পোশাক কারখানায় ডাকাতি, কোটি টাকার মালপত্র লুট
Published: 22nd, June 2025 GMT
সাভারে একটি তৈরি পোশাক কারখানায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার রাতে জিরানীর বাড়ইপাড়া এলাকার হক অ্যাপারেলস অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড নামক কারখানার নিটিং সেকশন ও গুদামে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ডাকাতরা কারখানার শ্রমিক ও নিরাপত্তাকর্মীদের বেঁধে রেখে সুতাসহ প্রায় কোটি টাকার মালপত্র লুট করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় রোববার আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেপ্তার কিংবা লুট হওয়া মালপত্র উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
কারখানার কর্মকর্তারা জানান, শনিবার রাত ৪টার দিকে ১৫-১৬ সদস্যের ডাকাত দল হক অ্যাপারেলস অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড কারখানার মূল ভবনের পেছনের দিকের দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় সেখানে নিটিং সেকশনে কর্মরত দু’জন অপারেটরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বেঁধে ফেলে। একইভাবে কারখানাটির দু’জন নিরাপত্তারক্ষীকেও বেঁধে রাখে। পরে নিটিং শাখার দুটি কম্পিউটার ও গুদাম থেকে ১০ টন ফেব্রিক, পাঁচ টন সুতাসহ আনুমানিক এক কোটি টাকার মালপত্র লুট করে দুটি ট্রাকে তুলে নিয়ে যায় ডাকাতরা।
কারখানাটির জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) নজরুল ইসলাম বলেন, অস্ত্রধারী ডাকাত দলের কাছে দুটি পিস্তল ও রামদা ছিল। মুখে মাস্ক থাকলেও তারা গুদামের কাপড় দিয়ে পুরো মুখ ঢেকে নিয়েছিল। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও ধরা পড়েনি কেউ। মালপত্রও উদ্ধার হয়নি।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, ডাকাতির খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নেত্রকোনায় দুটি বিদ্যালয়ে দুর্বৃত্তদের আগুন
নেত্রকোনায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল রোববার রাত তিনটার দিকে নেত্রকোনা সদর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
এতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনটি শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষকদের একটি কক্ষ পুড়ে গেছে। আগুনে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষের দরজা আংশিক পুড়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা, পুলিশ ও বিদ্যালয়সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত তিনটার দিকে দুর্বৃত্তরা উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের মনাং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও প্রায় একই সময়ে সাজিউড়া মফিলা ফয়েজ আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে টের পেয়ে গ্রামবাসী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালান। কিন্তু ততক্ষণে আধা পাকা প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পুড়ে যায়। তবে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আগুন নিভিয়ে ফেলায় তেমন ক্ষতি হয়নি। খবর পেয়ে আজ সোমবার সকালে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে।
মনাং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদা বেগম জানান, বিদ্যালয়টি পুড়ে যাওয়ায় আজ শিক্ষার্থীদের পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে।
সাজিউড়া মফিলা ফয়েজ আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষের দরজা আংশিক পুড়ে যায়