‘বাংলাদেশি আন্টিদের’ কেন ধন্যবাদ দিলেন জোহরান মামদানি
Published: 26th, June 2025 GMT
আগামী ৪ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির মেয়রপদে নির্বাচন। এ পদে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার যোগ্যতা অর্জন করেছেন ৩৩ বছর বয়সী মুসলিম রাজনীতিবিদ জোহরান মামদানি। এখনো মেয়র নির্বাচিত না হলেও ভোটার থেকে শুরু করে সংবাদমাধ্যম—সবাই জোহরানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
ইকনোমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন জোহরান। রাজনীতিতে একেবারেই নবাগত জোহরানের দুটি বিষয় সবার নজর কেড়েছে। প্রথমটি হচ্ছে, অন্য রাজনীতিকদের মতো তিনি অতটা ধনী নন। অন্যটি হলো, জোহরানের অনন্য পারিবারিক ঐতিহ্য।
নির্বাচিত হলে জোহরান হবেন নিউইয়র্ক নগরের সবচেয়ে কমবয়সী মেয়র। সেই সঙ্গে প্রথম মুসলিম মেয়রও হবেন তিনি। জোহরান শুধু অশ্বেতাঙ্গ নন, তিনি একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মুসলিম। জোহরানের জন্ম উগান্ডার কাম্পালায়। সাত বছর বয়সে বাবা-মায়ের সঙ্গে নিউইয়র্কে আসেন তিনি। তার মা ভারতের বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মিরা নায়ার। বাবা কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের নামজাদা অধ্যাপক মাহমুদ মামদানি জন্মগতভাবে ভারতীয়।
বামঘেঁষা ডেমোক্র্যাট জোহরান। নিউইয়র্ক শহরকে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য অধিক বসবাসযোগ্য করে তোলার স্বপ্ন দেখিয়ে বাজিমাত করেছেন তিনি। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্য মূল্যের মুদিদোকান খোলা, স্বল্পআয়ের মানুষের জন্য নতুন দুই লাখ অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ, ভাড়ানিয়ন্ত্রিত অ্যাপার্টমেন্টে আগামী চার বছর ভাড়া বাড়ানো নিষিদ্ধ করা, নিখরচায় শিশু পরিচর্যার ব্যবস্থা, বিনা ভাড়ার সরকারি বাসের ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দিয়ে ভোটারদের মনোযোগ কেড়েছেন জোহরান।
একে অশ্বেতাঙ্গ, তার ওপর তরুণ মুসলিম হিসেবে জোহরানের এমন এজেন্ডা নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশিসহ দক্ষিণ এশীয় অভিবাসীদের মধ্যে বিপুল সাড়া ফেলেছে। সে কথা মাথায় রেখেই জোহরান এবং নিউইয়র্কের একমাত্র নির্বাচিত বাঙালি কাউন্সিলর শাহানা হানিফ যৌথভাবে বাংলায় একটি ভিডিও বার্তা প্রচার করেছেন। ২৪ জুন বাছাইপর্বে শাহানা ডেমোক্রেটিক পার্টির কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন।
এদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যান্ড্রু কুমোর মতো বাঘা রাজনীতিককে পেছনে ফেলে প্রার্থিতা নিশ্চিত করার পর জোহরান তাঁর সমর্থকদের ধন্যবাদ দিতে ভোলেননি। ২৪ জুন মধ্যরাতের পর সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া এক বক্তব্যে জোহরান তাঁর হয়ে ঘরে ঘরে গিয়ে প্রচারণায় অংশ নেওয়া ‘বাংলাদেশি আন্টিদেরও’ ধন্যবাদ দেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন উইয র ক ন উইয়র ক স ট ন উইয়র ক র জন ত কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
টেক্সাসে একটি দোকানের পার্কিংয়ে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৩
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে একটি টার্গেট স্টোরের গাড়ি রাখার জায়গায় বন্দুকধারীর এলোপাতাড়ি গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ঘটনাটি ঘটেছে স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার, টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের রাজধানী অস্টিনে।
টেক্সাসের পুলিশপ্রধান লিসা দাভিস জানান, সন্দেহভাজন বন্দুকধারী একজন পুরুষ। বয়স ত্রিশের কোঠায়। তাঁর ‘মানসিক সমস্যায়’ ভোগার রেকর্ড রয়েছে।
গুলি চালানোর পর ওই ব্যক্তি একটি গাড়ি চুরি করে সেটা নিয়ে পালিয়ে যান। পথে গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পরে। এরপর তিনি আরও একটি গাড়ি চুরি করে পালানোর চেষ্টা করেন। তখন পুলিশ তাঁকে আটক করে।
জরুরি উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে তিনজন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করেন। দুজন সেখানেই মারা যান। হাসপাতালে নেওয়ার পর আরেকজনের মৃত্যু হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের নাম–পরিচয় জানানো হয়নি।
লিসা দাভিস বলেন, ‘অস্টিনের জন্য একটা দুঃখের দিন আজ। আমাদের সবার জন্যই দুঃখের একটি দিন। ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক্সে দেওয়া এক পোস্টে অস্টিনের মেয়র ক্রিক ওয়াটসন এ ঘটনাকে ‘ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতি’ বলে উল্লেখ করেছেন।
সপ্তাহ দুয়েকের বেশি সময় আগে মিশিগান অঙ্গরাজ্যে ওয়ালমার্টের এক দোকানে একই রকম হামলার ঘটনা ঘটেছিল।
অন্যদিকে গত জুলাইয়ের শেষ দিকে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে ২৭ বছর বয়সী এক বন্দুকধারী এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে পাঁচজনকে হত্যা করেন। নিউইয়র্কে গত দুই দশকের বেশি সময়ের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা।