ব্রিটিশ পরিবহন সংস্থা ‘মেগাবাস’ সম্প্রতি তাদের বাসগুলোয় যাত্রীদের ফেলে যাওয়া বেশ কিছু অদ্ভুত ধরনের সব সামগ্রীর তালিকা প্রকাশ করেছে। এই তালিকায় রয়েছে খড়ের আঁটি, হিমায়িত টার্কি, রান্নার কড়াই, কৃত্রিম দাঁতের পাটিসহ আরও কত কী।

এ বছরের মে মাসে মেগাবাসের সিটে পাওয়া গেছে উইনি দ্য পুহ কার্টুন চরিত্রের খেলনা, এক কৌটা মধু, গিটার, জনপ্রিয় ব্যান্ড রেডিওহেডের ভিনাইল রেকর্ড, ইনসুলিন, ইলেকট্রিক রেজর, মার্কিন গায়ক নেইল ডায়মন্ডের সিডি, এক পাটি জুতা, পুরোনো কয়েন ও ডাকটিকিটের একটি সংগ্রহ। সামগ্রীগুলো যাত্রীরা ভুলে বাসে ফেলে গেছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

তবে এসবের চেয়ে আরও বিচিত্র ও অস্বাভাবিক কিছু জিনিস আগের বছরগুলোয় মেগাবাস উদ্ধার করেছে। এর মধ্যে আছে তিনটি খড়ের আঁটি, পারিবারিক বংশতালিকার নথিপত্র, হিমায়িত টার্কি, এক পাটি কৃত্রিম দাঁত, রান্নার কড়াই, একাধিক জুতা ও মোজা। অদ্ভুত তালিকাটি মেগাবাসের হারানো মালপত্র বিভাগের কাজের চমকপ্রদ দিকগুলো তুলে ধরে।

মেগাবাস জানায়, তাদের কাছে রিপোর্ট করা হারানো জিনিসের প্রায় ৯৫ শতাংশই শেষ পর্যন্ত মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু যেসব জিনিস ২৮ দিনের মধ্যে দাবি করা হয় না, সেগুলো নিয়মমাফিক দাতব্য সংস্থায় দান করা হয়। ফলে হারানো জিনিসগুলো নতুন কোনো কাজে লাগানোর সুযোগ তৈরি হয়।

মেগাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যদি কোনো যাত্রী বাসে কোনো মালপত্র হারান, তবে দ্রুত প্রতিষ্ঠানটির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে জানানো উচিত। এতে মালিকের কাছে মালপত্র ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া সহজ হয় ও যাত্রীরা তাঁদের মূল্যবান জিনিসপত্র ফেরত পেতে পারেন।

এ ধরনের বিচিত্র মালপত্রের তালিকা মেগাবাসের কর্মীদের জন্যও এক অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতা, যা প্রতিনিয়ত তাঁদের কাজে নতুন চ্যালেঞ্জ যোগ করছে। একই সঙ্গে তাঁদের এ উদ্যোগ যাত্রীদের মধ্যেও বিশ্বাস ও সন্তুষ্টি বাড়াতে সাহায্য করছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম লপত র

এছাড়াও পড়ুন:

এক মাসে গড়াল আন্দোলন, ‘ভালো খবরের আশায়’ সচিবালয়ের কর্মচারীরা

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে আজ সোমবার দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। এ নিয়ে তাঁদের এ আন্দোলন এক মাসে গড়াল।

অধ্যাদেশকে ‘কালো আইন’ আখ্যা দিয়ে বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের আন্দোলনকারী কর্মচারীরা। এ বিষয়ে ‘ভালো খবর আসবে’ বলে আশা করছেন তাঁরা।

সচিবালয় রাষ্ট্রের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর (কেপিআই) একটি। প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত এই সচিবালয় থেকেই প্রধানত সারা দেশে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তগুলো যায়। এমন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ জায়গার ভেতরে এত দিন ধরে কর্মচারীরা আন্দোলন করলেও এখনো এ বিষয়ে কার্যকর কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি সরকার। অথচ সরকারের দুজন উপদেষ্টাই বলেছেন, এই অধ্যাদেশটি কিছু ক্ষেত্রে অপব্যবহারের আশঙ্কা আছে।

অধ্যাদেশ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যালোচনায় সরকার একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করেছে। কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আবদুর রশীদ। এ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তায় আছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব। সেই কমিটি কাজ করছে। কিছুদিন আগে এ কমিটির প্রধান আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, তাঁর কাছে মনে হয়েছে, অবশ্যই কিছু কিছু জায়গায় অধ্যাদেশটির পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে।

সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাতিলের দাবিতে গত ২৪ মে থেকে আন্দোলন করছেন সচিবালয়ে কর্মরত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। আন্দোলন চলার মধ্যেই ২৫ মে অধ্যাদেশটি জারি করে সরকার। এর পর থেকে বিক্ষোভ, কর্মবিরতি ও উপদেষ্টাদের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার মতো কর্মসূচি পালন করছেন কর্মচারীরা। আন্দোলনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের ডাকে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শেষে অফিস খোলার এক দিন পর ১৬ জুন থেকে আন্দোলনকারী কর্মচারীরা আবার সচিবালয়ের ভেতর টানা বিক্ষোভ করে আসছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সোমবার বেলা ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন তাঁরা।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে আন্দোলনকারীরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অবস্থিত সচিবালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে অবস্থান নিয়ে অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে বক্তব্য দেন।

‘ভালো খবর আসবে’ এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো চেয়ারম্যান বাদিউল কবীর। তিনি জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করবেন তাঁরা। সেখানে আরও বক্তব্য দেন ফোরামের আরেক কো চেয়ারম্যান মুহা. নুরুল ইসলাম, কো মহাসচিব নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ