বাড়ির পেছনে বিশাল গরুর খামার। সঙ্গে লাগোয়া গোবরের স্তূপ। গোবর আর খামার ঘেঁষেই মিষ্টিজাত পণ্য তৈরির কারখানা। নেই কোনো বেড়া বা ঢাকনার ব্যবস্থা। মশা, মাছি ও পোকামাকড় ভন ভন করছে। কারখানাটির কোনো লাইসেন্স বা বৈধ কাগজপত্রও নেই। প্রায় দুই বছর ধরে চলা কারখানাটিতে অভিযান চালিয়ে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার দয়রামপুর ঘোষপাড়া এলাকার ‘বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডার অ্যান্ড বেকারিতে’ এই অভিযান চালায় কুষ্টিয়া ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো.

মাসুম আলী। এ সময় জেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইয়াসিন আরাফাত, উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক ফারুক হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কারখানার ব্যবস্থাপক সুশান্ত রায় বলেন, ‘কোনো লাইসেন্স ছাড়াই প্রায় দুই বছর ধরে চলছে কারখানাটি। আমাদের ভুল হয়েছে। খুব দ্রুতই সংশোধন করা হবে।’

ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক মো. মাসুম আলী বলেন, ‘যেন গরুর খামারেই তৈরি হচ্ছে মিষ্টিজাত পণ্য। এখানে পশুপাখির অবাধ বিচরণ। কোনো বৈধতা নেই। সম্পূর্ণ অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশ এবং কাগজপত্র না থাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংশোধনের জন্য সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছে। কিছু মিষ্টিজাত পণ্য ধ্বংস করা হয়েছে। আইন অমান্য করলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে শুধু জরিমানা করায় অখুশি স্থানীয় লোকজন। তাঁদের দাবি দ্রুত অবৈধ কারখানাটি বন্ধ করা দরকার। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত কারখানাটি বন্ধ করার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ব‌্যাংক গ‌্যারান্টি জমার সময় বাড়ল

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফ্রাঞ্চাইজিদের পেশাদারিত্ব নিয়ে বারবারই প্রশ্ন তোলা হয়। এবারও তার ব‌্যতিক্রম হচ্ছে না। নতুন করে পাঁচ বছরের জন‌্য দল নেওয়া পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে নিয়েও বিপাকে আয়োজকরা।

নতুন করে দল পেতে ফ্রাঞ্চাইজিগুলোকে ১০ কোটি টাকার ব‌্যাংক গ‌্যারান্টি দেওয়ার কথা ছিল। গতকাল ছিল জমা দেওয়ার শেষ দিন। অথচ পাঁচ দলের তিনটিই জমা দেয়নি ব‌্যাংক গ‌্যারান্টি। যে দুইটি দল জমা দিয়েছে তাদের সব কাগজপত্রও এখন পর্যন্ত সব ঠিকঠাক পেয়েছে কিনা নিশ্চিত করতে পারেননি বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।

ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর আবেদনের প্রেক্ষিতে ব‌্যাংক গ‌্যারান্টি জমা দেওয়ার সময়ও বাড়ানো হয়েছে। এ খবর নিশ্চিত করেছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদ‌স‌্য ও বিসিবির সহসভাপতি শাখাওয়াত হোসেন। রাইজিংবিডিকে তিনি নিশ্চিত করেছেন, “মাত্র দুইটি প্রতিষ্ঠান ব‌্যাংক গ‌্যারান্টি দিয়েছে। এজন‌্য সময় বাড়ানো হয়েছে। যেহেতু নিলাম ২৩ তারিখ। হাতে কিছুটা সময় আছে। আমরা সেই সুযোগটি দলগুলোকে দিচ্ছি।”

দ্রুত বিপিএল আয়োজন করতে গিয়ে দলগুলোকে কিছু ছাড়ও দিচ্ছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল, ‘আমরা অতি দ্রুত সব আয়োজন করছি। ফ্রাঞ্চাইজি বাছাই, দল গোছানো, ভেন্যু নির্বাচন, ফিক্সচার, বিদেশি খেলোয়াড় সংগ্রহ…সব কিছু তড়িৎ গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এবারের আয়োজন সফল করার চ‌্যালেঞ্জ আমাদের। আমরা সেই চেষ্টাই করছি। এগুলো আগামী আসর থেকে সব ঠিক হয়ে যাবে।”

জানা গেছে, ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত ব‌্যাংক গ‌্যারান্টি জমা দেওয়ার শেষ সময় নির্ধারণ করেছে বিপিএল কর্তৃপক্ষ। এ সময়ে বাকিদের কাগজ পর্যালোচনা করবেন তারা, ‘যারা ব‌্যাংক গ‌্যারান্টি দিয়েছে তাদের কাগজপত্রও পর্যালোচনা করতে হবে। ব‌্যাংক গ‌্যারান্টি দিলেই হলো না। ভুয়া ব্যাংক গ্যারান্টিও আসে। তাই আমরা সতর্ক আছি। যাচাই-বাছাই করে আমরা দেখব, তারপর সব চূড়ান্ত হবে।”

যদি কোনো ফ্রাঞ্চাইজি নিলামের আগে ব‌্যাংক গ‌্যারান্টি দিতে না পারে তাহলে কী হবে? সেই প্রশ্নও করা হয়। অনুমিত উত্তরটাই আসলো, “নিলামে বসতে দেওয়া হবে না। তাদের যে ফ্রাঞ্চাইজি ফি ২ কোটি টাকা আছে সেটা ফেরত দেওয়া হবে না। স্বচ্ছতা না থাকলে বিপিএলে অংশগ্রহণ করার সুযোগ নেই।” 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব‌্যাংক গ‌্যারান্টি জমার সময় বাড়ল