সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলমের সহকারী হাসিনুর ইসলাম ওরফে সজলকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (২২ জুন) মধ্যরাতে শাহমখদুম থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। 

সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ রকিবুল হাসান ইবনে রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তার হাসিনুর ইসলাম সজল রাজশাহী নগরের শাহমখদুম থানার দক্ষিণ নওদাপাড়া মহল্লার সাইনুদ্দীন ওরফে সান্টুর ছেলে। তিনি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। 

আরো পড়ুন:

ভিক্ষা না ছাড়ায় বাবাকে হত্যা, ছেলে আটক

নাটোরে ২ ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

হাসিনুর ইসলাম সজল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ পাওয়ার আগে থেকেই শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে থাকতেন। প্রথমে শুধু তার ব্যক্তিগত ব্যবসা দেখাশোনা করলেও পরবর্তীতে সবকিছুরই দায়িত্বে আসেন। নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্য এবং তদবিরের মাধ্যমে তিনি বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

আরএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ রকিবুল হাসান ইবনে রহমান জানান, গ্রেপ্তার হাসিনুর ইসলাম সজলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ঢাকা/কেয়া/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ স ন র ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

আরএমপি কমিশনারকে আদালতে তলব

রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের ছেলে তাওসিফ রহমান সুমনকে (১৭) খুনের অভিযোগে পুলিশ হেফাজতে থাকা আসামি লিমন মিয়ার (৩৬) বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ায় আদালত এর ব্যাখ্যা চেয়েছে।

এ বিষয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার (আরএমপি) মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানকে আদালত ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন। মামলার আগামী ধার্য তারিখ ১৯ নভেম্বর। এর আগে পুলিশ কমিশনারকে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে।

আরো পড়ুন:

৬ বাসে মিলল ৩৫ মণ জাটকা, চালকদের জরিমানা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিবের জামিন

শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাজশাহীর রাজপাড়া থানার আমলী আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশিদ এ আদেশ দেন। আদালতের পেশকার আমজাদ আলী এ তথ্য জানিয়েছেন।

আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, গত ১৩ নভেম্বর রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের ভাড়া ফ্লাটে লিমন মিয়া কৌশলে প্রবেশ করে তার নাবালক ছেলে তাওসিফকে ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত ও শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে এবং তার স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসিকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুরুতর জখম করে। অভিযুক্ত লিমন মিয়াকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

পুলিশ হেফাজতে থাকাবস্থায় ভিকটিমকে দোষারোপ করে লিমন মিয়া গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য দেওয়ায় কেন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানের  বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না— তা আগামী ধার্য তারিখের মধ্যে আদালতে হাজির হয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

গত ১৩ নভেম্বর দুপুরে রাজশাহী নগরের ডাবতলা এলাকায় ভাড়া ফ্ল্যাটে খুন হয় বিচারকের ছেলে তাওসিফ। হামলায় আহত হয় বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসি। হামলাকারী লিমন মিয়া ধস্তাধস্তিতে আহত হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় লিমন মিয়ার ভিডিও বক্তব্য ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে যায়।

ঢাকা/কেয়া/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হেফাজতে থেকে আসামিকে গণমাধ্যমে কথা বলতে দেওয়ায় ৪ পুলিশ প্রত্যাহার
  • আরএমপি কমিশনারকে আদালতে তলব