁচ টন সুতাসহ আনুমানিক এক কোটি টাকার মালপত্র লুট করে দুটি ট্রাকে তুলে নিয়ে যায় ডাকাতরা।

কারখানাটির জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) নজরুল ইসলাম বলেন, অস্ত্রধারী ডাকাত দলের কাছে দুটি পিস্তল ও রামদা ছিল। মুখে মাস্ক থাকলেও তারা গুদামের কাপড় দিয়ে পুরো মুখ ঢেকে নিয়েছিল। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও ধরা পড়েনি কেউ। মালপত্রও উদ্ধার হয়নি।

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, ডাকাতির খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল টপ ট ম লপত র

এছাড়াও পড়ুন:

লিফলেট বিতরণে যাওয়া বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে হামলার অভিযোগ

মাদারীপুরের শিবচরে তারেক রহমানের ৩১ দফা–সংবলিত লিফলেট বিতরণের সময় বিএনপির নেতা–কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সোমবার রাত আটটার দিকে শিবচর উপজেলার চরশ্যামাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেলে তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লিফলেট নিয়ে বের হন মাদারীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন ওরফে লাবলু সিদ্দিকীর কর্মী-সমর্থকেরা। শিবচর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণ করেন তাঁরা। ফেরার পথে উপজেলার চরশ্যামাইল এলাকায় এলে শিবচর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যান বাবুল ফকিরের লোকজনের সঙ্গে বিএনপির নেতা–কর্মীদের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন বিএনপির নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা চালান বলে অভিযোগ।

এ সময় উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে আহত হন উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন। ভাঙচুর করা হয় পাঁচটি মোটরসাইকেল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শিবচর থানা–পুলিশ ও জেলার অতিরিক্ত পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া সুমন আহম্মেদ ও রাশেদ মৃধা বলেন, তারেক রহমানের ৩১ দফা লিফলেট নিয়ে তাঁরা চরশ্যামাইল এলাকার কাজীর দোকান নামক স্থানে এলে আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল ফকিরের ছেলে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা সুমন ফকিরের নেতৃত্বে শতাধিক মানুষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তাঁদের অনেক লোকজন আহত হয়েছেন। মোটরসাইকেল রেখে তাঁদের অনেকে সেখান থেকে ফিরেছেন।

বিএনপি নেতা সাজ্জাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, প্রথমে বিএনপি কর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কয়েকজন অনুসারীর কথাকাটাকাটি হয়। পরে বিষয়টি মিটমাটও হয়ে গেছে। লিফলেট বিতরণ শেষ করে মোটরসাইকেল নিয়ে ফেরার সময় রাস্তায় গতিরোধ করে দুই দিক থেকে লাঠিসোঁটা নিয়ে আক্রমণ করে। কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। হামলায় যারা আহত বেশির ভাগই বিএনপির কর্মী সমর্থক। তিনি হামলার নিন্দা জানিয়ে জড়িতের বিচার দাবি করেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে বাবলু ফকিরের মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘খবর পেয়ে আমিসহ অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিই। এ ঘটনায় থানায় এখনো অভিযোগ দেয়নি কেউ। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ