রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবদুর রহমানের ছেলে তাওসিফ রহমানকে (১৭) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আটক হয়ে পুলিশ হেফাজতে থাকা লিমন মিয়াকে (৩৪) গণমাধ্যমে কথা বলতে দেওয়ায় চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে তাদের প্রত্যাহার করে আরএমপির পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। তারা নগরীর রাজপাড়া থানায় কর্মরত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

আরএমপি কমিশনারকে আদালতে তলব

যুবককে দুবাই নিয়ে বিক্রি, বরিশালে ২ জনের যাবজ্জীবন

চার পুলিশ সদস্য হলেন- উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু শাহাদাত, কনস্টেবল আব্দুস সবুর, মাহফুজার রহমান ও মিঠু সরদার।

আরএমপির মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার গাজিউর রহমান বলেন, ‘‘দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে অবহেলায় চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। কার কার দায়িত্বে অবহেলা ছিল, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। এরপরই বাকিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী নগরীর ডাবতলা এলাকায় ভাড়া নেওয়া ফ্ল্যাটে খুন হন তাওসিফ। হামলায় আহত হন বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসীও। এছাড়া হামলাকারী নিজেও ধস্তাধস্তিতে আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি করার পর অভিযুক্ত লিমন মিয়াকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। ওই সময় লিমন একটি গণমাধ্যমে কথা বলেন। পরে এ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।

এ ঘটনায় রাজশাহী আদালতে একটি বিবিধ মামলা হয়েছে। হেফাজতে থাকা আসামির বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ায় আদালত শনিবার আরএমপি কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানকে শোকজ করেছেন। আগামী ১৯ নভেম্বরের মধ্যে আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে তাকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

ঢাকা/কেয়া/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

আরএমপি কমিশনারকে আদালতে তলব

রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের ছেলে তাওসিফ রহমান সুমনকে (১৭) খুনের অভিযোগে পুলিশ হেফাজতে থাকা আসামি লিমন মিয়ার (৩৬) বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ায় আদালত এর ব্যাখ্যা চেয়েছে।

এ বিষয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার (আরএমপি) মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানকে আদালত ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন। মামলার আগামী ধার্য তারিখ ১৯ নভেম্বর। এর আগে পুলিশ কমিশনারকে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে।

আরো পড়ুন:

৬ বাসে মিলল ৩৫ মণ জাটকা, চালকদের জরিমানা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিবের জামিন

শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাজশাহীর রাজপাড়া থানার আমলী আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশিদ এ আদেশ দেন। আদালতের পেশকার আমজাদ আলী এ তথ্য জানিয়েছেন।

আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, গত ১৩ নভেম্বর রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের ভাড়া ফ্লাটে লিমন মিয়া কৌশলে প্রবেশ করে তার নাবালক ছেলে তাওসিফকে ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত ও শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে এবং তার স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসিকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুরুতর জখম করে। অভিযুক্ত লিমন মিয়াকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

পুলিশ হেফাজতে থাকাবস্থায় ভিকটিমকে দোষারোপ করে লিমন মিয়া গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য দেওয়ায় কেন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানের  বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না— তা আগামী ধার্য তারিখের মধ্যে আদালতে হাজির হয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

গত ১৩ নভেম্বর দুপুরে রাজশাহী নগরের ডাবতলা এলাকায় ভাড়া ফ্ল্যাটে খুন হয় বিচারকের ছেলে তাওসিফ। হামলায় আহত হয় বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসি। হামলাকারী লিমন মিয়া ধস্তাধস্তিতে আহত হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় লিমন মিয়ার ভিডিও বক্তব্য ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে যায়।

ঢাকা/কেয়া/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আরএমপি কমিশনারকে আদালতে তলব